বঙ্গ-নিউজঃ চলমান মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র একের পর এক ফাঁসের কারণে সমালোচনার মুখে থাকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে শক্তভাবে মন্ত্রণালয় সামলাতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে এ নির্দেশ দেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি সে কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তও করেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা হচ্ছে। নানা কথা হচ্ছে। তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন, নতুন নতুন কর্মপন্থা ঠিক করছেন। এখন এ অবস্থায় তার সরে যাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করছেন।
সূত্রটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে না ভাবার পরামর্শ দেন। তিনি শক্ত হাতে মন্ত্রণালয় সামলাতে বলেন। প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, এ পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা একটি সমন্বিত কাজ। স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ছাপানো থেকে শুরু করে টানা দেড় মাস তার মন্ত্রণালয় প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারছে। পারা যাচ্ছে না কেবল পরীক্ষার দিন, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছানোর পর। পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে স্বল্প পরিসরে কিছু দৃস্কৃতকারী ডিজিটালি প্রশ্ন ফাঁস করছে। তাদের খুঁজে বের করে ডিজিটালি এটা ঠেকাতে হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হতে শুরু করে। সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক। সকাল ৯টায় বা তার পর প্রশ্নপত্র দু’একটি লিঙ্কে যা ছড়ানো হচ্ছে, তাতে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। আর এই দুস্কৃতকারীদের খুঁজে বের করতে নগদ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় পরীক্ষা চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার পর অভিযোগ করা হয়- প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। অথচ সাড়ে ৯টায় তো আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হয়। তাই এই সময়ের পরে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে কেন্দ্রের বাইরে কারও কাছে পাঠিয়ে অভিযোগ তুললে তো প্রমাণ করা যাবে না- প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
সূত্র জানায়, দুপুর ১২টা ১০ মিনিট থেকে শুরু করে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও শিক্ষা খাতের নানা বিষয়ে আলাপ করেন।
পরে গণভবন থেকে বের হয়ে শিক্ষামন্ত্রী নিজ মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে তিনি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার সভা করেন। সভায় অংশ নেন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল খবির চৌধুরীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।
সূত্র জানায়, সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাই কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখাতে হবে। যে কোনো মূল্যে ফাঁসকারী চক্রকে ধরতে হবে। পরে শিক্ষামন্ত্রী বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে যান। তিনি সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সভায় যোগ দে
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৩:৪১ ৬৩৩ বার পঠিত #bangla news #bangladeshi News #bd news #bongo-news(বঙ্গ-নিউজ) #breaking news #World News