আল আমিন আহম্মেদ সুনামগঞ্জ প্রধিনিধি বঙ্গ-নিউজ:কর্মীরা মনোবল হারাবেন না সুনামগঞ্জ-১ বাসীর ভালবাসা আমাদের অনুপ্রেরণার ও দায়বব্ধতার উৎস। এটি সত্য যে রাজনীতি নাকরলেও আমার অনেক কিছু করার ছিল এবং আছে। আমি একাডেমিক জগতে - কি গবেষণা, কি কনফারেন্স, কি কলাম লেখা, কি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, কি দেশ, কি বিদেশ - কোন জায়গায় কনফিডেন্ট লেভেলের সামান্যতম ঘাটতি বোধ করিনা। তারপরও মানুষের মুক্তি, এলাকার উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রের স্বার্থেই আমি রাজনীতি করছি। এটি একটি বড় সেক্রিফাইস। এই কারণে যে এখানে প্রতিবন্ধকতা অনেক বেশি…পথটি মোটেই মসৃণ নয়…ভাল মানুষের জন্যত খুবই কণ্ঠকাকীর্ণ। অধিকন্ত সম্পূর্ণ সততা ও কষ্টের সাথে উপার্জিত অর্থ অঢেলভাবে ব্যায় করতে হচ্ছে।
আলোচনার প্রক্ষিত হল একটি বড় সভায় আমি যাইনি …হাজার হাজার মানুষের এবং শত শত কর্মীর প্রশ্ন কেন আসিনি? “মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে, কর্মীদের স্বপ্ন দেখিয়ে আপনি ফিরে যেতে পারেন না।” কাউকেই ব্যাখ্যা করতে পারিনি কি পরিস্থিতির ভিতর ছিলাম আমি …আসার রাস্তাটা কতটা জটিল ছিল বা বিব্রতকর ছিল। অধিকন্ত মায়ের সিরিয়াস অসুখ - চিকিৎসায় ব্যাস্ততা। এর পর যখন আসলাম কোথা থেকে, কারা সভায় হামলা করল? কি আমাদের অপরাধ ছিল? শোকাবহ আগসট নিয়ে আলোচনায় হামলা!! এরপরও তারা দাবী করবে তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক স্কুলের অনুসারী!! এটি এখন প্রিয় সুনামগঞ্জবাসীর কাছে জিজ্ঞাসা। সময় আসলে দলের সাধারণ সম্পাদক মহোদয়ের কাছে, এমনকি দলের স্বার্থে প্রয়োজন হলে মাননীয় নেএীর কাছেও জানতে চাব। কোনভাবেই শস্যের চেয়ে আগাছা বেশী হতে দেয়া যায়না।
তবে আমরা একেবারেই প্রতিহিংসার বা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। তাই বলে কর্মীদের উপর অন্যায় মেনে নেয়া যায়না বা হবে না।এরূপ অন্যায় দ্ঢ়রতার সাথে প্রতিবাদ ও প্রতিহত করায় প্রিয় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং আমার নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করায় কর্মীদেরকে ধন্যবাদজানাচ্ছি। তবে এই হামলা আমাদের অনুপ্রেরণার কারণ হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে এই ধাপে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জনসভা,পথ সভা, উঠান বৈঠক, জনসংযোগ ও মতবিনিময় করি। ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করি। দিন রাএি কাজ করি। বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষটা করি। আমরা ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুরের বিভিন্ন স্থানে, সুনামগঞ্জ ১ আসনের হাট-বাজার, ইউনিয়ন, গ্রামে-গঞ্জে সব জায়গায় গিয়েছি।
মানুষের ভালবাসা, আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা আমাদেরকে অবিভুত করেছে। মানুষের মনের কথা, বেদনার কথা শুনেছি। হাওড় জনপদের মানুষের যাপিত জীবন ও জীবিকার সুযোগের অপ্রতুলতা ও বঞ্ছিত হওয়ার কথা, বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বঞ্ছনার কথা, এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত পশ্চাদপদতার কথা শুনেছি। মানুষ এখন আলোকিত নেতৃত্ব চায়। অনেক প্রতিকুলতার মাঝেও আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি ও দায়িত্ব থেকে পিছপা হইনি এবং হবনা। আমরা আমাদের ভিশন প্রকাশ করিঃ “সুনামগঞ্জ-১ তথা সুনামগঞ্জের শিক্ষা-স্বাস্থ্য,আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত এবং গণমানুষের জীবন মানের সত্যিকারের উন্নয়ন।”
