বঙ্গ-নিউজ: ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘নির্বাচনী বাজেট’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) পল্টনের মৈত্রী মিলনায়তনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব এম. এম. আমিনুর রহমান।
ইফতারে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আসান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, খেলাফত মজলিশ মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিজেপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের স্বার্থে নয় দাবি করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনী বছরে ভোটের আকর্ষণের জন্য এত বড় ঘাটতির একটি বিশাল বাজেট দেয়া হয়েছে। মূলত জনগণকে প্রতারণা করে ভোট আকর্ষণ করানোর জন্য এ বাজেট। তাই এটা নির্বাচনী বাজেট। ভোট আকর্ষণের বাজেট। জনগণের স্বার্থের বাজেট নয়। এছাড়া এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সক্ষমতাও নেই এবং প্রশাসনিক দক্ষতাও নাই। সুতরাং এটা বাস্তায়নযোগ্য নয়। লোক দেখানো ও মানুষকে প্রতারণা করার বাজেট বলেন জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা (বিএনপি) এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এই বাজেট জনগণের কোন উপকারে আসবে না। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।
বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারি সরকার আজকে একটি বাজেট দিয়েছে। ইতিমধ্যে এ বাজেট সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বাজেটে মূল্য ব্যয় ধরা হয়েছে, ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে উন্নয়ন বাজেট হচ্ছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি হচ্ছে, ১ লাখ ৮৫ হাজার ২ শত ৯৩ কোটি টাকা।
‘এই ঘাটতি, যেটা মূল্য বাজেটের ৪র্থ শতাংশের বেশি। এই ঘাটতি বাজেট কেনো দেয়া হয়েছে? রাজস্ব, সরকারি খরচ এবং সরকারি বেতন কমানো যায় না। কিন্তু এত বড় ঘাটতি বাজেট আসলে প্রতিক্রিয়া হবে উন্নয়নে বাজেটে। আসলে এখানে উন্নয়নের জন্য সেই পরিমাণ কোন টাকা-পয়সা নেই। এই ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক ঋণ করা হবে এবং আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া হবে। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার টার্গেট ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ঋণের বোঝা বাড়িয়ে সরকার এত বড় ঘাটতি বাজটে দিয়েছে, ঋণ নির্ভর একটি বাজেট। এতে জনগণের উপর ঋণের বোঝা বৃদ্ধি হবে। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের জন্য যে টার্গেট করা হয়েছে, সেটাও সম্ভব হবে না। জনগণের পকেট থেকেই এ ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
বাজেটে করর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ধনীকে আরো ধনী করা এবং এদেশের গরিব আরো গরিব হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অপর এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সুন্দর নীল রং এর একটি বেলুন। এটার ভেতরে কিছু নাই। এটা একটি গতানুগতিক বাজেট। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বাজেট দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৮:৫১ ৬৭৩ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #জাতীয় #শিরোনাম