নতুন ধানেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » নতুন ধানেও হাসি নেই কৃষকের মুখে
বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭



 ফাইল ছবি

বঙ্গ-নিউজঃ  প্রাকৃতিক দুর্যোগে কয়েক দফায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহীর তানোর উপজেলার আমনের আবাদ। এসব ধাক্কা কাটিয়ে এখন কৃষকের উঠোন ভরে গেছে আমন ধানে। তবে হাসি নেই কৃষকের মুখে। ধানের ফলন বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৩ হাজার ৩৮৭ হেক্টর জমি। এরমধ্যে তানোর উপজেলায় ২১ হাজার ১’শ ৩০ হেক্টরের বেশি জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছিল।

উপজেলার ২০ থেকে ২৫ জন কৃষকেরা জানান, এ বছর আমনে প্রতি বিঘায় গড়ে ধান হচ্ছে ১০ থেকে ১৩ মণ করে। যেখানে গত বছর হয়েছিল ১৯ থেকে ২৩ মণ। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম রয়েছে প্রতিমণ ৮৪০ থেকে ৮৯০ টাকা পর্যন্ত। তবে গত বছর এ সময় ধানের দাম ছিল প্রতিমণ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। তাদের হিসাবে গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই ধানের দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বেশি।

আরও জানান, সরকার প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে আমন ধান কিনবে। নির্ধারিত এ মূল্যে এক মণ ধানের দাম ১০৪০ টাকা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে ধান কেনা শুরু না হওয়ায় ধানের বাজারে নির্ধারিত ওই দামের কোন প্রভাব পড়েনি।

উপজেলার তালন্দ গ্রামের কৃষক সাইদ রানা। সাড়ে আট বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চলতি মৌসুমে আমন চাষাবাদ করেছিলেন তিনি। এ কৃষকের ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে বুধবার। তার বিঘা প্রতি ১৩ মণ করে ফলন হয়েছে। জমির মালিককেই তার দেওয়া লাগবে প্রতি বিঘায় ১০ মণ করে ধান।

তিনি জানান, ক্ষেতে অনেক টাকা খরচ ও পরিচর্যা করে ধান ভালই হয়েছিল। কিন্তু ধান আধাপাকা অবস্থায় দুই দিনের নিম্নচাপ ও ঝড়ো হাওয়াই তার ক্ষেতের অর্ধেকের বেশি ধান মাটিতে পড়ে যায়। সে সাথে পোকার আক্রমন দেখা দেয়। এসব কারণেই তার ফলন বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

এমন ফলন বিপর্যয় শুধু কৃষক সাইদ রানার একার নয় বরং পুরো বরেন্দ্র অঞ্চলের শতকরা ৮২ ভাগ কৃষকের এবার ফলন বিপর্যয় হয়েছে প্রাকৃকিত দুর্যোগ ও পোকার আক্রমণের কারণে।

বুধবার উপজেলার তালন্দ হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে নতুন ধানে ভরে গেছে। হাটে নতুন সুমন স্বর্না জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৮৩০ থেকে ৮৭৫ টাকায়। এ হাটে জমজমাট ভাবে ধান কেনা-বেচা চলছে।

ফলন বিপর্যয়ের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার আমন ক্ষেতে ধানের মাথা দেখে মনে হচ্ছিল শতভাগ বাম্পার ফলন হবে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে পোকা-মাকড় দমনে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। কিন্তু শেষের দিকে এসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অধিকাংশ পাঁকা ধান মাটিতে পড়ে যায়। ফলে শেষ সময়ের দুর্যোগে ধানের ফলন কমে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৫:৫৩   ১৩৪২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থ ও বানিজ্য’র আরও খবর


অর্থনীতি নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ
ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সরানো নিয়ে প্রশ্ন
চেক ডিজঅনার মামলার রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের আড়ালে হুন্ডি, গ্রেপ্তার ৬
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক নানা সংকট সত্ত্বেও বাড়লো মাথাপিছু আয়
বাংলাদেশ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে : মার্টিন রাইজার
আইএমএফ এর সাথে সমঝোতা : সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে
আইএমএফ এর ঋণ গ্রহণ করা হবে নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
টবগী-১ কূপে পাওয়া যাবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আর্কাইভ