বঙ্গ-নিউজঃ আইপিএলে এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন আগেও একবার। শুরুতে কোনো দল নিলো না তাকে। শেষ মুহূর্তে পেলেন এবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ডাক। প্রথম তিন ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিলেন নিজের দাম। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ক্রিস গেইল বলেছেন এই অভিজ্ঞতা নিয়ে—
তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি। এখন কী মনে হয় সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করা গেছে?
আমি জানি না, আমি আসলেই তাদের ভুল প্রমাণ করতে পেরেছি কি না। সবসময়ই আসলে কিছু সন্দেহবাদী থাকবে। আবার একই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, আমার নিজের প্রমাণ করার কিছু নেই। আমার রেকর্ড আমার হয়ে কথা বলে। যদিও আমি আইপিএলের নিলামে একেবারে শেষ সময়ে বিক্রি হয়েছি; কিন্তু আমি এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। যদি এটা নাও হতো, আমার জীবন থাকতো। আমার এই ক্রিকেটের বাইরে, আইপিএলের বাইরেও জীবন আছে। একটা পর্যায়ে তো আমাকে এইসব আইপিএল এবং সব ধরনের ক্রিকেট ছেড়েই দিতে হবে। ফলে আমি কখনোই এসব নিয়ে অতো বেশি আচ্ছন্ন থাকি না। আমি সবসময় বর্তমানে বাস করতে চাই। তবে এটা ঠিক যে, আমাকে শেষ পর্যন্ত কেউ নিয়েছে এবং নতুন একটা ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে পারছি, এটা সন্তোষজনক ব্যাপার। আর প্রথম তিন ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, তা অসাধারণ ছিলো। আমি যা করেছি, তাতে আমি খুব খুশি।
আপনাকে প্রথমেই নিলামে না নেওয়াটা কী আপনার এমন পারফরম্যান্সের পেছনে ভূমিকা রেখেছে?
না, সেরকম বিশেষ কিছু নয়। তবে সত্যি বললে এটা মানতে হবে যে, প্রথমে আমাকে কোনো দল না নেওয়ায় আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি জানি না, দরজার পেছনে কী ঘটেছে। তবে এটা বুঝি যে, এরকম ঘটে থাকে। ঠিক আছে। আমি শেষ পর্যন্ত ঘটনাটা পেছনে ফেলে আসতে পেরেছি। যেমনটা বলেছি, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে পারাটা একটা দারুণ সুযোগ আমার জন্য। আর এখন পর্যন্ত ভালো সময় কাটাতে পারছি। সম্ভবত এটাই নিয়তি ছিলো— কিং গেইল, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলবে!
আপনি বিস্মিত হননি যে, আপনাকে শুরুতে কেউ নিলো না? বিশেষ করে আপনি বিশ্বের অন্যতম তারকা…
‘অন্যতম’ নই, আমি সবচেয়ে বড় তারকা। অবশ্যই সেদিক থেকে হতাশার ব্যাপার ছিলো। কারণ, ওরা আমাকে কল করেছিলো। তারা চেয়েছিলো, আমি দলে থাকি। আমাকে বলা হয়েছিলো, আমাকে ধরে রাখা হবে; কিন্তু এরপর আর আমাকে কল করা হয়নি। ফলে তারা আমাকে এই ধারণা দিতে পেরেছে যে, তাদের আর আমাকে দরকার নেই। সেটা ঠিক আছে। আমি তো বলেছি, আমি এ নিয়ে কারো সাথে ঝগড়া করতে পারি না। আমার মনে হয়, আমি সিপিএল আর বিপিএলে ভালো খেলেছি। বিপিএলে আমি আমার দল রংপুর রাইডার্সের হয়ে দুটো সেঞ্চুরি করেছি। পরিসংখ্যান তো মিথ্যে বলে না। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছক্কা আমার; তাতেও যদি ব্র্যান্ড গেইলে সিল মারা না হয়, কিসে হবে, কে জানে!
সময়ের সাথে সাথে নিজেকে বদলে কিভাবে মানিয়ে নিতে পারেন?
কারণ, আমি ইউনিভার্স বস! একটু সিরিয়াস হয়ে বলি, ২০১৫ সালে আমি যখন ইনজুরিতে পড়লাম এবং অস্ত্রোপচার করিয়ে ফিরলাম, তখন আমি প্রথম এই প্রয়োজনীয়তাটা টের পেয়েছি। একটা পুরনো নিয়ম আছে, সিরিয়াস ইনজুরির পর অ্যাপ্রোচটা বদলাতে হয়। ওই সময় আমাকে এতোটা সচেতন হতে হয়েছিলো যে, বুঝতে পেরেছিলাম, আগের মতো খেললে হবে না। ফলে আমি উইকেটে আরো সময় কাটাতে শুরু করলাম। আমি এখন নিজের অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাতে পারি।
৩৮ বছর বয়সেও কিভাবে নিজেকে ফিট রাখেন?
নিজের শরীরটাকে যতটা সম্ভব সঠিক শেপে রাখা, নিয়মিত ড্রিলগুলো যতদূর সম্ভব নিয়মিত করা। আমি প্রকৃতিদত্তভাবেই ফিট মানুষ। আমার ধারণা, ৩৮ বছর বয়সে আমার শরীর এখনো দারুণ শেপে আছে। যতক্ষণ শরীর আর অভিজ্ঞতাটাকে সমন্বয় করতে পারবো, ততোক্ষণ চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৫:৫৫ ৮০৬ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #breaking news #World News #ক্রিস গেইল