বঙ্গ-নিউজঃ জাতীয় সংসদ
উচ্চ আদালতের বিচারকদের অবসরকালে আর্থিক সুবিধা বাড়াতে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬” পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
গত বছর (২০১৫ সালের) ৮ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া বিলে বাধ্যতামূলক সমর্পিত পেনশনের বিপরীতে প্রাপ্ত আনুতোষিকের হার বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান আইনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বিভিন্ন পর্যায়ে ২৩০, ২১৫ এবং ২০০ গুন হারে আনুতোষিক ভাতা পান। পাস হওয়া বিলটি এটিকে ২৬০, ২৪৫ ও ২৩০ গুণ হারে ভাতা পাবেন।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইন ১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, সপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকরা ১৯৮২ সালে অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাধ্যতামূলক সমর্পিত পেনশনের বিপরীতে নির্দিষ্টহারে আনুতোষিক পান। সরকার ২০১৩ সালে ডিসেম্বর মসে সরকারি কর্মচারীদের অবসর পরবর্তী জীবনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তান জীবন মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাধ্যতামূলক সমর্পিক পেনশনের বিপরীতে প্রদত্ত আনুতোষিক হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের উক্ত আনুতোষিকের হার এখনও বৃদ্ধি করা হয়নি। এমাতবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের বাধ্যতামূলক সমর্পিত পেনশনের বিপরীতে প্রদত্ত হার বৃদ্ধি করে বিল প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিলটি নিয়ে সংসদীয় কমিটি আলোচনার সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হলেও কেউ না আসায় তারা সময়মত এর রিপোর্ট দিতে পারেনি। পরে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের বেতন-ভাতা বাড়ানো এবং পেনশন সুবিধা সংক্রান্ত দুটি বিলের আলোচনাতেই একই ঘটনা ঘটে। বেতন ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলটি জরুরি হওয়ায় সংসদীয় কমিটি বিচারবিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সেটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে রিপোর্ট দিয়েছিল। এদিকে সংসদীয় কমিটিতে বিচারবিভাগের প্রতিনিধি আসা না আসা নিয়ে কমিটি ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিষয়টির সুরাহা হলে ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধি হিসেব রেজিস্ট্রার জেনারেল সংসদীয় কমিটিতে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত বিচার বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে রেজিস্ট্রার জেনারেল অংশ নিয়ে থাকেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট বিল-২০১৬
এর আগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট বিল-২০১৬” সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সামরিক শাসনামলে জারি করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলোর বিষয়ে মন্ত্রিসভার প্রদত্ত নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রণোদনা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিমিত্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট বিল-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৮:৩৮ ৩০৫ বার পঠিত