বঙ্গ-নিউজঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বির্তকিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) আদেশের দিন ধার্য করেন।
এদিকে, গত ৫ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি হলেও ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়া গত ১৬ এপ্রিল নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হলে পরবর্তী দিন ৮ মে শুনানির জন্য ধার্য করেন আদালত। এরপর ৮ মে জামিন মঞ্জুর, না-মঞ্জুর কোনোটাই হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরবর্তীতে ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি ‘নট প্রেসড রিজেকটেড’ (উপস্থাপিত) হয়নি) বলে খারিজ করে দেন। গত ২৮ মে আদালত বলেন, মামলাটি ওই আদালতে (নিম্ন আদালত) শুনানি করে আসুন। এ প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৩০ মে নড়াইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য হয়। গত ৫ জুনের শুনানিতে আদালত ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুদ্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরও একটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে একইদিন (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও মানহানি মামলা দায়ের হয়। মামলা দু’টি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কালিয়া উপজেলার কালিয়া এলাকার শেখ আশিক বিল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪২:০৯ ৯৭০ বার পঠিত #bangla news #bangla newspaper #bangladesh news #bd news #daily newspaper #World News #কোটা সংস্কার