আকাশে কালো মেঘ, কিসের সংকেত?

পাখিদের ঘরে ফেরার তাড়া, নিরাপদ আশ্রয়ে
ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে।
ঐ দূরে ন্যাংটো বাচ্চাদের ছুটোছুটি কাদা মাখামাখি।
পিছন ফিরে দেখি –
মৃত্যু শয্যায় মা, আর প্রসব যন্ত্রণায় কাতর ঐ মহিলা।
সংসারের সব বাঁধন ছেড়ে যেতে চলেছে
আমার মা, যেতে তো হবেই।
তবুও যেতে দিতে চায় না মন।
সন্ধ্যার প্রদীপ ঐ দপ দপ করে নিভে যায়।
সদ্য নেভা শলতে থেকে উদ্গীরণ ধোঁয়া,
চলে যাওয়ার শোক আচ্ছন্ন করে।
কতো কথা মনে উঁকি ঝুঁকি দেয়।
মা এর স্নেহের স্পর্শ আদর ভালোবাসা।
সবকিছু মিলিয়ে এক বিষন্নতায় মন ভরে যায়,
দেহটা ঐ যে নিথর শুয়ে আছে।বড়ো কঠিন মৃত্যু শোক।
ঐ পাশের বাড়ি থেকে এক সদ্য জাতের কান্না ভেসে আসছে
মহিলা প্রসব যন্ত্রণার ফল পেয়ে, আত্মজকে চেপে আছে বুকের মাঝে।
মৃত্যু ও জন্ম হাত ধরাধরি করে চলে,
বিষন্নের মাঝে আনন্দের হাতছানি।
ঐ দুরে বৃষ্টি ভেজা মাঠে ছোট্ট শিশুদের ছুটোছুটি …..কাদা মাখামাখি অবিরাম চলে।

ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ২১-শে এপ্রিল ১৯৬১, কলকাতার সঙ্গীতমনস্ক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে। বাবা স্বর্গীয় চিত্তপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ভীশ্বদেব চেট্টাপাধ্যায় এর প্রিয় ছাত্র। কাকা পীযূষপ্রসন্ন পণ্ডিত রবিশঙ্করের শিল্পশিক্ষায় দীপ্ত। ১৭ বছর বয়সে নিজেকে স্বাবলম্বী করা ও দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে সমর্পিত করার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগদান এবং ২১ বছর ধরে এই নিষ্ঠাপালন। ১৯৯৯ সালে বায়ুসেনা থেকে সেবানিবৃত্তির পর আই আই টি খড়্গপুরে যোগদান। ২০০৭ সালে রবীন্দ্রভারতীকে আপন করে নেওয়া এবং নিরাপত্তা সুরক্ষা অধিকারী হিসেবে যোগদান। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ছাত্রকল্যাণ অধিকারী, Purchase Officer এবং Law Officer এর দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের Security and Disaster Management পাঠ্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত। ২০১৬ -তে আমন্ত্রণমূলক বক্তৃতা প্রদান অক্সফোর্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৩:৪০   ৮৮৪ বার পঠিত   #  #ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা  #বাংলা কবিতা