যাহোক, কর্মীদের ও জনগণের আমাকে আরও জানা প্রয়োজন। ঢাকা কলেজ থেকেই ছাত্রলীগ করি। সাথের বা সমসাময়িক অগ্রজদের মধ্যে যারা ফুল টাইম রাজনীতিবিদ তাদের অনেকেই কেন্দ্রীয় বা তদ উপকমিটিসমুহের নেতা ছিলেন বা আছেন। সরকারী চাকুরি যারা করেন তাদের অধিকাংশই এসপি বা ডিসি পদমর্যাদার বা তদূর্ধ্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা যারা করেন তারা সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক পদমর্যাদার। সাংবাদিকতা ও অন্যান্য পেশায় সবাই সিনিয়র। বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি বলেই কর্মজীবনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ করি। জননেত্রী তার অসামান্য ত্যাগ ও নেতৃত্বে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে, আধুনিক ও ক্রম উন্নত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখেন। তার এই লড়াইয়ে ১৯৯২-৯৩-৯৪-৯৫-৯৬ সময়ে ঢাকা কলেজের সাউথ হোস্টেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র হিসেবে রাজপথের সংগ্রামের সামান্যতম অংশীদার হিসেবে এবং কর্মজীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা, উন্নয়ন ও গবেষণা কর্মসূচীর সমন্বয় এবং শিক্ষকতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও নেত্রীর সাধনার পথে একজন সামান্য কলম সৈনিক হিসেবে কিঞ্চিৎ গর্ব বোধ করি। আমি মনে করি এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ করার পাশাপাশি নেত্রীর সাধনার পাশে মুল ধারার রাজনীতি সিরিয়াসলি করার।বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও নেত্রীর সাধনার ফল অব্যাহত রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর পলিটিকাল স্কুলের মানদণ্ড বা উচ্চতা বজায় রাখতে এটি জরুরি ।
অধিকন্তু, রাজনীতিবিদগণ এবং সচেতন জনগণ জানেন যে আমরা এখন পোস্ট ক্যাপিটালিস্ট (পুঁজিবাদ উত্তর) বিশ্ব কাঠামো ও সমাজ ব্যাবস্থায় বাস করছি। এটি নলেজ বেইজড বিশ্ব ব্যাবস্থা। এই ব্যাবস্থায় রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে পুঁজির চেয়ে মেধা ও দক্ষতার মূল্য অনেক বেশি। ক্যাডার ভিত্তিক শক্তির মূল্যত একেবারেই নেই। সামনের সময় আরও কঠিন। সামনে বিশ্ব কাঠামোর সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুততার সাথে (যেমন দক্ষিণ কোরিয়ার মত) এগিয়ে যেতে হলে আমাদের আগামী নেতৃত্বে আসতে হবে বঙ্গবন্ধুর হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট দৌহিত্রের নেতৃত্বে একটি নলেজ বেইজড প্রজন্ম। দল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তেমনটিই ভাবছেন বলে প্রতীয়মান। প্রেক্ষিত বিবেচনায় জনগণ চাইলে ইনশা আল্লাহ বিজয় আমাদেরই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আহবায়ক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা
যুগ্মআহবায়ক, ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চেয়ারপার্সন, আন্তর্জাতিক পোস্ট গ্রাজুয়েট কার্যনির্বাহী কমিটি, নিডা-ব্যাংকক ফেলো, এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, ম্যানিলা
পেশাঃ উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা
শখঃ সমসাময়িক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, কলাম লেখা এবং আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন.
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৭:২৮ ১৪১৪ বার পঠিত #bangla news #bangla newspaper #bangladesh news #bd news #daily newspaper #World News