জগৎ/রাজ্য:Plantae
(শ্রেণীবিহীন):Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন):Eudicots
(শ্রেণীবিহীন):Rosids
বর্গ:Cucurbitales
পরিবার:Cucurbitaceae
গণ:Coccinia
প্রজাতি:C. grandis
তেলাকুচা এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে একে ‘কুচিলা’, তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি সবজি হিসেবেও খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়। এটি লতানো উদ্ভিদ। এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। লতার কাণ্ড থেকে আকশীর সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে এরা উপরে উঠে। পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজায়।পাতা ও লতার রং সবুজ। এর ফল ও কচি ডগা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে।অনেকে একে শাক হিসেবে ব্যবহার করেন। এর পাতাগুলো গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং কোমল। ফুলগুলো সাদা। ফলগুলো প্রায় পটোলের মতো। পাকলে সুন্দর রক্তবর্ণ ধারণ করে। তেলাকুচা দুই ধরনের। এক প্রকার তিতা এবং অপরটি মিষ্টি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, তিতাটিকে তেলাকুচা এবং মিষ্টিটিকে তু-কেরী বলা হয়। ওষুধে তিতাটিই ব্যবহার করা হয়। এর সবকিছুই ব্যবহৃত হয়।
তেলাকুচা
তেলাকুচা এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে একে ‘কুচিলা’, তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি সবজি হিসেবেও খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়। এটি লতানো উদ্ভিদ। এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। লতার কাণ্ড থেকে আকশীর সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে এরা উপরে উঠে। পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজায়।পাতা ও লতার রং সবুজ। এর ফল ও কচি ডগা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে।অনেকে একে শাক হিসেবে ব্যবহার করেন। এর পাতাগুলো গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং কোমল। ফুলগুলো সাদা। ফলগুলো প্রায় পটোলের মতো। পাকলে সুন্দর রক্তবর্ণ ধারণ করে। তেলাকুচা দুই ধরনের। এক প্রকার তিতা এবং অপরটি মিষ্টি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, তিতাটিকে তেলাকুচা এবং মিষ্টিটিকে তু-কেরী বলা হয়। ওষুধে তিতাটিই ব্যবহার করা হয়। এর সবকিছুই ব্যবহৃত হয়।
তেলাকুচার তিক্তরস ও মধুর রস শীতবীর্য, শ্বাস-কাশ, জ্বর, রক্তদোষ, ডায়াবেটিস, অরুচি ও পিপাসানাশক, উদরী, পাকস্থলীর রক্তস্রাব, জ-িস ও পেটফাঁপা, রক্ত ও সাদা আমাশয়, বায়ু ও পিত্তনাশক। এটি বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে বমনকারক দ্রব্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভেষজ। পেটে এমন কিছু গেছে যে এখনই বমি করানো দরকার। এক্ষেত্রে ৫-৬ চামচ পাতার রস খাইয়ে দিলে বমি হয়ে পেট থেকে অবাঞ্ছিত বস্তু বেরিয়ে আসবে। অত্যন্ত বায়ু বা পিত্তবৃদ্ধি হয়ে যদি মাথা গরম হয়, মাথা ধরে কিংবা রাতে ভালো ঘুম না হয় অথবা অত্যধিক রোদে মাথা ধরে, সে ক্ষেত্রে তেলাকুচা পাতার রস কপালে মাখলে অথবা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় দিলে ওই সব উপসর্গের শান্তি হয়। পিত্তবৃদ্ধিজনিত হাতে-পায়ে জ্বালা হলে এর পাতার রস মর্দনে জ্বালার শান্তি হয়। রক্ত আমাশয়ে বা সাদা আমাশয়ে এর পাতার রস চিনিসহ সেবনে উপকার হয়। ৩-৪ চামচ রস প্রতিদিন একবার করে খেলে আমজনিত শোথ কমে যায়। তবে মূল রোগ আমাশয়কে আগে সারাতে হবে।
