অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় তাবলিগ জামায়াত

Home Page » সারাদেশ » অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় তাবলিগ জামায়াত
শুক্রবার, ৫ আগস্ট ২০১৬



বঙ্গ-নিউজ: অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে তাবলিগ জামায়াত।tablighi_jamaat_-_edm_january_23__2013.jpg অপরাধ ঢাকতে কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য জঙ্গি, সন্ত্রাসী, চিহ্নিত অপরাধী ,খুনি কিংবা ডাকাত দলের সদস্যরা তাবলীগ জামায়াতের দাওয়াতি কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছে। যাচাই-বাছাই ছাড়াই দাওয়াতী কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী নেয়ায় নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে অপরাধীরা তাবলীগকে ব্যবহার করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।সূত্র জানায়, স্থানীয় মসজিদের আমিরের সুপারিশে যে কেউই তাবলীগ জামায়াতে যোগ দিতে পারেন। তাছাড়া কেন্দ্রীয় মার্কাজ মসজিদ থেকেও বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো দলের পক্ষ থেকে মসজিদে আসা মুসল্লি বা এলাকার বাসিন্দাদের দাওয়াত দিলে তাদের সঙ্গেও বেরিয়ে পড়া যায় দাওয়াতি কার্যক্রমে।

বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মার্কাজ মসজিদে বয়ানের (ইসলামী দাওয়াত) পর দলে দলে ভাগ করে বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয় দলগুলোকে। এসব দলে একজনকে আমীর বানানো হয়। পরে সংশ্লিষ্ট মসজিদে উঠে রান্না বান্নার আয়োজন শেষে এলাকায় বেরিয়ে পড়ে দলটি। তাদের অবশ্য স্থানীয় একজন লোক সহযোগিতা করেন। তাকে তাবলীগ জামায়াতের ভাষায় বলা হয় রাহাবার (পথ প্রদর্শক)। এই রাহাবারের দেখানো মতে এলাকার তরুণ, যুবক ও সাধারণ মানুষকে নামাজের জন্য দাওয়াত দেয়া হয়।

প্রত্যেককেই বলা হয় মসজিদে জামায়াতে নামাজে অংশ নেয়ার জন্য। এই দলটি মসজিদে যে কদিন অবস্থান করে সেই কদিন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের জামায়াত শেষে মোনাজাতের আগে একজন লোক দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন- ইনশাআল্লাহ বাকি নামাজ বাদ ঈমান আমল সম্পর্কে বয়ান হবে আমরা সবাই বসি বহুত ফায়দা আছে।

সূত্র জানায়, আল কায়দার সদস্য সংগ্রহে তাবলীগ জামায়াতকে কাজে লাগানোর অভিযোগ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংগঠন মিডল ইস্ট ফোরামের দাবি, জঙ্গি সংগঠন ‘হরকাতুল মুজাহিদিন’এর সব সদস্যই তাবলীগ জামায়াতথেকে আসা। আফগানিস্তানে সোভিয়েত হামলার পর তাবলীগ থেকেই সৃষ্টি হয় ‘হরকাতুল জিহাদ-ই ইসলামি’।

দেশ ভ্রমণে ভিসাপ্রাপ্তিসহ বিভিন্নভাবে তাবলীগ সন্ত্রাসীদের সহায়তা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানে যেসব সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ক্যুতে যুক্ত সবাই তাবলীগের লোক। লাহোরের একটি পত্রিকার সূত্র দিয়ে বলা হয়েছে তাদের অনেকে মার্কিন তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল মুজাহিদিনের সদস্য। এছাড়া সংগঠনের অর্থায়ন সম্পর্কেও কোথাও তারা সুস্পষ্ট কিছু বলে না। তাদের দাবি, তাবলীগে স্ব-অর্থসংস্থানে অংশ নেয় সবাই।

সন্ত্রাসী প্রসঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশে নানা ধরনের অপরাধী আত্মগোপনে তাবলীগকে ব্যবহার করছে। এই সংগঠনটির অর্থায়ন, সদস্য, কর্মকাণ্ডের খতিয়ান সরকারকে দেয়া হয় না। এদের শুরার সিদ্ধান্তও লেখা হয় না, শোনা যায়।

তবে তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, কেউ ইসলামের জন্য দাওয়াতি এ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করতেই পারে। তারা সন্ত্রাসী বা যেকোনো অপরাধী হোক না কেন। তবে তাবলীগে আসা লোকদের বিস্তারিত পরিচয় নেয়ার পদ্ধতি চালু করা দরকার বলে মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১:২৯:৫৩   ৩৭৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সারাদেশ’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত ওসমানীনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিক
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাস্তায় সমাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না বিএনপিকে : ডিএমপি কমিশনার
জানুয়ারি থেকে স্কুলে কোডিং, ডিজাইন ও অ্যানিমেশন শেখানো হবে :শিক্ষামন্ত্রী
দেশ বাঁচাতে নৌকায় ভোট দিন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ মাস সময় বাড়ল আয়কর রিটার্ন দাখিলের
প্রকাশ হলো ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি , পদসংখ্যা ২৩০৯
সোহরাওয়ার্দীতে যে ২৬ শর্তে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি প্রদান

আর্কাইভ