বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং সসার

Home Page » ফিচার » বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং সসার
রবিবার, ১০ মার্চ ২০১৩



sosar1.jpgসাবিহা বঙ্গনিউজ.কম”ইরান সম্প্রতি একটি নতুন আকাশযান তৈরি করেছে। ইরানের গবেষকদের দাবি, তাদের তৈরি এই যানটিই বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং সসার। ইরানের তৈরি চালকবিহীন এই আকাশযানটির নাম রাখা হয়েছে ‘জোহাল’, যার ইংরেজি অর্থ Saturn আর বাংলা করলে দাঁড়ায় শনি। এটা এখনো পরিষ্কার না, ফ্লাইং সসারটি কতদূর উড়তে সক্ষম হবে বা কত উচ্চতায় উঠতে পারবে বা এটি কত বড় হবে অথবা এটি দিয়ে তাঁরা আসলে কি করবেন। গবেষকরা জানিয়েছেন,

 এরিয়াল ফটোগ্রাফি(aerial imaging)বা আকাশ থেকে ছবি তোলার জন্য তৈরি হলেও এই সসারটি নানারকম মিশনেও অংশ নেবে। ইরানের গবেষকদের দাবী করা বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং সসারটি দেখতে ১৯৫০-এর দশকে হলিউডের বি ক্যাটেগরির সিনেমায় দেখানো ভীন গ্রহ থেকে আসা চাকতি আকারের ফ্লাইং সসার-এর মতো। যদিও এর আকার-আকৃ্তি সম্পর্কে তারা কিছুই বলেননি। তবে তাঁরা তাঁদের দাবী করার মধ্যে একটি ক্ষুদ্র ও অদ্ভুদ তথ্য নির্দেশ করেছেন যে এটি indoor-এও উড়তে পারবে। তবে ISNA (Iran’s students’ news agency) জানিয়েছে, সসারটি অধিকতর সহজেই চালু হয়, উড্ডয়ণ ও অবতরণ করে এবং অপেক্ষাকৃত কম শব্দ করে। ISNA আরো জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের উলম্বমুখী উরুক্কুদের সাথে সমন্বয় রেখে এটি মূলত আকাশ থেকে ছবি তোলার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যার জন্য এতে আছে ১০ মেগাপিক্সেল-এর ক্যামেরা। এর মাধ্যমে এটি একই সাথে ছবি তুলতে ও HD কোয়ালিটির ভিডিও ধারণ করতে পারবে। এতে রয়েছে অটোপাইলট, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার, জিপিএসসহ আরও অনেক সুবিধা। অনেকের মতে এটিতে আছে সহজে বহনযোগ্য একটি পোর্টেবল ল্যাণ্ড স্টেশন। TASP (Tehran’s ambitious space programme) পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যে পযুক্তি মহাকাশে মিসাইল পাঠাতে ব্যবহার করা হয়, এটি তার উন্নততর সংস্করন হতে পারে। যা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র বিদ্যা তথা মিসাইলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আর এতে ইরান প্রযুক্তিগতভাবে অনেক লাভবান হবে।

গতবছর দেশটি মহাকাশে সফলভাবে একটি রকেট উৎক্ষেপন করেছিল। আর এতে তারা একটি ইঁদুর, একটি কচ্ছপ এবং পোকা পাঠায়। তারা আগামী নয় বছরের মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাতেও সক্ষম হবে বলে আশাবাদী।

ইরানের রাষ্ট্রপতি জনাব মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, দেশটিতে পারমানবিক কর্মসূচীতে অন্যান্য দেশের পূর্ণ সমর্থন থাকলেও, কিছু কিছু দেশ-এর বিরোধীতা করছে। যা তাদের প্রাযুক্তিক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে। তবে বর্তমানে ‘জোহাল’-এর প্রাযুক্তির উন্নয়ন সাধিত হলে, তারা তাদের জবাব দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। আর এটি পশ্চিমাদের জন্য একটি সর্তকবানী বলেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।

কৌশলগত বা strategic প্রযুক্তির এক প্রদর্শনীতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ফ্লাইং সসারটির কথা প্রথম জানান। একই সময়ে ইরানের মহাকাশ সংস্থা, কক্ষপথে প্রাণের উপযোগী একটি মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন। মহাকাশযানটি Kavoshgar-4 (Explorer-4) নামের রকেটের মধ্যমে পাঠানো হয়। এ সময় এটি কক্ষপথের প্রায় ৭৫ মাইল পরিভ্রমন করে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ০:১০:৪৬   ৭৪৬ বার পঠিত  




ফিচার’র আরও খবর


অ্যানেন্সেফ্লাই কী? - রুমা আক্তার
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
“ম্রো’ আদিবাসীর গো হত্যা’ অনুষ্ঠাণ ” - তানিয়া শারমিন
আলোকিত স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় বর্ষে রবিকর ফাউন্ডেশন
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন রক্ষায় প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীল নীতির পর্যালোচনা
জিনগত ত্রুটির অপর নাম “ডাউন সিনড্রোম”- রুমা আক্তার
মোহাম্মদ শাহ আলমের জীবন ও কর্ম
ইসফাহান নেসফে জাহান
সিলেটে গ্রুপ ফেডারেশনের কর্মশালায় বির্তকিত মুরাদ- আয়োজকদের দুঃখ প্রকাশ
ডলারের দাম যেভাবে বাড়ছে, টাকার দাম কেন কমছে

আর্কাইভ