ফজলুল হক.বঙ্গ নিউজ: কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ী একেইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই কলেজে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সোলায়মান সিকদারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও দাপ্তরিক দায়িত্বে অবহেলার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার পদ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। নানা অনিয়মের বিষয়টি কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে এলাকাবাসী ও
শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে জানানোর পরও রেজুলেশন আকারে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার বড়ইবাড়ী একেইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজের অধ্যক্ষ পদের জন্য জাতীয় দৈনিকে প্রার্থী আহ্বান করা হয়। সে হিসেবে ৯ প্রার্থী অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করেন। গত ৬ মে ওই কলেজে প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৯ প্রার্থীর মধ্যে ৮ প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই সময় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ছিলেন বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যক্ষ নির্বাচনী বোর্ড ও ডিজির প্রতিনিধি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জেরিন সুলতানা, কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি একেএম সিরাজুল ইসলাম, সদস্য তাজুল ইসলাম খান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল চন্দ্র সরকার। পরে নিয়োগ পরীক্ষায় সোলায়মান সিকদারকে প্রথম নির্বাচিত করা হয়। এ খবর কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আবু সাইদ নামে এক ব্যক্তি সোলায়মান সিকদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ লিখিত আকারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও ডিজির প্রতিনিধি বরাবর দেন।
আবু সাইদ তার অভিযোগে বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর থাকে, যার মেয়াদ দুই বছর। সোলায়মান সিকদারের চাকরিরত অবস্থায় কলেজের ২০১৫ সালের জুলাই ও নভেম্বর এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারি ও মার্চ পর্যন্ত এমপিওতে ইনডেক্স নম্বর নেই। নিয়োগ বোর্ডের কাছে সোলায়মান সিকদারের নানা দুর্নীতির প্রমাণ জমা দেওয়ার পরও নিয়োগ বোর্ড তড়িঘড়ি করে তাকে নিয়োগ দেয়। অভিযুক্ত সোলায়মান সিকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। আমার ইনডেক্স নম্বর আছে। একটি পক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল চন্দ্র সরকার বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে ৮ প্রার্থীর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়মতান্ত্রিকভাবে নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় সোলায়মান সিকদার প্রথম হয়েছেন। তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গভর্নিং বডির কাছে নির্বাচনী বোর্ড সুপারিশ করেছে।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সিরাজ সিকদার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সোলায়মান সিকদারকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলার কোনো কলেজে শিক্ষক নিয়োগ হলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার বৈধ কাগজপত্র দেখার জন্য নিয়োগ বোর্ডে থাকেন। কিন্তু ওই কলেজের গভর্নিং বডি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে রাখেনি। একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে, ফলে তাকে নিয়োগ দেওয়া ঠিক হবে না।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমি গভর্নিং বডির সভাপতিকে বলেছি নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৭:৩৮ ৬১২ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #breaking news #World News