বঙ্গ-নিউজঃ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যাকে ‘নব্য জেএমবির’ অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান হিসেবে দাবি করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার মো. মিজান (৬০) নব্য জেএমবিতে ‘বড় মিজান’ নামেও পরিচিত।
বুধবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকার কাকলী ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “মিজান ‘বড় মিজান’ নামেও পরিচিত ছিলেন। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করেন তিনি।
“হলি আর্টিজান হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলো মিজান সরবরাহ করে। পরে সেগুলো বসুন্ধরায় তানভীর কাদেরীর বাসায় তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানো হয়।”
গত বছরের ১ জুলাই রাতে অস্ত্র-বিস্ফোরক নিয়ে কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আটির্জান বেকারিতে জিম্মিদশা তৈরি করে জঙ্গিদের একটি দল। তাদের ঠেকাতে নিয়ে বেকারি থেকে ছোড়া গ্রেনেডে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
পরে জিম্মিদশার ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান শেষে বেকারির ভেতর থেকে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হয় হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলামসহ পাঁচ জঙ্গি; উদ্ধার করা হয় একটি একে-২২ রাইফেল ও বিস্ফোরকসহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র।
এ হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড তৈরির কাঁচামাল ও অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এর আগে গত ৩ নভেম্বর জেএমবির চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান হিসেবে গ্রেপ্তার মিজান সংগঠনটির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার ‘প্রধান দায়িত্বশীল’ বলে হিসেবে কাজ করত বলে জানান কাউন্টার টেরোজিম ইউনিটের কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, “মিজান আগে জুনুদ আল তাওহীদ নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিল। পরবর্তী সময়ে তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে নব্য জেএমবির বাইয়াৎ গ্রহণ করেন।
“বড় মিজানের নেতৃত্বে নব্য জেএমবির চাঁপাই সীমান্ত কেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, ডেটোনেটর ও জেল চোরাচালানের একটি চক্র বা সিন্ডিকেট তৈরি করে, যারা নব্য জেএমবির প্রায় সকল অস্ত্র, ডেটোনেটর ও জেল সরবরাহ করে আসছিল।”
মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ছানোয়ার বলেন, “তাকে রিমান্ডে পেলে তার সহযোগীদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।”
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৬:২৬ ১১২৮ বার পঠিত