লিগে কোটান–মারুফদেরও লড়াই

Home Page » খেলা » লিগে কোটান–মারুফদেরও লড়াই
সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬



কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছবি তুললেও মাঠে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাবেন চার অধিনায়ক। বাঁ থেকে উত্তর বারিধারার সোহেল রানা, আবাহনীর আরিফুল ইসলাম, রহমতগঞ্জের শওকত রাসেল ও শেখ রাসেলের আতিকুর রহমান মিশু। কাল বাফুফে ভবনে l প্রথম আলো

বঙ্গ-নিউজঃ স্বপ্নের ঘুড়িটা উড়ছে বাতাসে। নাটাই ঘুরাচ্ছেন কোচেরা। তাঁদের হাত ধরে একেকটি দল তৈরি হচ্ছে নতুন লড়াইয়ে, নতুন যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে কোচরা ব্যস্ত রণকৌশল সাজাতে। তাই পেশাদার লিগের দলগুলোর ধারাবাহিক সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিনেও যথারীতি কোচদের দিকেই ছুটল প্রশ্নবাণ।
আবাহনীকে নিয়ে কথা বলতে বসে জর্জ কোটান ফিরে তাকান পেছনে। কদিন আগেই ফেডারেশন কাপ জয় তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগায়। তবে আকাশি-নীল দলের আসল চ্যালেঞ্জ লিগ। গত তিনটি লিগ জিততে না পারায় অস্ট্রিয়ান কোচের কাঁধে চেপে বসেছে লিগ পুনরুদ্ধারের বিষম চাপ।
তাঁর জন্য স্বস্তির, স্ট্রাইকার জীবন ছাড়া আবাহনীর আর সবাই ফিট। ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাকের ফর্ম স্বপ্ন দেখায়, সানডেও এক ভরসার নাম। তাই আবাহনী কোচ বলতে পারছেন,‘আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে আমার দল এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।’
অধিনায়ক আরিফুল ইসলামের চোখেও এই আবাহনী বেশ শক্তিশালী, ‘এবার আমরা সবদিক থেকেই ব্যালান্সড দল।’ বাড়িয়ে বলেননি। আবাহনী এবার লিগ শিরোপার বড় দাবিদারই। গত তিনটি লিগের গোল-খরাও এবার ঘুচবে বলে বিশ্বাস ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর।
কিন্তু দেদার খরচে দল গড়েও শেখ রাসেল যেন একটু ¤ম্রিয়মাণ। মৌসুমের প্রথম দুটি টুর্নামেন্টেই তারা ফিরেছে শূন্য হাতে। এত এত খেলোয়াড় নেওয়ার পরও একজন সেন্টার ব্যাক ও উইঙ্গারের অভাব দেখছেন কোচ মারুফুল হক। তবে এসব সীমাবদ্ধতা আর ব্যর্থতা যেন তাঁর কাছে শিক্ষার সোপান, ‘মৌসুমে আমাদের সামনে শুধু লিগটাই বাকি আছে এবং এটা জেতার সর্বাত্মক চেষ্টাই আমরা করব।’
অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর কণ্ঠেও চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা। কিন্তু তাঁর সতীর্থরা সামর্থ্যের সঠিক অনুবাদটা অন্তত প্রথম দুই টুর্নামেন্টে করতে পারেননি বলে হতাশার কথাও বলেন। ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকার ফিকরু তেরেফা স্বাধীনতা কাপে চার গোল করলেও ফেডারেশন কাপে গোলহীন। তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি এই টুর্নামেন্টে। দলীয় শৃঙ্খলাও তিনি মেনে চলছেন না বলে অভিযোগ। তবে চোটের কারণে বাইরে থাকা এমিলি পুরো ফিট না হলেও আরেক স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনিকে পাওয়া যেতে পারে লিগের শুরু থেকেই।
পুরো শক্তির দল পেলে আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গেই হয়তো বড় টক্করটা হবে শেখ রাসেলের। সেই লড়াইয়ে দলটির সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকটাই নির্ভর করবে কোচ মারুফুলের ফুটবল-মস্তিষ্ক আর রণকৌশলের ওপর। জর্জ কোটান বা চট্টগ্রাম আবাহনীর স্লোভাক কোচ যোসেফ পাভলিকের সঙ্গেই হতে পারে তাঁর আসল লড়াই। তবে ডাগআউটে লড়াই হতে পারে শেখ জামালের শফিকুল ইসলাম মানিকের সঙ্গেও।
