বঙ্গ-নিউজঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে ৫৭৩ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই টালমাটাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় সেশনে চারটি উইকেট হারানোর পর শেষ সেশনের শুরুতেই আরও দুইজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরেছে। ৬৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিল থেমেছে কিছুক্ষণ ধরে। লিটন দাস প্রতিরোধ গড়েছেন তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে। ইনিংস সেরা ৫০ রানের জুটি গড়ার পথে তিনি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। তবে তার পঞ্চাশ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ পরই তাইজুল বোল্ড হয়েছেন। ৩২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় শুরু হয়ে সৌম্য সরকারকে দিয়ে। টেস্টে ধারাবাহিকতা রাখতে পারছেন না তিনি, পারলেন না ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম ইনিংসেও। আগের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার ইনিংসে ৬৫ রান করা এ ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টে খেলেননি। তামিম ইকবালের ইনজুরিতে জায়গা পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন সৌম্য। ইনিংসের সপ্তম ওভারে মাত্র ৯ রানে তিনি বোল্ড হন কাগিসো রাবাদার বলে।
দুই ওভার পর মুমিনুল হক বিদায় নেন ৪ রানে। ডুয়েন অলিভিয়ের তাকে কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ বানান। ডানহাতি এ পেসার তার পরের ওভারে মুশফিকুর রহিমকে (৭) আউট করেন। তেম্বা বাভুমা একহাতে অসাধারণ ক্যাচ ধরে বাংলাদেশের অধিনায়ককে ফেরান।
ওয়েন পারনেলের শিকার হয়ে মাহমুদউল্লাহ মাত্র ৪ রানে সাজঘরে যান কিছুক্ষণের মধ্যে। ২৬ রান করে আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস, রাবাদার দ্বিতীয় শিকার তিনি। পরের ওভারে রাবাদা তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাব্বির রহমানকে রানের খাতা না খুলতে দিয়ে। এরপর দাঁড়িয়ে গেলেন লিটন ও তাইজুল। অলিভিয়ের এ জুটি ভাঙেন তাইজুলকে বোল্ড করে।
শনিবার বৃষ্টিতে দেড় ঘণ্টা দেরিতে শুরু হলেও ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকা রানের পাহাড় গড়ে তোলে। এইডেন মারক্রাম ও ডিন এলগারের পর হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসিসের সেঞ্চুরিতে পাঁচশ রান ছাড়ায় স্বাগতিকরা। দিনের একমাত্র উইকেট বাংলাদেশ পায় লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই। দ্বিতীয় সেশনে আধঘণ্টা খেলে ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ঘর ছিল শূন্য। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনে একটি উইকেটও পায়নি বাংলাদেশ। আমলা ও দু প্লেসিসের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা লাঞ্চ বিরতিতে যায় ৩ উইকেটে ৫৩০ রানে।
তার আগে আমলার পর সেঞ্চুরি করেন দু প্লেসিস। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পান প্রোটিয়া অধিনায়ক। তার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি পূরণ করেন আমলা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শতক পূরণ করেন তিনি। যাতে তিনি সেঞ্চুরির সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেলেন প্রোটিয়াদের সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথকে (২৭ সেঞ্চুরি)।
সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়েছে ব্লুমফন্টেইনে। তাই বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। টাইগারদের বিপক্ষে দিনের খেলা শুরু করেন আমলা ও দু প্লেসিস। ইনিংসে ২৪৭ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন তারা।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই ভাঙে প্রায় আড়াইশ রানের এ জুটি। আমলাকে বোল্ড করেন শুভাশীষ রায়। ১৬৩ বলে ১৭ চারে ১৩২ রান করেন আমলা।
লাঞ্চের পর ৭ ওভার খেলেই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। এ সময় মাঠেই ছিলেন অধিনায়ক দু প্লেসিস। ১৩৫ রানে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮১ বল খেলে। দুটি করে চার ও ছয় মেরে ২৮ রানে খেলছিলেন কুইন্টন ডি কক।
দ্বিতীয় দিনের শুরুর মতো প্রথম দিনও চরম হতাশায় কেটেছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার দাপুটে ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে সফরকারী বোলারদের। প্রথম দিনেই প্রোটিয়ারা স্কোরে জমা করে ৩ উইকেটে ৪২৮ রান। সেই হতাশা ঝেড়ে নতুন উদ্যোমে দ্বিতীয় দিনের মিশনে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার এলগার ও মারক্রাম পান সেঞ্চুরির দেখা। ১১৩ রান করেন এলগার। আর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পূরণ করে মারক্রাম খেলেছেন ১৩৩ রানের ইনিংস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ২৪৩ রান। গতকাল তাদের জুটি ভাঙার পর দাঁড়িয়ে যান আমলা ও দু প্লেসিস।
শতাধিক রান দিয়ে রানের পাহাড়ের ভিত গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের চার বোলার- মোস্তাফিজ (১১৩), শুভাশীষ (১১৮), রুবেল হোসেন (১১৩) ও তাইজুল ইসলাম (১৪৫)। দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেটের মধ্যে তিন
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৬:০১ ৬৩৮ বার পঠিত