বঙ্গ-নিউজঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম হাতীবান্ধা থানা প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বের অবহেলায় ১৬ শিক্ষার্থীর চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, উপজেলার কালীগঞ্জ-এ- কেন্দ্র তুষভান্ডার আর এম এম পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ৫ ফেব্র“য়ারী ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা শুরু হলে ওই ১৬ জন শিক্ষার্থী ২০১৭সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ফমপূরন করতে পারেনি। তারা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরমপুরণ করে বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডর সার্কুলার অনুযায়ী যারা ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফরমপূরণ করেননি তারা ২০১৮ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক হলে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। সে অনুয়ায়ী ওই সব শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে আসছে। কিন্তু তুষভান্ডার আর এম এম পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নলিনী কান্ত রায়, বোর্ডের নিয়ম তোয়াক্কা না করে ওই সব শিক্ষার্থীদেরকে ২০১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন সরবরাহ করে। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কক্ষ পরিদ্রষ্ঠাসহ কেন্দ্র সচিবকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি বিষয়টি আমলে না নিয়ে উপরোন্ত শিক্ষার্থীদের সাশিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বেড় করে দেয়ায় হুমকি দেয়। শিক্ষার্থীদের সবরাহকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার বাধ্য করেন কেন্দ্র সচিব। ওই ১৬ জন শিক্ষার্থী তুষভান্ডার নছরউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়য়ের ০৯ জন চাপারহাট ০৭ জন।
তুষভান্ডার উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক বহুরুল ইসলাম জানায়, আমার ০৯ জন শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ালেখা করে আসছে। এখন ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ায় পরীক্ষার ফলাফল ভাল হবেনা। এতে বিদ্যালয়ের পাশের হার কমে যাবে অপরদিকে ওই শিকক্ষার্থীদের একটি বছর শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, এর দায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিব এড়াতে পারেননা।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আবু সুফিয়ান বলেন,আমি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নিরাপত্তার ব্যাপারটি দেখি । সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের।
এ ব্যাপারে তুষভান্ডার আর এম এম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নলিনী কান্ত বায় বলেন, আমি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র নেয়ার জন্য থানায় যাই না। আমার প্রতিনিধিরা যান। ওই দিনের পরীক্ষার দায়িত্বরত পরিদ্রষ্ঠা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরাই দায়ি। এ বিয়য়ে কেন্দ্র সচিবকে প্রশ্ন আনার ব্যাপারে তার সংশ্লিষ্ট থাকা প্রয়োজন কিনা ? এ ব্যাপারে তিনি নিইে অসুস্থ্য তাই প্রতিনিধির দ্বারা প্রশ্নপত্র থানা থেকে আনার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন ওই কক্ষের ৪জন পরিদ্রষ্ঠাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, পরিপত্র যার স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০১২.১৬.১২৫, তরিখ-৪ ফেব্র“য়ারী ,২০১৮ খ্রিঃ মোতাবেক (খ)ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, কেন্দ্রর দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিষ্টেট/সরকারি কর্মকর্তা,পুলিশ কর্মকতা ও কেন্দ্র সচিবের উপস্থিতিতে পরিবহন ও খোলানো যাবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কন্দ্রে সচিব নিজেই প্রশ্নপত্র গ্রহন করেন না। এটা স্পষ্ট পরিপত্রের পরিপন্থি ।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন কমিটির সভাপতি মোঃ রবিউল হাসান জানান, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৩:২০ ৪৭০ বার পঠিত