বঙ্গ-নিউজঃ ফরিদপুরের চর কমলাপুরে বাসিন্দা মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত উচ্চমান সম্পন্ন বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। ওয়ালটনের কারণে এখন কম খরচে বিভিন্ন ধরনের উচ্চপ্রযুক্তি পণ্য কিনে জীবনকে উপভোগ করতে পারছি।’
কুষ্টিয়ার থানাপাড়া এলাকার দরবেশ হাফিজ বলেন, ‘ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারে নিয়োজিত সকলের ব্যবহার খুব ভালো লেগেছে। দেশের পণ্য হিসেবে সারা বাংলায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এর আরো উন্নতি কামনা করি।’
উপরের মন্তব্য দুটি দু’জন ওয়ালটন গ্রাহকের। ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারে বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে এসে মন্তব্য খাতায় এরকম কথা লিখেছেন।
শুধু ফরিদপুর কিম্বা কুষ্টিয়া নয়; সারা দেশ থেকেই গ্রাহকরা এররকম মন্তব্য করেছেন ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে। কারণ পণ্যের উচ্চমান নিশ্চিতকরণ এবং বিক্রয়োত্তর সেবার মানের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র ওয়ালটন গ্রুপেরই রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস নেটওয়ার্ক। যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। গ্রাহকদের হাতের নাগালে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে প্রায় ৪৩ টি জেলা শহরে ৬২ পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২৮৪ টি প্লাজাতেও বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অব্যাহত রয়েছে আরো নতুন নতুন সার্ভিস সেন্টার ও পয়েন্ট চালুর প্রক্রিয়া। এছাড়া রয়েছে কল সেন্টার। ১৬২৬৭-এ ফোন করে সহজেই মিলছে কাঙ্খিত সেবা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরকে ‘সার্ভিস ইয়ার’ বা ‘সেবা বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল ওয়ালটন। সেই লক্ষ্যে এবছর সার্ভিস সেন্টারে লোকবল বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। গ্রাহকদের পরামর্শ ও ধারণা নিতে Ôsupport@waltonbd.com’ এবং `info@waltonbd.com’ নামে দুটি ইমেইল আইডি ডেডিকেট করেছে ওয়ালটন। সেবার মান জানতে চালু করা হয়েছে গ্রাহক সেবা মূল্যায়ন ফর্ম।
বর্তমান সেবা গ্রাহকবান্ধব কিনা এবং সেবার মান কীভাবে আরো বাড়ানো যায় সে বিষয়ে গ্রাহকদের পরামর্শ নিতেই এই উদ্যোগ। বিক্রয়োত্তর সেবা আরো সহজ করতে চালু হতে যাচ্ছে অন লাইনে পণ্যের সার্ভিস স্ট্যাটাস জানার ব্যবস্থা। মুদ্দা কথা, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে কতটা গ্রাহকবান্ধব হওয়া যায় তার দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চায় ওয়ালটন।
ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান মোঃ নিয়ামুল হক বলেন, ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, হোম-কিচেন ও ইলেকট্রিখ্যাল এ্যাপ্লায়েন্স বিক্রিতে ওয়ালটন বাংলাদেশে শীর্ষে। গ্রাহকরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। এখন তার সঠিক মূল্যায়নের দায়িত্ব আমাদের। আমরাও চেষ্টা করছি সর্বোচ্চমানের সেবা দিয়ে গ্রাহকের আস্থার প্রতিদান দিতে।
তিনি জানান, কল সেন্টারে আসা সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি এবং সেবার মান সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সেবার মান মূল্যায়নে দেশব্যাপী গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে গ্রাহক সেবা মূল্যায়ন ফর্ম। ইতিমধ্যে, এই প্রক্রিয়াটি ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারের মান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ধারণা দিচ্ছে। গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা আরো ভালো মানের সেবা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গোপালগঞ্জে ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারের সেবার মান সম্পর্কে গ্রাহক মোহাম্মদ তাজউদ্দিন লিখেছেন, তিনি ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টার থেকে আশাতীত ভালো সেবা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারের পরিবেশের অনেক ভালো। কর্মীদের ব্যবহার সন্তোষজনক। ওয়ালটনের কাছ থেকে এমন সেবাই দেশবাসী কামনা করে।
মোবাইল ফোনে কাঙ্খিত বিক্রয়োত্তর সেবা পেয়ে চট্টগ্রাম শহরের বিকেটিটিসি এলাকার বাসিন্দা মংথিন বলেন, আমি প্রথমবারের মতো ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টারে এসেছি। সেবা প্রদানকারীদের ব্যবহার ও তাদের সেবার মানে খুবই সন্তুষ্ট। তারা এসএমএস-এর মাধ্যমে আমার মোবাইল ফোনের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে জানান।
সিলেট চান্দিনগরের বাসিন্দা অরূপ শ্যাম বলেন, ‘দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে থাকবে। সেইসঙ্গে আরো ভালো সেবা দেয়ার ব্যাপারে তারা চিন্তাভাবনা করবে ওয়ালটনের কাছে এটাই আমাদের কাম্য।’
এদিকে রাজধানীর শানারপাড় এলাকার কলেজ রোডে বসবাসরত মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, ‘সেবা প্রদানকারীর ব্যবহার ও কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক। দ্রুত উচ্চমানের বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার এই প্রচেষ্টার জন্য ওয়ালটনকে অভিনন্দন জানাই।’
বাংলাদেশ সময়: ৮:১৮:১৭ ২৬২ বার পঠিত