সর্দিজনিত জ্বরে পাতা ও মূলের রস ২-৩ চামচ একটু গরম করে সকাল-বিকাল খেলে ২-১ দিনেই জ্বরভাব কেটে যাবে। তেলাকুচা সর্দিজ্বরের প্রতিষেধকও। ঋতু পরিবর্তনের ফলে, বিশেষ করে শীতের আগে ও পরে যাদের সর্দিজ্বর হয়, তারা যদি আগে থেকেই এ পাতা ও শেকড়ের রস একটু গরম করে সকাল-বিকাল সেবন করে, তবে এই জ্বরাক্রমণের ভয় থাকে না। ২-৩ চামচ রস গরম করে ওই নিয়মে খেলে অরুচি, মুখে ঘাম, জ্বরঠুঁটোসহ শ্লেষ্মাজনিত জ্বর ছেড়ে যায়। ৩-৪ চামচ রস গরম করে খেলে বুকের বসা সর্দি উঠে গিয়ে শ্লেষ্মাজনিত শুষ্ক কাশি, হাঁপানির মতো অবস্থা সেরে যায়। শেকড়ের শুষ্ক ছাল ২৫-৩০ গ্রাম মাত্রায় সেবন করলে শক্ত সর্দিও আরাম হয়। সর্দির কারণে অরুচি দেখা দিলে সিদ্ধ পাতাকে ঘি দিয়ে রান্না করে খেলে অরুচি দূর হয়। এই পাতার রস পিপাসা নিবারণ করে।
তেলাকুচার পাতা ও মূলের রস ২-৩ চামচ পরিমাণ একটু গরম করে সকাল-বিকাল খেলে ৩-৪ দিন পর থেকে ডায়াবেটিসে উপকার পাওয়া যায়। ডা. গোলাম সাকলায়েন তার তেলাকুচার কথা নামক এক ভেষজ নিবন্ধে বলেছেন, তার এক আত্মীয় প্রতিদিন দুপুরে খাবারের পর দুটি তেলাকুচা পাতা আগুনে সেঁকে খেতেন। এতেই তিনি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। শিশুদের শয্যামূত্রে ২-৩ চামচ পাতার রস একটু চিনিসহ বিকালে কয়েকদিন খাওয়ালে উপকার হবে।
ঔষধি গুণাগুণ:-
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কান্ড সমেত পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।
জন্ডিস: জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে।
পা ফোলা রোগে: গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায় একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
শ্বাসকষ্ট: বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাপানি রোগ নয়) হলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
কাশি: শ্লেস্মাকাশি হলে শ্লেস্মা তরল করতে এবং কাশি উপশমে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম করে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
শ্লেম্মাজ্বর: শ্লেষ্মাজ্বর হলে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম ২-৩ দিন সকাল- বিকাল খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে তেলাকচুর পাতার পাটায় বেটে রস করতে হবে।
স্তনে দুধ স্বল্পতা: সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে তেলাকচুর পাতা একটু তিতে হওয়ায় পরিমাণমত সকাল-বিকাল ১ সপ্তাহ খেতে হবে।
ফোঁড়া ও ব্রণ: ফোড়া বা ব্রণ হলে তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যবহার করতে হবে।
আমাশয়: প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
স্তন্য হীনতায়ঃ মা হলেও স্তনে দুধ নেই। এদিকে শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কাঁচা সবুজ তেলাকুচার ফলের রস একটু গরম করে ছেঁকে তা থেকে এক চা চামচ রস নিয়ে ২/৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে ৪/৫ দিনের মধ্যে স্তনে দুধ আসবে।
অরুচিতেঃ সর্দিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করেতে হবে। খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।
এই শাক খেলে পেটের গোলমাল কমে। পেটে সমস্যা এবং বদহজমের জন্য এই শাক খাওয়ার রেওয়াজ আছে।
তেলাকুচার ভেষজ গুণ অনন্য। এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহার করা হয়।
উপকারিতা
* ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কাণ্ডসহ পাতা ছেঁচে রস আধা কাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে খেলে উপকার হয়। পাতা ভেজেও খেতে পারেন।
* তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস প্রতিদিন সকালে আধা কাপ পরিমাণ খেলে জন্ডিস কমে।
* অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে যাদের পা ফুলে যায়, তারা তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খেলে পা আর ফুলবে না।
* বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়। তেলাকুচার মূল ও পাতার রস অল্প গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন সকালে ও বিকেলে খেলে উপকার হয়।সংগ্রহে—আলরিআন
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৮:৩১ ১৬৮৯ বার পঠিত