“চলুন সবাই হলে গিয়ে দেখি আমাদের আসল ঔরষজাত ছবি-”রাজনীতি”"-” আসিফ আকবর”

Home Page » ফিচার » “চলুন সবাই হলে গিয়ে দেখি আমাদের আসল ঔরষজাত ছবি-”রাজনীতি”"-” আসিফ আকবর”
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭



ছবিতে আসিফ আকবর,শাকিব খান,ফেরদৌস, শাবনুরবঙ্গ -নিউজঃ- আসিফ আকবর- চর দখলের স্টাইলে চলছে সিনেমা হল দখল। অল্প কিছু হল এখনো জীবিত আছে, সেগুলো দখল করে চলছে যৌথ প্রতারনার অবৈধ ছবি। হিন্দী ছবি সারফারোস,বাজী আর বাদশাহ ছবিগুলোর ককটেল সংস্করন নবাব, পোস্টারের ছবিটিও তেলেগু কপি (তথ্যসুত্র- বাংলা ট্রিবিউন) । বস-২ পুরোটাই বসগিরি করেই চালানো হয়েছে । বাংলাদেশে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওপারের মাড়োয়ারীদের সাথে সমঝোতা করে ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রীকে বানিয়েছে পলাশীর প্রান্তর। তাদের কাষ্টিং টেকনিক্যাল সাপোর্ট, অর্থ বিনিয়োগ এবং প্রভাব প্রতিপত্তির লাগামহীন আগ্রাসন চলছে ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রীতে। যৌথ প্রযোজনার নীতিমালাকে পদদলিত করে এদেশে শুরু হয়েছে মাড়োয়ারী ( পুরনো সুদ ব্যবসায়ী মাউরা) ব্যবসা,সেই সঙ্গে হুন্ডির চালানে চলছে টাকা পাচার ।

ঢাকাই ছবিতে প্রভাব বেড়েছে ক্যালকেশিয়ান উচ্চারনের, দেখার লোক হঠাৎ অন্ধ, শোনার লোক বধির। জায়েজ করার চেষ্টায় দু’একজন দেশী সঙ্গীতশিল্পী গেটিস হিসেবে গাইছে যৌথ প্রতারনার ছবিতে। বাংলাদেশের হাজারো শিল্পী গীতিকার সঙ্গীত পরিচালকদের যোগ্যতা নেই যৌথ প্রতারনার ছবিতে কাজ করার, অবশ্য এ পরিস্থিতি তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে চামচামির মাধ্যমে। মাড়োয়ারী অর্থায়নে এখনকার কিছু গুনীরা বিক্রি হয়ে গেছেন আরো আগেই। নিজের স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে সিদ্ধহস্ত এ জাতির পুরনো প্রেতাত্মার উত্তরসূরি তারা। ঐ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পদলেহন কারীরাই ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত করে এ জাতিকে পড়িয়েছিলো গোলামীর জিঞ্জির ।

আমার এসব কথা ভালো লাগবেনা জানি, তারপরও মীর মদন, মোহন লাল আর ক্ষুদিরামের মত স্বাধীনচেতাদের চরিত্র কখনো বদলায় না, আমিতো নর্মাল আসিফ, তবে অকাল প্রয়াত প্রিয় নায়ক মান্না ভাইকে মিস করছি কমরেড হিসেবে । সাকিব বাংলাদেশের সেরা হিরো এই মুহুর্তে, যারা অস্বীকার করবে তাদের জন্য উপহার ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের ঘোলা শরবত ( পা’চাটা আঁতেল বাদে )। মাড়োয়ারীরা ব্রিটিশদের মত খেলছে “ DIVIDE N RULE ” গেম, সঙ্গে আছে দেশীয় দালাল প্রোডাকশান হাঊসটি। এই বিভক্তির খেলায় জয়ী হবে মাড়োয়ারীরাই। বাংলা ছবির অস্তিত্তের জন্যই এই ব্যাপারটি সাকিবকেও বুঝতে হবে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারকেও বুঝতে হবে। আসুন নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরী না করে দেশীয় ছবিতে মেধা খাটাই। নীতিমালা অনুযায়ী চলুক সিনেমা শিল্প। মাড়োয়ারী আর লোকাল এজেন্টদের রাজনীতির ছোবল থেকে বাঁচাই আমাদের সাকিব-অপুর রাজনীতি ছবিটি। চলুন সবাই হলে গিয়ে দেখি আমাদের আসল ঔরষজাত ছবি- রাজনীতি।

পুরনো ছবিতে আমরা আমর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৫:৩১   ১৩৩৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ফিচার’র আরও খবর


অ্যানেন্সেফ্লাই কী? - রুমা আক্তার
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
“ম্রো’ আদিবাসীর গো হত্যা’ অনুষ্ঠাণ ” - তানিয়া শারমিন
আলোকিত স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় বর্ষে রবিকর ফাউন্ডেশন
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন রক্ষায় প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীল নীতির পর্যালোচনা
জিনগত ত্রুটির অপর নাম “ডাউন সিনড্রোম”- রুমা আক্তার
মোহাম্মদ শাহ আলমের জীবন ও কর্ম
ইসফাহান নেসফে জাহান
সিলেটে গ্রুপ ফেডারেশনের কর্মশালায় বির্তকিত মুরাদ- আয়োজকদের দুঃখ প্রকাশ
ডলারের দাম যেভাবে বাড়ছে, টাকার দাম কেন কমছে

আর্কাইভ