গার্মেন্টস এ ট্রেড ইউনিয়ন আর গুরুত্ব আনেক বেশি। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ভাবুন। “পাট” একসময় সোনালী আঁশ হিসেবে ভাবা হতো। ভাবা হতো বইকি এখন ও ভাবা হয়। কিন্তু সেই জুট মিল গুলী কি আছে? নাই! কেন নাই? কোন দিন কি ভাবেচেন? আমার মনে হয় না।
পেছনের ইতিহাস গেটে দেখুন এই ট্রেড ইউনিয়ন এর জন্যই হারিয়েছি আমরা আমাদের এই মহাশম্পদ। বন্দ করে দিতে হয়েছে জুট মিল গুলী।
আমি যানি আনেকেই আমার সাথে একমত হতে পারবেন না। কারন তারা বলবেন বহির বিশে পাটের বা, পাটজাত দ্রবের চাহিদা কমে গেছে অথবা, বলবেন চাষিরা পাট চাষে অনুতসাই হবার জন্য এমন হয়েছে। আমি আপনাদের বলতে চাই, পাট জাত দ্রবের আগে যেমন চাহিদা ছিল এখন তার ছেয়ে অনেক গুন বেশী আছে। কিন্তু আমরা কি এখন আবার নতুন করে এ শিল্পের উন্নতি করতে পারব? সন্দেহ থেকেই যায়।
জুট মিলগুলিতে ট্রেড ইউনিয়ন করা হয়েছিল শ্রমিকের নেরজ প্রাপ্য প্রতিষ্ঠা/আদাই করার জন্য। কিন্তু মালিক পক্ষের যেন কোন ক্ষতি বা, কারখানার উৎপাদনে বেগাত না গটে সে দিকে ও লক্ষ্য রাখতে হবে। আসলে কি তা হয়েছিল? বরঞ্চ ট্রেড ইউনিয়ন এর সদস্য গন শ্রমিক দের কাজপাইয়ে দেবার নাম করে অর্থ আদাই করত, সাপ্তাহিক বেতন দেবার সময় কমিশনের নামে শ্রমিকের কষ্ট অর্জিত অর্থ আত্তসাথ করত। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে কারখানায় নানা প্রকার সমস্যা সৃষ্টি করত। আপনিই বলেন ট্রেড ইউনিয়ন এর সদস্য রা এমন করলে কি কারখানা চালানো সম্ভব? আপনি কি চালাবার সাহস পাবেন?
এই বার আসুন ৯০ এর দশকের দিকে তাকাই, সে সময় গার্মেন্টস শিল্পের মহা উৎসবের সময়। কারন সে সময় বিশ্বের এমন কোন দেশ ছিলনা যারা Low Price with 100% Quality সম্পূর্ণ পণ্য সরবরাহ করতে পারত না। কিন্তু প্রতি বারই বাদ সাদে এই ট্রেড ইউনিয়ন এরা সময় মানে না যখন তখন উৎপাদনে বেঘাত গটিয়ে শ্রমিক দের রাস্তায় নিয়ে আসে আন্দলনের নামে নিজেদের প্রভাব বিস্তার এবং আর্থিক সুভিদা গ্রহন করে। শ্রমিকদের বেতন বরদিত করা তো দুরের কথা ওদের আর অমানবিক টর্চার করত। এতে কারা উপকৃত হতেন বেশি তা আপনাদের কাছেই প্রশ্ন হিসেবে রেখে যাই।
আমি জানি, যদি কোন শ্রমিক নেতা আমার এই লিখা পড়েন তিনি খুব কষ্ট পাবেন। হয়তো ভিন্ন তর কিছু ভাবতে ও পারেন।
আমি বলি কি ট্রেড ইউনিয়ন এর বিকল্প কিছু ভাবুন না!
আমান কিছু যাতে স্রমিক,মালিক সবাই উপকৃত হবেন। হতে পার ১০০% কমপ্লাইঞ্চ।
যদি ১০০% কমপ্লাইঞ্চ এবং এর সাথে সাথে Well-Fear টিম গঠন করে হোক। যে টিমের মূল উদ্দেশ্য হবে সুদু মাত্র শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করবে। প্রতি ৫০০ জন স্রমিকের জন্য ২জন বা তার ও বেশি। এই অফিসার দের সাথে শ্রমিকরা সরাসরি তাঁদের সুবিদা অসুবিদা নিয়ে কথা বলবেন এবং মালিক পক্ষয়ের সাথে আলচনা করে একটা সুন্দর কর্ম পরিবেশ তইরি করবে। যাতে উভয় পখ ক্ষতির হাত থেকে রখা পাবেন। প্রয়োজন বদে ওই টিম এর সাথে BGME, BKME সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ থাকবে। এ বেপারে সরকার এবং BGME, BKME র মত সঙ্গস্তা গুলীর সু দৃষ্টি দেয়া উচিত।
আপনি যেনে মর্মাহত হবেন এই যে, Buyer যারা আমাদের Order প্রদান করেন, তিনারা সব সময় চান যেন Low Price with 100% Quality থাকে Product এ। সেটা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যে পরিমান মুনাফা দেয়া দরকার তা তারা দেন না। সব সময় চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। যার জন্য মালিক পক্ষ শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে ও পারেন না। ১০০% কমপ্লাইঞ্চ এর সুযোগ সুবিদা ও দিতে পারেন না। আমরা ভাবই তাঁদের অনেক টাকা তাই তারা এমন ব্যাবহার করে। কিন্তু না। তারা ও আপনার আমার মত মানুষ। তারা ও তাঁদের শ্রমিকদের নিজের ভাই বোন বলেই ভাবে। তারা কখনো চান না তাঁদের ভাই বোন না খেয়ে থাকুক। সাভারের রানা প্লাজা বা তাজনিন এর মত দুরগটনায় মারা যাক।
হ্যাঁ, আমরা মানুষ স্বভাব গত ভাবে অর্থের পেচনে চুটি। কিন্তু সব মালিক কি এক রকম?
এক পক্ষ দিকে হেলে পরলে তো আপনি একজন সুভিদা বাদি হিসেবে পরই গনিত হয়ে যাবেন। ওভার অল চিন্তা করে ভাবুন কি করা যায়। সবাই কে বলছি দেশের প্রধান থেকে শুরু করে চা দোকানের আড্ডা রত বন্দু টি কেও।
দেশের গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচান। নিজে বাঁচুন, দেশ কে বাঁচান। গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত আছে আর্থিক প্রথিঠান সহ আনেক কিছু। আজ গার্মেন্টস শিল্পের কিছু হলে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে। অনেক ব্যাংক আছে তাঁদের সব বেবসা গুচিয়ে ফেলতে হবে। কথেকে এতো মানুষের কর্ম সন্থান করা যাবে জানি না। কত মানুষ যে না খেয়ে মরবে তা এক মাত্র সৃষ্টি করতাই ভালো জানেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২৮:০৬ ৬২৯ বার পঠিত