বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতায় সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল, ১০ কোটি টাকা জরিমানা

Home Page » জাতীয় » বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতায় সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল, ১০ কোটি টাকা জরিমানা
সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭



বঙ্গ-নিউজ: বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল এবং ১০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘বিদ্যুৎ আইন, ২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক

শফিউল আলম বলেন, ‘কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি বা অন্য যন্ত্রপাতি নাশকতার মাধ্যমে ভেঙে ফেললে বা ক্ষতিগ্রস্ত করলে তাকে সর্বনিম্ন সাত বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হবে, বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে। আগের আইনে এ বিধানটি ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ আইন-১৯১০ আধুনিক করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পরিপত্র জারি করে আগেই অনেক বিষয়ে পরিমার্জন করা হয়েছে।’

সূত্র জানায়, নতুন আইনে রেলপথ, মহাসড়ক, বিমানবন্দর, জলপথ, খাল, ডক, ঘাট ও জেটিসহ বিভিন্ন সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন স্থাপনকালে টেলিগ্রাফ, টেলিফোন বা বিদ্যুত-চুম্বকীয় সংকেত প্রদানকারী লাইন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে, যাতে সংকেত প্রদানকালে যোগাযোগ কাজের কোনো ক্ষতি না হয়।

আইনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণের সঠিক হিসাব রাখা ও নিরীক্ষা কাজে যে কোনো স্থানে লাইসেন্সিকে মিটার স্থাপনের নির্দেশ দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। আইনের ১৮ ধারার উপধারা-২ এ বিদ্যুত সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনো গ্রাহকের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে কোনো আদালত লাইসেন্সিকে উক্ত গ্রাহকের বিদ্যুত পুনঃসংযোগ দেয়ার আদেশ দিতে পারবে না। একই উপধারায় বিল প্রণয়ন ও আদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্মচারির দায়িত্বে অবহেলায় কোনো বিল অনাদায়ী থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্মচারীকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কোনো গ্রাহক মিটার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা উপকেন্দ্র স্থাপনে কোনো ভুমি সরকার অধিগ্রহণ করলে তা জনস্বার্থে প্রয়োজন বলে বিবেচিত হবে । তবে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুসরণ করবে সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো বেসরকারি কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপকেন্দ্র বা গ্রিড উপকেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে কোনো ভূমির প্রয়োজন হলে ভূমির মালিকের নিকট হতে ক্রয় বা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রচলিত আইন এবং বিধি-বিধান অনুসরণ করে ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৫:০৮   ৫৫৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জাতীয়’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