বঙ্গ-নিউজঃ অরূপ। হ্যাংলা-পাতলা গড়ন। চুল বড় রাখায় লম্বাটে মুখটা ছোট হয়ে এসেছে। মোটা ফ্রেমের চশমাটা মুখজুড়ে বসেছে। ঢাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে সে। তার সঙ্গে দেখা হয় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে। মায়ের সঙ্গে এসেছে। কী সমস্যায় ভুগছে ও?
জানতে চাইলে মা জানান, সারাক্ষণ কেমন একঘরে হয়ে থাকে। স্কুল আর বাসা ছাড়া কোথাও বের হয় না। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে খেলা বা ঘুরে বেড়ানোর বয়সে অরূপের এমন একাকিত্বকে অস্বাভাবিক আচরণ বলে মনে করছেন মা। তাই দারস্থ হয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের।
গল্পে গল্পে জানালেন, বছর তিনেক আগে তার মামা একটা মোবাইল ফোন গিফট করেছিলেন ভাগনেকে। ফোনটা হাতে পাওয়ার পর থেকে ওর মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়। আগে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, হৈ-হুল্লোড় পছন্দ করলেও আস্তে আস্তে কেমন একা হয়ে যেতে থাকে। সারাক্ষণ ফোন নিয়ে পড়ে থাকে। একটা সময় চোখেও সমস্যা দেখা দেয়। ছয় মাস আগে চশমা দিয়েছেন চিকিৎসক।
মোবাইলে কী করে সারাক্ষণ? লুৎফুন্নাহার জানালেন, ফেসবুক। চ্যাটিং। এসব। তার ধারণা এই বয়সেই ছেলে তার মানসিক হতাশাজনিত সমস্যায় ভুগছে। ইদানীং ঘরে কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছে না। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়েছে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে না। ঘুমাচ্ছে অনেক রাতে। সকালে উঠতে না পাড়ায় মাঝেমধ্যে স্কুলেও যেতে পারছে না। স্বাস্থ্যও ক্ষীণ হয়ে এসেছে। শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসক দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শরীরের চেয়ে ওর সমস্যা বেশি মনে। তারই পরামর্শে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে এনেছেন ছেলেকে।
ফেসবুকে কী এত ব্যস্ততা তোমার? অরূপ জানায়, ‘সবার সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালো লাগে।’
এই সবাই কারা?
‘অনেকেই তো আছে। ইয়াং বয়েজ গ্রুপ। স্কুল বয়েজ গ্রুপ। উই আর ফ্রেন্ডস গ্রুপ।’
কী কথা হয় এসব গ্রুপে?
‘এই তো, কে কী করছে। কে কি খেয়েছে? বিএফ/জিএফ- নিয়েও নানা গসিপ হয়। কেউ হ্যাংগ আউট করলে তা বলে। মজা হয়।’
গল্পের এক পর্যায়ে অরূপ জানায়, বেশিক্ষণ ফেসবুক থেকে দূরে থাকলে তার খারাপ লাগে। কেমন একা একা মনে হয়। ঘনিষ্ঠ ছেলে বা মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হলে হতাশা বোধ হয়। খারাপ লাগে।
অরূপের মতো এই বয়সী অনেক ছেলেমেয়ে এখন এ ধরনের সমস্যায় ভুগছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের প্রতিটি পরিবারেই অরূপের মতো কাউকে না কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে, যারা ফেসবুক আসক্তিতে ভুগছে। এদের মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়–য়াদের সংখ্যা বেশি। অ্যাকচুয়াল জগতের চেয়ে তারা ভার্চুয়াল জগতে বেশি জড়িয়ে গেছে। মনোবিদরা বলছেন, ফেসবুকের প্রতি অতি আসক্তি ছেলেমেয়েদের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। সুস্থ ও শারীরিক বিনোদন অর্থাৎ খেলাধুলায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কম বয়সে মুটিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে নানান শারীরিক জটিল রোগব্যাধি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ও বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিক আমেরিকানের মতে, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে যত বেশি সময় কাটায়, সে তত বেশি হতাশায় ভোগে। একাকিত্ব, পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা ও বিষণœতা তাকে পেয়ে বসে।
কদিন আগে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বললেন, ফেসবুক আসক্তি নেশা। এটি ‘ডিজিটাল কোকেন’ অ্যাডিকশনের মতো হয়ে গেছে। আজকাল ইয়ংগার জেনারেশন একবার ফেসবুকের মধ্যে ঢুকলে আর বের হতে চায় না।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের সৃজনশীলতা আরও বাড়াবে। নতুন নতুন বিষয় জানবে। বিশ^কে জানাবে। তা না করে এখন বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় হচ্ছে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে তাদের আলোচনা বা আড্ডার বিষয় মোটেও জ্ঞানার্জন নয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বললেন সে কথাও, ‘এটা অনস্বীকার্য যে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সবার হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। দুঃখের বিষয় হলো, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ঘাঁটায় (ব্রাউজ) প্র্যাকট্রিক্যালি ইয়ংগার জেনারেশন খুব একটা ক্রিয়েটিভ হচ্ছে না। আজকে আমি দেখেছি ইয়ংগার জেনারেশনের ভেতরে ম্যাক্সিমাম ব্যবহার করে ফেসবুক চ্যাটিং করার জন্য। এটি কিন্তু ক্রিয়েটিভ ইউজ না।’
