মৃত্যুর দশদিন আগেও যে গবেষণাপত্রটি নিয়ে কাজ করছিলেন স্টিফেন হকিং

Home Page » এক্সক্লুসিভ » মৃত্যুর দশদিন আগেও যে গবেষণাপত্রটি নিয়ে কাজ করছিলেন স্টিফেন হকিং
মঙ্গলবার, ২০ মার্চ ২০১৮



 

ছবি সংগৃহীত বঙ্গ-নিউজ: মৃত্যুর দশদিন আগ পর্যন্ত যে গবেষণাপত্রটি নিয়ে কাজ করছিলেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, সেই ‘আস্মুদ এগজিট ফ্রম ইটার্নাল ইনফ্লেশন?’ শিরোনামে লেখাটির শেষে একটি প্রশ্ন রেখে গেছেন তিনি। তবে বেলজিয়ামে কেইউ লুভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর থিয়োরিটিক্যাল ফিজিক্সের অধ্যাপক টমাস হের্টগকে সঙ্গে নিয়ে লেখা জীবনের শেষ গবেষণায় হকিং উত্তর মিলিয়ে দিয়েছেন অনেক কিছুর।

তিনি লিখেছেন, আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডে যত তারা বা নক্ষত্র রয়েছে, তাদের জ্বালানির সবটুকু শেষ হয়ে গেলে, একদিন এই ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু, তারপরও সব শেষ হয়ে যাবে না। কারণ, এই ব্রহ্মাণ্ড শুধুই একটা নয়। এমন ব্রহ্মাণ্ড বা ইউনিভার্স আরো আছে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম মাল্টি-ইউনিভার্স বা ‘মাল্টিভার্স’।

জানা গেছে, গবেষণাপত্রটির কাজ হকিং শেষ করেছিলেন গত জুলাইয়ে। কিন্তু, তার পরও সন্তুষ্ট হননি। থেমে থাকেননি। নিজের শেষ গবেষণাপত্রটি নিয়ে কাটাছেঁড়া, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন, পরিমার্জন করে গিয়েছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। মৃত্যুশয্যাতেও সৃষ্টি রহস্যের জট খোলায় মগ্ন হকিং এতটাই খুঁতখুঁতে ছিলেন যে, অঙ্ক কষে তাঁর বিশ্বাসের সত্যতা বুঝতে পারার পরও গবেষণা পত্রের শিরোনামে প্রশ্ন চিহ্নও রেখে গিয়েছেন। গবেষণা পত্রটি শেষ বারের মতো সংশোধন করেছিলেন গত ৪ মার্চ, তাঁর মৃত্যুর ঠিক দশ দিন আগে।ছবি:ইন্টারনেট থেকে  ১৯৮৩ সালে সহযোগী বিজ্ঞানী জেমস হার্টলকে সঙ্গে নিয়ে ‘নো বাউন্ডারি’ নামে তত্ত্ব দিয়েছিলেন হকিং। সেই গাণিতিক তত্ত্বে বলা হয়েছিল, ১৩শো সত্তর কোটি বছর আগে বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণের পর সব কিছু সুনসান অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। তার পরের তিন লক্ষ সত্তর হাজার বছর ধরে ওই রকম একটা অদ্ভুত অবস্থা ছিল। আলোর কণা ফোটনও সেই সময় বেরিয়ে আসতে পারেনি। ফলে বিগ ব্যাংয়ের পর তিন লক্ষ সত্তর হাজার বছরের মধ্যে কী কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি। কিন্তু, তার পরে হঠাৎই একটা বিন্দু থেকে বেলুনের মতো হু হু করে ফুলে ফেঁপে উঠে চার পাশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ড। যা এখনও ফুলে ফেঁপে উঠে চার পাশে প্রসারিত হয়ে চলেছে। আর সেই প্রসারিত হওয়ার গতি আগের চেয়ে অনেকটাই বেশি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটাকে বলা হয় ‘ইনফ্লেশন’।

ফুলতে ফুলতে বেলুন যখন এক সময় ফেটে যায়, এই ব্রহ্মাণ্ডেরও দশা এক দিন হবে সে রকমই। কিন্তু, সেই তত্ত্ব নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছিলেন হকিং। কারণ ওই গাণিতিক তত্ত্ব একথাও বলে, বিগ ব্যাং শুধু একটা হয়নি। অনেকগুলো বিগ ব্যাং হয়েছিল। সংখ্যায় যা অসীম। একটা বিগ ব্যাং থেকে যেমন আমাদের একটা ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম হয়েছিল, তেমনই সংখ্যায় বিগ ব্যাংও যদিও অসীম হয়ে থাকে, তা হলে আমাদের মতোই অসংখ্য ব্রহ্মাণ্ডের অস্তিত্বের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।-দ্য টেলিগ্রাফ।

বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৫:১২   ৬৭৫ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

এক্সক্লুসিভ’র আরও খবর


এস এস সি পাশের হার কমছে বেড়েছে জিপিএ-৫
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
শক্তিশালী প্রসেসরে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনছে মটোরোলা
ভারত ৩৬টি স্যাটেলাইট স্থাপন করল একসঙ্গে !!
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, পরে কথিত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে পদযাত্রা
রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সাবমেরিন!
টিকিট দুর্নীতির প্রতিবাদে রনি, সহজ ডটকমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ট্রাকচাপায় মেয়েসহ তারা তিনজন নিহত; রাস্তায় গর্ভস্থ শিশু ভুমিষ্ঠ
রোহিঙ্গা যুবক নুর বারেক আটক ,২০ লাখ টাকা উদ্ধার

আর্কাইভ