ভারতের থেকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ আনছে বাংলাদেশ

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » ভারতের থেকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ আনছে বাংলাদেশ
মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭



 abul mal abdul muhit says central bank involve in money theft scam

বঙ্গ-নিউজঃ ভারতের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত বিশ্বের আর কোনো দেশকে এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ দেয়নি। জানা গেছে, এই ঋণের জন্য ভারতকে বার্ষিক ১ শতাংশ সুদ এবং ০.৫ শতাংশ ‘কমিটমেন্ট ফি’ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এই ঋণ গ্রহণের চুক্তি হতে পারে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে।

জানা গেছে, ভারতের কাছ থেকে এই ঋণ এনে সংযোগ কার্যক্রম, রেলওয়ে এবং সড়ক উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে। উত্তর ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সড়ক পথে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট বানানোর চিন্তা আছে ভারতের। ধারণা করা হচ্ছে, ঋণের বেশিরভাগ অর্থ এই উদ্যোগেই ব্যবহার করা হবে। এমন ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো এই ঋণের বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যাওয়ার আগে ঋণের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনার জন্য ভারত সফরে গেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি ঋণ গ্রহণের আগের দিকগুলো দেখে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ সময় পাবে ২০ বছর। এ সময়ের মধ্যে এক শতাংশ সুদ ও আধা শতাংশ কমিটমেন্ট ফিসহ মূল টাকা ভারতকে ফেরত দিতে হবে। বলা হচ্ছে, এক দেশের প্রতি আরেক দেশের দেয়া ঋণে এতো কম সুদের কোনো নজির নেই।

কর্মকর্তাদের বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ঋণের টাকা দিয়ে ভারতের ট্রানজিট পথ তৈরি ও উন্নয়নের পাশাপাশি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হবে, এমন দুটি ফেরি পথের কার্যক্রমও এগিয়ে নেয়া হবে।

সংযোগ উদ্যোগগুলো সফল হলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যা ব্যবহার করতে পারবে ভারতও; ঋণ গ্রহণের চুক্তিতে এ ধরনের কোনো ধারা থাকবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

বাংলাদেশের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের সংবাদ মাধ্যমটিকে বলেছেন যে, চীন বাংলাদেশকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশ ‘বিশেষ বন্ধু’ ভারতের কাছ থেকেই ঋণ নিতে রাজি হয়েছে।

নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া বাংলাদেশি কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন যে, চীন ঋণ দেয়ার আগে জানতে চেয়েছে কী ধরনের উদ্যোগ ও কার্যক্রমে তা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ভারত তা জানতে চায়নি। ভারতের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার এটাও একটি বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামী শুক্রবার ভারতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তার মূল ব্যস্ততা শনিবার। এ দিন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ দিন মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাদের অংশগ্রহণের পুরস্কারও দেয়ার কথা আছে তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২১:২৫   ৩২১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থ ও বানিজ্য’র আরও খবর


অর্থনীতি নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ
ইসলামী ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সরানো নিয়ে প্রশ্ন
চেক ডিজঅনার মামলার রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের আড়ালে হুন্ডি, গ্রেপ্তার ৬
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক নানা সংকট সত্ত্বেও বাড়লো মাথাপিছু আয়
বাংলাদেশ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে : মার্টিন রাইজার
আইএমএফ এর সাথে সমঝোতা : সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে
আইএমএফ এর ঋণ গ্রহণ করা হবে নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
টবগী-১ কূপে পাওয়া যাবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

আর্কাইভ