গত বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উই আর সোশ্যাল’ আর কানাডাভিত্তিক ডিজিটাল সেবা প্রতিষ্ঠান হুটস্যুইট-এর জরিপে দেখা গেছে, পৃথিবীতে যে সব শহরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে ঢাকা দ্বিতীয় স্থানে আছে। ফেসবুকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই শহরে ফেসবুক ব্যবহার করে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে গোটা দেশে এই সংখ্যাটা আরও ২০ লাখ বেশি।
মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের সামাজিক অপরাধও বাড়ছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে। ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষও ছড়াচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। এছাড়া বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও বানোয়াট তথ্যনির্ভর প্রচারণার কারণে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সহিংসতাও ঘটেছে সময় সময়।
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফেসবুকে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, স্বাভাবিক জীবনাচরণ বদলে গেছে তাদের। সামাজিক ও চারিত্রিক অবক্ষয়ের মুখে পড়ছে কম বয়সেই।
এভাবে চলতে থাকলে, একটা সময় নতুন প্রজন্মের মধ্যে সৃষ্টিশীল মেধা বা সৃজনশীলতা হারিয়ে যাবে, এই শঙ্কা আছে সমাজবিদদের মধ্যে। মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারে অভিভাবকদের পাশাপাশি সব মহলেই উদ্বেগ আছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কী? বিটিআরসি চেয়ারম্যান এই উপলব্ধির কথাও ব্যক্ত করলেন। ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সামাজিক বিপ্লব দরকার।’ পাশাপাশি বিটিআরসিও কিছু পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহারে ভিন্ন ভিন্ন ট্যারিফ বা বিশেষ রেইট চালুর বিষয়টিও বিবেচনা হতে পারে। ফেসবুক ব্যবহার করলে ইন্টারনেটে এক রেইট। অন্য ক্রিয়েটিভ ব্যবহারের জন্য আলাদা রেইট নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। শিগগির এ ধরনের প্রস্তাবনার কথা জানাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি নতুন প্রজন্মের মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষাবিদরা এটিকে মাদকাসক্তির সঙ্গে তুলনা করছেন। জনপ্রিয় লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা দেশের ভবিষ্যৎ। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। এই মহামূল্যবান রহস্যময় মস্তিষ্ক নিয়ে এখন সারা পৃথিবীতে অবিশ^াস্য ষড়যন্ত্র চলছে। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজের অজান্তেই এই ফাঁদে পা দিচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের নাম ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক।’ তিনি বলেন, ‘২০১৩-১৪ সাল থেকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের গুণগত অবক্ষয় শুরু হয়েছে। তাদের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা কমে গেছে। এটি ফেসবুক জাতীয় সামাজিক নেটওয়ার্কে বাড়াবাড়ি আসক্তির ফল।’
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আসক্ত একজন মানুষ নির্দিষ্ট সময় নেটওয়ার্ক থেকে বাইরে থাকলে অস্থিরতা অনুভব করে। হতাশা কাজ করে তার ভেতরে। স্বাভাবিক থাকার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই তাকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ব্যয় করতে হয়। তাই মাদকাসক্তির সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আসক্তির মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা।
কলহের কারণও ফেসবুক
ফেসবুকের কারণে কলহও বাড়ছে। সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরছে। আবার নতুন সম্পর্কও তৈরি হচ্ছে। তবে এসব সম্পর্কের বেশির ভাগই ক্ষণস্থায়ী। ব্যক্তি প্রতিহিংসাপরায়ণতাও বাড়ছে ফেসবুকের কারণে। একজন অন্যজনকে আক্রমণ করে স্ট্যাটাস দিলে তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক ও পারিবারিক কলহও দেখা দিচ্ছে ফেসবুকের কারণে।
বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সূক্ষ্ম অনুভূতি হারাচ্ছে মানুষ
ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের হানি ঘটছে বেশি। আচরণ হচ্ছে রুক্ষ। খিটমিটে হচ্ছে মেজাজ। গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকের ভালোমন্দ মানুষের মনে দ্রুত প্রভাব ফেলে। ভালো খবরে যেমন সহজে মন দ্রবীভূত হয়, খারাপ সংবাদও তেমন প্রভাব ফেলে।
এসব কারণে মানুষের সূক্ষ্ম অনুভূতি নষ্ট হচ্ছে। আবেগ, ভালোবাসা, মমতার অনুভূতিগুলো কমে যাচ্ছে। কথাসাহিত্যিক ও মনোচিকিৎসক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেছেন, ‘আমরা এতটাই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছি যে, আমাদের সামাজিক অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও টানাপড়েনের জন্যও এটি দায়ী।’
অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারের কারণে বন্ধ্যত্বের মতো জটিল সমস্যায় ভুগতে পারে মানুষ। গবেষকরা বলছেন, যারা মোবাইল থেকে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ চার ঘণ্টার বেশি করেন তাদের স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন মারাত্মক ব্যাহত হয়। দাম্পত্য ক্ষমতাও কমে যায়।
গবেষকরা বলছেন, এর পেছনে মূলত আছে রেডিয়েশন বা বিকিরণ যেটা মোবাইল সেট থেকে বের হয়। এই গবেষণার জন্য ২০ জন পুরুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, যারা বন্ধ্যত্বের শিকার। আর ১০ জনকে নেওয়া হয়েছিল, যা শারীরিকভাবে একেবারে সুস্থ। গবেষকরা দেখেছেন প্রথম ২০জন যারা বন্ধ্যত্বের শিকার তারা দিনে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি খোলা অবস্থায় মোবাইল ফোন নিজের কাছে রাখেন। সেখানে যারা সুস্থ তারা দুই ঘণ্টারও কম নিজের কাছে মোবাইল ফোন রাখেন।
ইতিবাচক দিকও আছে ফেসবুকে
কলহ, প্রতিহিংসা, ব্যক্তিগত আক্রমণের পাশাপাশি ফেসবুকের ইতিবাচক দিকও কম নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার মাধ্যমও ফেসবুক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের পেছনেও ফেসবুকের অবদান কম নয়। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমেই সবাইকে শাহবাগে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম নামে একটি সংগঠন। এরপরের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে।
ফেসবুকে রাজনীতি
রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা কিংবা মতপ্রকাশের বড় মাধ্যম ফেসবুক। যে যার মতো রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে পারছেন। সমালোচনা হচ্ছে। মুক্তবুদ্ধির চর্চাও হচ্ছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলÑ কেউ বাদ যাচ্ছে না এ থেকে। একজন প্রবীণ রাজনীতিক বলছিলেন, ‘রাজনীতি এখন মাঠ থেকে ওঠে এসেছে ফেসবুকে। রাজপথে যে কথা বলা যাচ্ছে না, কৌশলে সেই কথাগুলো ফেসবুকে বলা হচ্ছে। তবে এর মন্দ দিকও আছে। কারণ প্রতিপক্ষের নজরে পড়ে যাওয়ার সুযোগও বাড়ছে। ফেসবুকে গালিগালাজ বা উগ্রতা প্রচারের কারণে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে অনেককে।’
তথ্য চুরি, সতর্ক হচ্ছে ফেসবুক
সম্প্রতি ফেসবুকের তথ্য চুরি নিয়ে সারা বিশে^ সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ। যুক্তরাজ্যের নির্বাচনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ফেসবুকের তথ্য মার্কিন নির্বাচনে কাজে লাগিয়েছে বলে সমালোচনা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এ ঘটনায় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক। জুকারবার্গ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
এরই মধ্যে এ লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। ফেসবুকের প্রাইভেসি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিন ইগান জানান, নীতিমালা ঠিক রাখতে এবং ফেসবুক কীভাবে কাজ করে, মানুষকে বোঝাতে তাদের কতটা কাজ করার প্রয়োজন, সম্প্রতি তারা বুঝেছেন। ফেসবুকের প্লাটফর্মের অপব্যবহার রোধে নীতিমালা শক্তিশালী করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মানুষ যাতে সহজে কোনো অ্যাপের তথ্য নেওয়ার বিষয়টি জানতে পারে, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৬:৩০ ৬১৯ বার পঠিত