বঙ্গ-নিউজঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েন করতে চাইলে সরকারকে বলবে, সরকার বাস্তবতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
আজ রোববার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রোববার ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘অতীতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত। তবে স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন আমরা একেবারেই চাই না।’ তাঁর এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন করবে। সে সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে। কিন্তু সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সেনাবাহিনী কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধীনে যাবে না। নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করতে পারছে না, তখন সে অবস্থায় নির্বাচন কমিশন সরকারকে অনুরোধ করবে—সরকার বাস্তবতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে, তবে নির্বাহী ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) দেওয়া হবে কি না, সরকার তা বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
সাংবাদিকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে আগের চেয়ে বেশি হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে। এরপরও বিএনপির নেতারা বিভিন্ন ধরনের কথা বলেই চলেছেন। তিনি আরও বলেন, তবুও ভালো যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা গেল। যদি সরকার এটা না করত, আর কোনো কারণে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতো—তাহলে তারা যে কী করত!
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তাঁদের বাধা দেওয়া হবে কোথা থেকে?
নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্যদের প্রচারণার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্যরা দলের হয়ে প্রচারণা চালাতে পারেন। ভারতের বিধানসভা নির্বাচনেও এটা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কথা আছে। এটা অন্য কোথাও না থাকলেও আমাদের এখানে এমন কী প্রয়োজন, এমন কী অসুবিধা যে এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিরা ক্যাম্পেইন করতে পারবেন না। এ বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। এ বিষয়ে অচিরেই আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব।’
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, সাংসদ হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫২:২৮ ৬৮৬ বার পঠিত #bangla news #bangla newspaper #bangladesh news #bd news #daily newspaper #World News #সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের