স্মৃতিগুলো পাবলিক করতে চাই না

Home Page » বিনোদন » স্মৃতিগুলো পাবলিক করতে চাই না
মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬



রিয়াজ

আজ ১৯ জুলা​ই কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর সঙ্গে অভিনয়জীবনের দারুণ ব্যস্ত সময়ে দেখা হয় চিত্রনায়ক রিয়াজের। দুই দুয়ারী ছিল হ‌ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তাঁর প্রথম কাজ। এরপর তাঁরা দুজন একসঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। হ‌ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তাঁর কাজের স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন রিয়াজ।

রিয়াজহ‌ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগটা হলো কীভাবে?
খুব সম্ভবত ১৯৯৯ সাল। আমি এফডিসিতে ভয়ংকর বিষু সিনেমার কাজ করছি। শুটিংয়ে হঠাৎ সানোয়ার নামে একজন লোক আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। হ‌ুমায়ূন আহমেদের সহকারী পরিচয় দিয়ে তিনি বললেন, ‘স্যার আপনার সঙ্গে দেখা করতে চান।’ তাঁকে বললাম, কী বলছেন এসব? আমি তো তাঁর সাংঘাতিক ভক্ত। প্রিয় মানুষের কাছ থেকে এমন দাওয়াত পেয়ে আমি তো তখন ভীষণ খুশি হয়ে যাই।
এরপরই আপনাদের দেখা হলো?
পরদিন শুটিং থেকে ঘণ্টা খানেক সময় বের করে হ‌ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে কাকরাইলে নুহাশপল্লীর অফিসে গেলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আমিও তাকিয়ে আছি। হঠাৎ চোখাচোখি বন্ধ হলো। বললেন, ‘কী খবর রিয়াজ? কেমন আছ? আমি একটা সিনেমা বানাব। রহস্যমানব চরিত্র। তুমি কি সেই ছবিতে কাজ করবে?’ পাল্টা তাঁকে বললাম, আমি এলাম আপনার সঙ্গে দেখা করতে। এসেই তো সারপ্রাইজড! ঘোরের মধ্যে শিডিউলও দিয়ে দিলাম তাঁকে। ফিরে এসে আবার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। এর মধ্যে ভেবে দেখলাম, আমার কাজের যে অবস্থা, তাতে শুটিংয়ের জন্য তো কোনো দিন খালি নেই। পড়লাম মহাফাঁপরে।
সেই ‘ফাঁপর’ কীভাবে কাটিয়ে উঠলেন?
একদিন শুটিং শেষে রাত ১০টার পর কাউকে না জানিয়ে নুহাশপল্লীতে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি শুটিংয়ের সব রেডি করে রেখেছেন স্যার। কী বলব, বুঝতে পারছিলাম না। স্যারকে বললাম, সমস্যা। আমি তো কাজটা করতে চাই, কিন্তু শিডিউল বের করতে পারছি না। যদি কোনো কিছু মনে না করেন, আমার তো ওই ছবির শুটিংয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত শিডিউল দেওয়া। এরপর যদি আপনি পারেন, তাহলে আমি আপনার কাজটি করতে পারব। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখন তোমার কোনো সমস্যা আছে?’ আমি ‘না’ বলার সঙ্গে সঙ্গে তখনই শুটিং শুরু করলেন। প্রথম দিনের শুটিং রাত ১২টায় শুরু করে শেষ হয় সকাল ৯টায়।
পরদিন না আপনার অন্য ছবির শুটিং ছিল?
ছিল তো। সকাল ৯টায় দুই দুয়ারী সিনেমার শুটিং শেষ করে নুহাশপল্লী থেকে বেরিয়ে বজরায় চড়লাম। নুহাশপল্লী থেকে আসার পুরোটা সময় বজরায় ঘুমালাম। এক ঘণ্টা পর গাজীপুরের একটা জায়গায় এলাম। সেখানে আমার গাড়ি অপেক্ষা করছিল। এরপর গাড়িতে সোজা এফডিসিতে। এই সময়টাও ঘুমিয়ে নিতাম। এভাবেই টানা পাঁচ দিন চলল।
প্রিয় মানুষ হ‌ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বিশেষ কোনো স্মৃতি?
বিশেষ স্মৃতিগুলো পাবলিক করতে চাই না। তবে তাঁর সঙ্গে আড্ডাটা দারুণ জমত। কখনো ধানমন্ডির দখিন হাওয়ায়, আবার কখনো নুহাশপল্লীতে।
তিনি কি আপনাকে বিশেষ কোনো নামে ডাকতেন?
আমাকে তিনি নায়করাজ নামে ডাকতেন। আমি তাঁকে ‘না’ করতাম। তিনি আমাকে বলতেন, ‘তুমি আমার কাছে নায়করাজ।’

বাংলাদেশ সময়: ৭:০৮:৩০   ৪১০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিনোদন’র আরও খবর


১৬ ব্যান্ডের সবচেয়ে বড় কনসার্ট আজ আর্মি স্টেডিয়ামে
এবার হিন্দি সিনেমার নায়িকা বাংলাদেশের জয়া আহসান
আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস, —”পুরুষ ও ছেলেদের সাহায্য করো”
শুভ জন্মদিন সুরের পাখী রুনা লায়লা
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সানি লিওনের ছবি!
রক্তাক্ত অমিতাভ বচ্চন হাসপাতালে
চঞ্চল,মেহজাবীন, তিশা, ফারিণ,পলাশ, শাহনাজ খুশি -সবাই গেলেন আমেরিকায়
দুই না তিন পুত্র সন্তানের বাবা শাকিব খান! সূত্রঃ জনকন্ঠ
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
বুবলীর সন্তানের বাবা শাকিব খান, বয়স আড়াই বছর

আর্কাইভ