বঙ্গ-নিউজঃ অনেকেরই চোখের নিচের অংশ কালচে হয়ে যায়। আবার একটু ফুলেও থাকে। এতে কেবল সৌন্দর্যহানিই ঘটে না, ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্তও দেখায়।
চোখের নিচের ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর। এর নিচে অনেক ছোট ছোট রক্তনালি থাকে, নানা কারণে যা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং চোখের নিচের ত্বক কালো করে। এ ছাড়া ফ্লুইড জমা হওয়ার কারণে চোখের নিচটা ফুলে যেতে থাকে এবং চোখের নিচে কালি পড়ে।কারণঃ
বয়সের ছাপঃ চোখের নিচের ত্বক সবচেয়ে সংবেদনশীল ও বেশি পাতলা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো পাতলা হয়ে যায়। এমনকি উজ্জ্বলতা হারায়।
পারিবারিকঃ বংশগত কারণেও অনেকের এ সমস্যা হয়।
ঘুমের ঘাটতিঃ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এবং সূর্যরশ্মির প্রভাব।
রোগব্যাধিঃ দীর্ঘদিন অসুখে ভুগলেও চোখের নিচে কালি পড়ে। মানসিক চাপ, অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা বা সর্দি লাগা এ সমস্যার জন্য দায়ী।
প্রসাধনঃ চোখ কচলানো, চোখে বেশি প্রসাধনী ব্যবহার ও প্রসাধনী না উঠিয়ে ঘুমাতে যাওয়া। এমনকি কমদামি প্রসাধনী ব্যবহার।
কম্পিউটার বা টিভিঃ দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা কিংবা খুব বেশি সময় ধরে টিভি দেখা।
রক্তশূন্যতাঃ রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া হলেও চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে।
গর্ভকালীনঃ গর্ভাবস্থা বা ঋতুচক্রের সময় চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে।
লিভারের সমস্যাঃ অনেক সময় যকৃতের সমস্যা কিংবা দীর্ঘদিন হজমের গোলমাল দেখা দিলে।
মানসিক চাপঃ খুব বেশি চাপে থাকা বা কোনো ব্যাপার নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় থাকলে।
পানিশূন্যতাঃ শরীর থেকে অনেক বেশি মাত্রায় পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চোখের নিচে কালি পড়ে।
পরামর্শঃ
* রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
* সন্ধ্যার পর চা বা কফি না খাওয়া।
* রাতে প্রচুর লবণযুক্ত খাবার না খাওয়া।
* ঘুমানোর সময় একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার। এটি অনেক সময় চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
* রাতে চোখের প্রসাধনী ভালো করে পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাওয়া।
* রোদে বেরোনোর সময় কালো চশমা, ছাতা ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
* ঠাণ্ডা-সর্দি হলে রাতে শোবার সময় নাকের ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করুন।
* যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
* প্রচুর পানি ও দুধ পান করা। তবে রাতে ঘুমানোর আগে বেশি পানি খাবেন না। কারণ বারবার বাথরুমে যাওয়ার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
* কুচি করা শসা দিয়ে গোল বল বানিয়ে চোখের ওপর রাখুন। এ অবস্থায় অন্ধকার ঘরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকুন। শসার পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন আলুর কুচিও।
* কদম ফুলের পাপড়ি বেটে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের নিচের কালো দাগ অনেকটাই দূর হবে। এছাড়া পুদিনা পাতা বা নিমপাতাও ব্যবহার করতে পারেন।
* কালি দূর করার জন্য চোখের নিচে লাগানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
* প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করবেন।
* কোনো বিউটি পার্লারে গিয়ে প্রতি ১০ দিন পর পর হোয়াইটেনিং ফেসিয়ালও করাতে পারেন।
* চোখ কচলানো একেবারে বাদ দিন। চোখে ঠাণ্ডা সেঁক দিতে পারেন।
* প্রচুর মৌসুমি শাকসবজি আর ফলমূল খান।
* ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪৫:০৩ ৭৭০ বার পঠিত