কোচদের লড়াইয়ে থাকতে চান কামাল বাবুও। রহমতগঞ্জ দলটাকে নিয়ে এবার তিনি উচ্চাভিলাষী। সংবাদ সম্মেলনে বলে দিলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট দিতে চাই।’ শুনে সবাই অবাক। আলাদিনের চেরাগ পেলেন নাকি! কামাল হাসেন, ‘দু-একটি বাদে বাংলাদেশে ক্লাবগুলোর মধ্যে পার্থক্য উনিশ-বিশ। লড়াইয়ে থাকা খুবই সম্ভব।’
অবশ্য এ মৌসুমে ব্রাদার্সকে ১-০ ও সকারকে ৩-২ গোলে হারিয়ে আবাহনীর সঙ্গে ২-২ ড্র করেছে রহমতগঞ্জ। তবে মাঠে ভালো ফল পেতে কামাল চান নিরপেক্ষ রেফারিং, ১২ কোচের মধ্যে একমাত্র তিনিই রেফারিং নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আনলেন।
উত্তর বারিধারার কোচ রাশেদ আহমেদ পাপ্পু হঠাৎই সম্পৃক্ত হয়েছেন দলের সঙ্গে। ‘বি’ লাইসেন্স থাকতেই হবে, এই বাধ্যবাধকতায় তাঁকে কাল কোচ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মনে হয় না দুর্বল এই দল লিগে তেমন প্রভাব রাখতে পারবেন।
আবাহনী
অর্জন
পেশাদার লিগে সফলতম দল। চারবারের চ্যাম্পিয়ন, টানা প্রথম তিনটি লিগজয়ী। চারবারের চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক বছরগুলো অবশ্য ভালো কাটেনি। গতবারসহ দুবার চতুর্থ, একবার করে রানার্সআপ ও তৃতীয়।
এবার চাওয়া
গত তিন মৌসুমের শিরোপা-খরা কাটানোই একমাত্র লক্ষ্য। সেই পথে মৌসুমটা শুরু হয়েছে ভালোই। স্বাধীনতা কাপে রানার্সআপ ও ফেডারেশন কাপে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
শেখ রাসেল
অর্জন
লিগের শুরু থেকে বড় দল হিসেবে খেললেও এখনো মাত্র একবারই চ্যাম্পিয়ন (ষষ্ঠ লিগ)। গতবার রানার্সআপ। এ ছাড়া টানা তিনবার তৃতীয়। চতুর্থ, পঞ্চম, এমনকি ষষ্ঠ স্থানেও একবার নামতে হয়েছে।
এবার চাওয়া
শিরোপায় চোখ। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে সেটি ব্যর্থতা বলেই গণ্য হবে। মৌসুমের প্রথম দুটি টুর্নামেন্ট শূন্য হাতে শেষ করায় চাপেও আছে দলটি।
রহমতগঞ্জ
অর্জন
পাঁচটি লিগে খেলে একবার সপ্তম হয়েছে। দুবার করে অষ্টম ও একাদশতম। দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলতে পারাও পুরান ঢাকার দলটির জন্য কম নয়। মাঝে মাঝে বড় দল শিকার করে আলোচনায় থাকে।
এবার চাওয়া
কাগজ-কলমের হিসাব পাল্টে শিরোপা লড়াইয়ে থাকা দলটির লক্ষ্য। তবে সামর্থ্য থাক না থাক, দুই মৌসুম পর লিগে ফিরে মুখে অন্তত সাহস দেখাচ্ছে দলটি।
উত্তর বারিধারা
অর্জন
প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের বছরটা হয়ে আছে বিস্মরণযোগ্য। দশ দলের মধ্যে সবার নিচে থেকে নেমে যেতে হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপে। তবে এক মৌসুম পর ফিরে আসাটাকেও বলতে হবে বড় সাফল্য।
এবার চাওয়া
ছয়-সাত নম্বরে থাকার লক্ষ্য নিয়েই শুরু করছে লিগ।

বাংলাদেশ সময়: ৫:৫৩:১৯   ৪৬৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

খেলা’র আরও খবর


ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে দু’দিনব্যাপী কুস্তি উৎসব কাল থেকে শুরু
অসাধারণ জয় ও দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার জয় ও বাংলাদেশের উল্লাস -ভিডিও পোস্ট করল ফিফা
আজ মেসির জন্য মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলাটি ‘বাঁচা-মরার লড়াই’
বিশ্ব কাপ ফুটবলে ইরানের কাছে হেরে গেল ওয়েলস
সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়া ফুটবল দলের ১০ কোচ
হার দিয়ে মেসিদের বিশ্বকাপ শুরু
শুরুর বাঁশিতে ফুটবলের পৃথিবী

আর্কাইভ