জেনে নিন, মানুষের চোখই ৫৭৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা

Home Page » ফিচার » জেনে নিন, মানুষের চোখই ৫৭৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬



235621superpower_kalerkantho_pic.jpgবঙ্গ-নিউজঃ সৃষ্টি বড়ই অদ্ভূত। পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণাই আমাদের নেই। বেশি দূরে যেতে হবে না। ‘ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’ই যে কত সৃষ্টি, কত ঘটনা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তাই অনেক সময় আমাদের গোচরে আসে না। এমনই বহু অজানা-অচেনার খোঁজে আমাদের যাত্রা। এই সফরে প্রতি রবিবার আমরা ধারাবাহিকভাবে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরি, যা শুনে তাজ্জব হতে হয়।আজ জানাব আপনার শরীর সম্পর্কেই অবাক করা ৫টি তথ্য। জানেন কি, আপনি একজন সুপারহিরো। প্রত্যেকটা মানুষই ১০টা সুপার পাওয়ার নিয়ে জন্মায়। নিজেদের সেই ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা নিজেরাই অনেকে অবগত নই। তাহলে জানা না থাকলে জেনে নিন…

১. মানুষের মস্তিষ্ক বিদ্যুত্‍‌ উত্‍‌পাদক
নিউরন আমাদের মস্তিষ্কে বার্তা পাঠায়। সেই সময়ই বেশ কিছুটা বিদ্যুত্‍‌ও উত্‍‌পন্ন করে সেটি। মস্তিষ্কে তৈরি হয় প্রায় ২০ ওয়াট বিদ্যুত্‍‌। এই পরিমাণ বিদ্যুত্‍‌ দিয়ে জ্বালানো যেতে পারে‌ ছোট টিউব বা ডিম লাইট।

২. ইস্পাতের থেকে শক্ত মানবদেহের হাড়
কথায় আছে, ‘ইয়ে হাত নেহি, হাতোড়া হ্যায়।’ কথাটা কিন্তু শুধুই কথার কথা নয়। জানেন কি, মানুষের শরীরের হাড় অনেক শক্ত জিনিসের থেকেও বেশি শক্তিশালী। নিশ্চয়ই ভাবছেন ঠিক কতটা শক্ত আমাদের হাড়? ইস্পাতের থেকে ৫ গুণ বেশি শক্ত।

৩. মানুষের চোখ আসলে ৫৭৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
দিনরাত তো কোন ফোনের ক্যামেরা কত মেগাপিক্সেল, তা নিয়েই মেতে রয়েছেন। ৮ থেকে ৪১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফোন বাজারে এসেছে। আর যদি DSLR ক্যামেরার কথা বলেন, তবে তার ক্ষমতা ১২০ মেগাপিক্সেল। কিন্তু, একবারও ভেবে দেখেছেন কি, যে আপনার কাছেই রয়েছে বিশ্বের সর্বশক্তিমান ক্যামেরা! মানুষের চোখই আসলে ৫৭৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। সেজন্যই আমরা প্রায় ১ কোটি রঙ আলাদা ভাবে দেখতে পাই।

৪. মুখের ভাব পরিবর্তন করেই মুড পাল্টানো
বিজ্ঞান আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো মানসিক অবস্থার আবেগ ও ভাবনাচিন্তার থেকে অনেক বেশি শক্তি রাখে মুখের এক্সপ্রেশন। সঙ্গে সঙ্গে না হলেও, এটা কাজ করে ধীরে ধীরে।

৫. হঠ্‌কে কিছু করতে অ্যাড্রিনালিনের ছুটোছুটি
কোনো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস বা অস্বাভাবিক কোনো কাজের ক্ষেত্রে শরীরে বয়ে যায় অ্যাড্রিনালিন স্রোত। এটিই সেই কাজ করার জন্য শরীরকে বাড়তি শক্তি জোগায়। যেমন, ধরুন বাঞ্জি জাম্পিং, স্কাই ডাইভিং বা রেসিং-এর সময় শক্তির এই উত্‍‌সই সাফল্যের দোরগোড়ায় এনে দেয়। অনেকে অবশ্য স্বাভাবিক দক্ষতার থেকে বাড়তি কোনও সাফল্য পাওয়ার জন্য অনেক সময় শক্তিবর্ধক ইঞ্জেকশনও শরীরে প্রয়োগ করেন।

সূত্র: এই সময়

বাংলাদেশ সময়: ০:৫৬:২৬   ৪৩৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ফিচার’র আরও খবর


অ্যানেন্সেফ্লাই কী? - রুমা আক্তার
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত : স্পিকার ; ১০০০ নারী উদ্যোক্তা’র মধ্যে ৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান
“ম্রো’ আদিবাসীর গো হত্যা’ অনুষ্ঠাণ ” - তানিয়া শারমিন
আলোকিত স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় বর্ষে রবিকর ফাউন্ডেশন
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন রক্ষায় প্রয়োজন জেন্ডার সংবেদনশীল নীতির পর্যালোচনা
জিনগত ত্রুটির অপর নাম “ডাউন সিনড্রোম”- রুমা আক্তার
মোহাম্মদ শাহ আলমের জীবন ও কর্ম
ইসফাহান নেসফে জাহান
সিলেটে গ্রুপ ফেডারেশনের কর্মশালায় বির্তকিত মুরাদ- আয়োজকদের দুঃখ প্রকাশ
ডলারের দাম যেভাবে বাড়ছে, টাকার দাম কেন কমছে

আর্কাইভ