বেসরকারি ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ ঘোষণা

Home Page » প্রথমপাতা » বেসরকারি ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ ঘোষণা
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬



university-grants-comission.jpgবঙ্গ-নিউজঃ দেশের ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।ইউসিজির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক চার বছর মেয়াদে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এসব পদে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে নিয়োগ দিলে সেটা বৈধ হবে না।’

তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য সাক্ষর ছাড়া কোন সার্টিফিকেট বৈধ হবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সম্পূর্ণ তথ্য জেনে তারপর ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অধ্যাপক মান্নান বলেন, ‘উপাচার্য নিয়োগ করার জন্য এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ না দেয়ায় নর্থ ওয়েস্টার্ন, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শীর্ষ তিনটি পদে নিয়োগ না দেয়ায় সৈয়দপুরে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কাদিরাবাদে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সনদও অবৈধ ঘোষিত হয়।

এশিয়ান এবং রয়েল ইউনিভার্সিটিতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উপাচার্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে শীর্ষ তিনটি পদে নিয়োগ না দেয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটির সনদ অবৈধ বলে জানিয়েছে ইউসিজি।

সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গত মার্চ মাস পর্যন্ত উপাচার্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের তিনটি পদ ফাঁকা থাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দুটির সনদ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সাল, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ২০১৩ সাল এবং দি পিপলস ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সির্টিতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপাচার্য ছিল। বর্তমানে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় সেগুলোর সনদও অবৈধ।

তবে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, সনদ অবৈধ ঘোষণা করা হলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রী বাতিল করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:১১:১৭   ৩৫৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