ফজলুল হক (গাজীপুর প্রতিনিধি)বঙ্গ নিউজ ডটকমঃ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ৭ নং ঢালজোড়া ইউনিয়নের ঢালজোড়া পশ্চিম পাড়া একটি আজপাড়া গ্রাম। ঐ গ্রামের আব্দুল খালেক একজন গরীব খেটে খাওয়া মানুষ। তার (১৪) বছরের কিশোরী কন্যা স্থানীয় আড়াই গঞ্জ আজিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। বিগত দু,বছর দরে একই এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের ইছামুদ্দিনের পুত্র আরিফ হোসেন (২৪)আব্দুল খালেকের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াত। গরীব আব্দুল খালেক প্রাই কর্মের সন্ধানে বাড়ীর বাইরে থাকত এবং তার স্ত্রীও সাংসারিক কাজে ব্যাস্ত থাকত। এভাবে দীর্ঘদীন গরীব আব্দুল খালেকের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার মেয়ের প্রতি যুবক আরিফের কু-দৃষ্টি পরে। এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর বিগত ০৩ ফেব্রুয়ারি ১৭ ইং তারিখে যুবক আরিফ গরিব আব্দুল খালেকের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ফলে আব্দুল খালেকের মেয়ে গর্ভবতী হয়। আব্দুল খালেকের মেয়ে আরিফকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়, কিন্তু লম্পট যুবক এ কথাটি তার অভিবাবক বাবা মাকে বিষয়টি জানানোর নিষেধ করে । ও দিকে বিষয়টি আঃ খালেক ও তাঁর স্ত্রী আন্ধাজ করতে পেরে আরিফের বাবা মার কাছে প্রকাশ করে। লম্পট আরিফ আঃ খালেকের মেয়েকে প্রলুদ্ধ করে বলে আগে বাচ্চাটা নষ্ট কর,পরে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রতি দেয়। এদিকে আঃ খালেকের মেয়ের পেটে (৪)মাসের বাচ্চা বর হতে থাকে। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে আঃখালেকের মেয়ে লম্পট আরিফের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে বিয়ের জন্য পিড়াপিড়ি করতে থাকে। কিন্তু আরিফের নিকট আত্নীয় এলাকার প্রভাবশালী আরিফের মামা আব্দুস সামাদ ও খালু দেলোয়ারের কুপরামর্শে বাবা ইছামুদ্দিন (৫০)ও মা মোছাঃ রাহেলা বেগম(৪০) এ বিয়েতে অস্বীকার করে। লম্পট আরিফ জানায়,বিয়ে পরে হবে আগে গর্ভপাত করতে হবে। বিগত ১২ জুলাই ১৭ ইং তারিখে বিয়ের কথা বলে আঃ খালেকের মেয়েকে পাশ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীতে অবস্থিত উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। আরিফের মামা এলাকার প্রভাবশালী আব্দুস সামাদ ও খালু দেলোয়ারের কু-পরামর্শে স্ব-শরীরে উপস্থিতিতে বাবা ইছামুদ্দিন ও মা মোছাঃ রাহেলা বেগমে এর প্ররোচনায় জোর করে ওই মেয়েকে গর্ভপাত করানোর ঔষধ খাইয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন ১৩ জুলাই ১৭ ইং তারিখে ওই মেয়ে গর্ভপাতে এক মৃত সন্তান প্রসব করে। মেয়ে গরুত্বর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শর্যাশায়ী হলে বাধ্য হয়ে তার বাবা আঃ থালেক ও তাঁর স্ত্রী মেয়েকে নিজ বাড়িতে এনে স্থানী ডাক্তার দ্বারা সুচিকিৎসা করেন। সুস্থ হওয়ার পর ওই মেয়ে লম্পট আরিফকে বিয়ের দাবী করলে, আরিফ জানায়, তোমার রাস্তা তুমি দেখ আমি রাস্তা আমি দেখি। আবার লম্পট আরিফের মামা,খালু,বাবা,মা অনত্র আরিফের বিয়ের জন্য কন্যা দেখছে এ কথা জেনে গরীব অসহায় আঃ খালেক ভেঙ্গে পড়েন। নিরুপায় হয়ে আঃখালেক স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে লম্পট আরিফের মামা,খালু, বাবা ও মা কেউ এতে কর্ণপাত করেনি। ভিকটিমসহ তার পরিবার পরিজন তথা আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা খুজে পাওয়া যায়। এলাকায় সাংবাধিক এসেছে জেনে পার্শ্ববর্তী আড়িইগঞ্জ বাজারে শত শত উৎসক জনতা ভির করে, এসব মানুষের সাথে সরাসরি কথা বললে তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং লম্পট আরিফের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবে উপস্থিতা প্রায় ৯৯% মানুষই গরীব আঃ খালেকের পক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেন। এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং৪৮ তাং ২২/০৭/২০১৭। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক আঃ হাকিম বলেন, মামলার ১ নং আসামী আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৫:২১ ৮২৩ বার পঠিত