আল-আমিন আহমেদ, বঙ্গ-নিউজ :-আজ ১লা মার্চ, সুনামগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদারের শুভ জন্মদিন। বঙ্গ-নিউজের পক্ষ থেকে তার জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তার সাথে সোসাল মিডিয়ায় যোগাযযোগ করা হলে জানতে পারি বর্তমানে তিনি গবেষণার কাজে দু’তিন সপ্তাহের জন্য ব্যাংকক-থাইল্যান্ড আছেন, একই সময়ের মধ্যে তিনি এলামনাই হোম কামিং ও বোর্ড অফ ডিরেক্টরস নির্বাচন উপলক্ষে এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, ম্যানিলা-পিলিপাইন্সসে যেতে পারেন এবং থাইল্যান্ডের কয়েকটি প্রভিন্সেও যেতে পারেন। তার জন্ম দিন উপলক্ষে তার অনুমতি সাপেক্ষে তার একাডেমিক ও রাজনৈতিক প্রফাইল বা জীবনালেখ্য এখানে তুলে ধরা হলো ।
ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সুশাসন ও রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। তিনি ডেইলিস্টার, ঢাকা ট্রিবিউন, ডেইলিসান, ইন্ডিপেনডেন্ট, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, আমাদের সময় ও কালেরকণ্ঠে নিয়মিত কলাম লেখেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ও এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টাস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পিএইচডি করেন। বর্তমানে তিনি গবেষণার কাজে বিআইজিডি-ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটিতে আছেন। অতিকন্তু তিনি ম্যানিলায় এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট ফেলো এবং ব্যাংককে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফেলো।
তার জন্ম ১লা মার্চ ১৯৭৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে, যেখানে ১৯৭১ সালে ৯ মাস ব্যাপী মোহনগঞ্জ ও নেত্রকোনা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। তার দাদা মক্রম আলী তালুকদার ছিলেন ব্রিটিশ আমলের গ্রাম পঞ্চায়েত, চাচা অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক তালুকদার একজন সমাজসেবী, বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার একজন সাধারণ কৃষক ও সমাজসেবী। তার দাদা এলাকাবাসীর জন্য নিজ জমিতে নিজ খরচে পাকা মসজিদ দিয়েছেন, চাচা মসজিদের জন্য সম্পদ দান করেছেন এবং বাবা মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক জমি ও সম্পদ দান করেছেন। তার মাতা দিলারা ইসলাম তালুকদার একজন শিক্ষানুরাগী রত্নগর্ভা। মায়ের হাতেই তার এবং তার ভাই-বোনদের পড়াশুনা শুরু। তার ছয় ভাই-বোনের প্রত্যেকেই সুশিক্ষিত। প্রখ্যাত বাউল সাধক উকিল মুন্সি ছিলেন তার মাতামহীর পিতা।
আজ তিনি ৪০ পেরিয়ে ৪১ বছর বয়সে পদার্পণ করলেন। ইতঃমধ্যে তিনি ঢাকায় সেন্টার ফর ডিসেন্টরালাইজেশন ও গভরনেন্স সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং ব্যাংককে নিডায় আন্তর্জাতিক পোস্ট গ্রাজুয়েট কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন। তিনি তিনটি বই, আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত কয়েকটি প্রবন্ধ ও বইয়ের অধ্যায়, নয়টি পিয়ার রিভিউড জার্নাল প্রবন্ধ এবং রাজনৈতিক অর্থনীতি, সুশাসন, স্থানীয় শাসন ও উন্নয়ন অর্থনীতি সম্পর্কিত অসংখ্য মতামত প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সুশাসন, পাবলিক সেক্টর রিফরমস, উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অর্থনীতি সম্পর্কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কনসালটেন্সি করেন। তিনি বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের জন্যও কাজ করেছেন।
তিনি সুনামগঞ্জ-১ এর ধর্মপাশার মেউহারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জনতা উচ্চবিদালয়ের এলামনাস। এছাড়াও তিনি হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয়-গাজীপুর, ঢাকা কলেজ-ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা, এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজম্যানট-ম্যানিলা, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপম্যানট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন -ব্যাংককের এলামনাস। তিনি সাউথ হোসটেল-ঢাকা কলেজ ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হল-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন। তার সমসাময়িক ছাত্র নেতারা হলেন বাহাদুর ব্যাপারী, দেলোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, শিমুল ইসতিয়াক, রিজভী আলম ও অন্যান্য। তিনি কর্মজীবনে সক্রিয়ভাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষের যুগ্মআহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক। জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর (আগামী এপ্রিল মাস) থেকে তিনি সুনামগঞ্জ-১ এর ধর্মপাশার জনতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সুনামগঞ্জের প্রতিটি স্কুলে ও কলেজে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা, জীবনাদর্শ, ত্যাগ-তিতীক্ষা, প্রজ্ঞা, রাজনৈতিক দর্শন এবং তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা শুরু করবেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল স্কুল/কলেজ কমিটি, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জননির্বাচিত প্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা/ফাউনডেশন, দাতা সংস্থা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও উন্নয়ন প্রকল্প, জেলা পরিষদ ও জেলার সকল নাগরিকের, বিশেষ করে তরুণদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য যে তিনি সুনামগঞ্জ-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রাচারনা করছেন। ধারণা করা হয়, যেহেতু জননেত্রী দৃঢ়ভাবে এই হাওড় জনপদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন চান, সেহেতু ক্লিন ইমেজের সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা সম্পন্ন উচ্চশিক্ষিত অধিবাসী তরুণ প্রার্থী হিসেবে ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার এগিয়ে যেতে পারেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাশা সর্ম্পকে জানতে চাইলে ড. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতৃত্ব পছন্দ করেন। তিনি বিশ্বের শীর্ষ দশ নেতার মধ্যে একজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দান করেন আমি আমার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংগঠনিক কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিষ্ঠার সাথে দল, এলাকা ও দেশের জন্য কাজ করব এবং তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারব বলে মনে করি।“ তিনি তৃণমূল ও কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশী।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:২১ ৪৭৬ বার পঠিত