বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

নেছার এ নিশানঃ
৩০-৩২ বছর বয়সে মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই মেদ জমে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানী করে তা নয়, মেদ শরীরে যে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধছে তাও নির্দেশ করে। পেটে অতিরিক্ত মেদ জমলে হতে পারে হার্ট এর অসুখ, বা ডায়বেটিস। পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে এক জিনিস ভাবলে ভুল করবেন। মনে রাখতে হবে, পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার মাধ্যমে কমানো যায় পেটের মেদ। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহন করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহন ও নি:শ্বাস ত্যাগ করা পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম।

প্রচুর আমিষ (প্রোটিন) সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়। চর্বি জাতীয় খাবার থেকে সবসময় দুরে থাকুন।

তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। তবে মধু ব্যবহার বাড়িয়ে দিন, পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

পেটে চর্বি জমার প্রবণতা প্রায় ৫গুন বৃদ্ধি পায় যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে। কারণ অসময়ের ঘুম শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।

লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। যে জায়গাগুলোতে হেঁটে যাওয়া সম্ভব সেখানে রিকশায় না উঠার চেষ্টা করুন। হাঁটাই সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম। এছাড়াও ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম যদি নিয়মিত করতে পারেন তাবে এগুলো আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে।

টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি কারনিটিন নামক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরী করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি শরীরের টক্সিন বা বিষকে বের করে দিয়ে মাংসপেশী গঠনেও সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৮:৪৮   ৪১৬ বার পঠিত