ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা ‘কুয়াশার ওপারে’

Home Page » সাহিত্য » ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা ‘কুয়াশার ওপারে’
সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮



কুয়াশার ওপারে

কুয়াশার ওপারে স্বপ্নের মাঝে
তোমার মৃদু হাসি মুখ
অদ্ভুত এক আলোক দ্যুতি যেন সর্বক্ষণ পাহারা দিয় তোমায়
ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার সাহস জোগাতে পারিনি,
পাছে যদি মিলিয়ে যাও।
অনেক সাহসে বুক বেঁধে, ভেবেছি
এবার প্রশ্ন করব তোমায়, পরিচিত হব তোমার সাথে
আপন করে নেবার স্পর্ধা দেখাব, তাই অপেক্ষায় আছি
তোমার দর্শনের।
কুয়াশার ওপারে স্বপ্নের মাঝে, ঐ তো তুমি এসে দাঁড়িয়েছ,
তোমার স্নিগ্ধ, হাসি হাসি মুখ নিয়ে, এনেছ সাথে সেই ঐশ্বরিক আলোক দ্যুতি।
আজ আমি বদ্ধপরিকর, চলে যেতে দেব না তোমায়
তোমাকে না জেনে, প্রশ্ন করি তোমায় …..আমি যে অনেক অনেক প্রশ্ন নিয়ে এসেছি আজ তোমার কাছে ……
হঠাৎ-ই তার হাসি হাসি মুখ স্তম্ভিত হয়, বেদনায় ভরে ওঠে
অপরূপ ঐ মুখ, ঐ ঐশ্বরিক আলোক দ্যুতি কোথায় মিলিয়ে যায়
সে শুধু বলে ওঠে ‘আমি ই তো প্রশ্ন’ পর মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় ঐ কুয়াশার ওপারে স্বপ্নের মাঝে
আমি অস্থির হয়ে তাঁকে খুঁজে বেড়াই।

কোথাও সে নেই, এক শূন্যতা রেখে যায়…..

অনেক দিন বাদে ……. আজ আবার সেই রুপে দেখতে পাই ঐ কুয়াশার ওপারে স্বপ্নের মাঝে,…………….
আজ তোকে দেব না যেতে, তাকে না জেনে হাত ধরি চেপে,
সাহসের ভর করে তাকাই, তার চোখে চোখ রেখে
একি অনুভূতি ……….।
সে যেন আমার চোখের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে আমার-ই ভেতরে।
ধীরে ধীরে ঐ মিষ্টি হাসি মিলিয়ে যায়
এক বেদনার ছায়া ঘনিয়ে ওঠে, ঐ ঐশ্বরিক আলো ধীরে ধীরে নিভে যায়।
আমি এক অদ্ভুত যন্ত্রণায় কাতর হই,
কুয়াশা ধীরে ধীরে কেটে যায়
আমি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকি, আমার-ই প্রশ্নের সামনে,
সম্বিত ফিরে পায়।
কত দিন…… কতো মাস…… কতো বছর কেটে যায়,
সে আর ফিরে আসেনা,
কুয়াশার ওপারে স্বপ্নের মাঝে।


ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঋত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ২১-শে এপ্রিল ১৯৬১, কলকাতার সঙ্গীতমনস্ক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে। বাবা স্বর্গীয় চিত্তপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ভীশ্বদেব চেট্টাপাধ্যায় এর প্রিয় ছাত্র। কাকা পীযূষপ্রসন্ন পণ্ডিত রবিশঙ্করের শিল্পশিক্ষায় দীপ্ত। ১৭ বছর বয়সে নিজেকে স্বাবলম্বী করা ও দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে সমর্পিত করার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগদান এবং ২১ বছর ধরে এই নিষ্ঠাপালন। ১৯৯৯ সালে বায়ুসেনা থেকে সেবানিবৃত্তির পর আই আই টি খড়্গপুরে যোগদান। ২০০৭ সালে রবীন্দ্রভারতীকে আপন করে নেওয়া এবং নিরাপত্তা সুরক্ষা অধিকারী হিসেবে যোগদান। বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ছাত্রকল্যাণ অধিকারী, Purchase Officer এবং Law Officer এর দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের Security and Disaster Management পাঠ্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত। ২০১৬ -তে আমন্ত্রণমূলক বক্তৃতা প্রদান অক্সফোর্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ৩:০৬:৫০   ৯৪৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সাহিত্য’র আরও খবর


সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন: স্বপন চক্রবর্তী
ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা “আমি তো গাঁয়ের মেয়ে ”
৫০ বছরের গৌরব নিয়ে জাবির বাংলা বিভাগ বিশাল ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উৎসব আয়োজন করেছে
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা- ‘তোমার খোঁজে ‘
অতুলপ্রসাদ সেন: ৩য় (শেষ ) পর্ব-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন;পর্ব ২-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন-স্বপন চক্রবর্তী
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা ” যাবে দাদু ভাই ?”
বাদল দিনে- হাসান মিয়া
ইমাম শিকদারের কবিতা ‘ছোট্ট শিশু’

আর্কাইভ