বঙ্গ-নিউজঃ “সবার একটাই প্রশ্ন, কবে তোমার নতুন ছবি মুক্তি পাবে? আমি বিব্রত হই না। ঘন ঘন ছবি মুক্তি পেলে যা হয়, মান ধরে রাখা যায় না। প্রস্তাব পেলেই যদি সে ছবি করে ফেলি, তাহলে তো আর আমি ‘ববি’ থাকব না”-এক বছর বিরতিতে ছবি মুক্তির প্রসঙ্গে বললেন ববি।
মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার, এই অল্প সময়েও কিন্তু বেশ কিছু ‘মানহীন’ ছবিতে দেখা গেছে ববিকে। অভিযোগ স্বীকার করে নিলেন, তবে অজুহাতও দিলেন, “আমার ‘দেহরক্ষী’ হিট করার পর অনেক ছবিই করেছি। তখন আসলে ভালো-মন্দ খুব একটা বুঝতাম না। পরে অনেক কিছুই বুঝতে শিখেছি।”
‘এক রাস্তা-ওয়ান ওয়ে’তে ববির নাম আইভি। ব্যস, আর কিছু জানাতে রাজি হলেন না। ‘বাকিটা জানতে আপনাকে হলে যেতে হবে। তবে জোর গলায় বলতে পারি, এমন চরিত্রে আগে কখনো আমাকে দেখেননি দর্শক’, বললেন ববি।
এক বছর পর ফিরলেন, দর্শক যদি ববিকে ফিরিয়ে দেন? ‘চোখের আড়াল মানে মনের আড়াল’-শোবিজে কিন্তু এ কথাটি বেশ প্রচলিত। ববি বললেন, ‘হলিউড বা বলিউডে কিন্তু এটি বলে না। আমাদের এখানে অনেকেই ব্যাপারটা নেগেটিভলি দেখেন। কিন্তু নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে তো বিরতি নিতেই হবে। একের পর এক ছবি করে গেলে দর্শক নতুন কিছু পাবে না।’
দর্শকের কথা মাথায় রেখেই হিসাব-নিকাশ করে ছবি করছেন। এখনকার দিনে যে প্রতিযোগিতা! ‘প্রতিযোগিতা করি নিজের সঙ্গে, অন্যদের সঙ্গেও। আমি মনে করি, প্রতিযোগিতা বাড়া উচিত। তাহলে কাজের মানও বাড়বে। সবাই নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপনের চেষ্টা করবে,’ বললেন ববি।
পরিবর্তনের বিষয়টিতে জোর দেওয়ার পক্ষে যুক্তিও দেখালেন ববি, ‘আগে এক হাজারের বেশি হল ছিল। স্যাটেলাইট ছিল না। মোটামুটি মানের ছবি হলেই দর্শক দেখত। এখন শুধু স্যাটেলাইট নয়, ইন্টারনেটও আছে। যে কারণে আমাদের এক-দেড় কোটি টাকার ছবিকে হলিউড-বলিউডের সঙ্গে তুলনা করছে দর্শক। এত এত সমস্যা থাকার পরও আমরা ছবি বানাচ্ছি নিয়মিত, এটাও অনেক বড় ব্যাপার।’
নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ববস্টার’ থেকে ছবি বানাচ্ছেন-‘বিজলি’। এখানে ববি ‘সুপার হিরোইন’, নায়ক মুম্বাইয়ের মডেল রণবীর। সঙ্গে আছেন শতাব্দী রায়, জাহিদ হাসান ও দিলারা জামান। দার্জিলিং, কলকাতা, ঢাকা, গাজীপুর ও সিলেটে শুটিং হয়েছে।
প্রযোজক হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন? ‘ভালো-মন্দ দুই অভিজ্ঞতাই হয়েছে। আগে নিজের ডেট নিয়ে চিন্তা করতে হতো। এখানে আমাকে সবার ডেট ও শিডিউল মেলাতে হয়েছে। তার চেয়েও বড় কষ্ট হয়েছে শুটিং লোকেশন বাছাইয়ে। দেশের অনেক লোকেশনে শুটিং করতে গেলে অনুমতি লাগে, অনেক কাগজপত্র করতে হয়, এখানে-সেখানে দৌড়াতে হয়, ঝামেলার কমতি নেই! অথচ বাইরের দেশের পরিস্থিতি একেবারেই উল্টো। সিনেমার শুটিং হলে সহজেই অনুমতি মেলে। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত শুটিং করতে পেরেছি। প্র্যাকটিক্যাল অনেক কিছুই শিখেছি, এটা ভালো দিক’, বললেন ববি।
প্রযোজনায় এসে শাবানা, ববিতা বেশ সফল হয়েছিলেন। আবার ব্যর্থতার গল্পও আছে অনেকের। ববি জানেন সেসব। চ্যালেঞ্জ নিয়েই বলেন, “প্রথম দিন থেকেই শুনে আসছি, আমাদের সিনেমার অবস্থা ভালো নয়। যখন ‘দেহরক্ষী’ করি, অনেকেই বলেছিলেন, এ ছবি চলবে না। কারণ কোনো ‘সুপারস্টার’ নেই। সেই ছবি কিন্তু হিট হয়েছে। সে জন্যই বলি, মান ভালো হলে ছবি চলবেই, ভীত হওয়ার কারণ দেখি না।”
‘বিজলি’র কিছু দৃশ্যের শুটিং বাকি। এই অংশের শুটিং করবেন থাইল্যান্ডে, সামনের সপ্তাহেই। এরপর করবেন ‘মালটা’ ছবির শুটিং। এটির শুটিংও প্রায় শেষ।
মডেলিং দিয়ে শোবিজে এসেছেন। চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হলেও মডেলিং একেবারে ছেড়ে দেননি। একটি শাড়ির বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার জন্য চুক্তি করেছেন। দুই-এক দিনের মধ্যেই শুটিং হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ৮:২০:৩০ ৩৩৫ বার পঠিত