বঙ্গ-নিউজঃ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই এখন চরম উত্তেজনা। গত কয়েকদিন ধরে সমর্থকদের মধ্যে এই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল।
তবে মাঠের খেলায় কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারল না টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে আকস্মিক ধসের পর নখদন্তহীন বোলিংয়ে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ হলো বিরাট কোহলির ভারত। বিরাট কোহলি অপরাজিত রইলেন ৯৬ রানে। রোহিত শর্মা অপরাজিত ১২৩। সেমিফাইনালের এই ম্যাচ হারের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শেষ হলো মাশরাফি বাহিনীর।২৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ভারত। হতাশার মাঝেও প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বলে মোসাদ্দেক হোসেনের তালুবন্দী হলেন ৪৬ রান করা শিখর ধাওয়ান। এই ইনিংস খেলে তিনি তামিম ইকবালকে টপকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন। এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার অবিচ্ছিন্ন ১৭৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল ভারত।
এর আগে বার্মিংহামের এজবাস্টনে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাধায় বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়। সেমিফাইনালের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন জাতীয় দলের তরুণ ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ১ রানে কোনো রান না করেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলে তিনি বোল্ড হয়ে যান। সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর উইকেটে এসেই ঝলসে উঠেছিলেন সাব্বির রহমান। বাউন্ডারি হাঁকালেন ৪টি। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানে ভুবনেশ্বর কুমারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের স্লোয়ার বলে চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে।
এরপর দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের অতি প্রয়োজনীয় জুটি গড়েন। কিন্তু ক্যারিয়ারের আবারও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে কেদার যাদবের বলে বোল্ড হয়ে যান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে তিনি ৮২ বলে ৭ চার এবং ১ ছক্কায় গড়া ৭০ রানের দারুণ কার্যকর এক ইনিংস খেলেন। এটি তামিমের ক্যারিয়ারের ৩৮ তম হাফ সেঞ্চুরি।
তামিম আউট হওয়ার পরই আচমকা এলোমেলো হয়ে যায় টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। ৮৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬১ রান করা মুশফিক কেদার যাদবের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন। ২ রানের ব্যবধানে আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১৫ রান করেই জাদেজার বলে ধোনির গ্লাভসবন্দী হন। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৫ রান করা মোসাদ্দেক বুমরাহর হাতেই কট অ্যান্ড বোল্ড হন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদও ভরসা দিতে পারেননি। ২১ রান করে তিনিও বুমরাহর শিকার হন। এরপর মাশরাফির ২৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩০* রান আর তাসকিনের ১১* রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০:৫১:৩২ ৪৬২ বার পঠিত