নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি কানেকশন নিয়ে তদন্ত

Home Page » প্রথমপাতা » নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি কানেকশন নিয়ে তদন্ত
শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬



image_160506_0.jpgবঙ্গ নিউজ:  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি তদন্ত দল ইতিমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে।

গুলশান এবং শোলাকিয়ার সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের অন্তত তিনজন ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র। এর আগেও দেশে-বিদেশে কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা বা হামলার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, এ পটভূমিতেই তারা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন।

“বার বার বিভিন্ন জঙ্গি হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসছে। জঙ্গিদের কেউ আগে এখানে ছাত্র ছিল, কেউ এখনো ছাত্র আছে। এর আগে ব্লগার রাজীব হত্যার পর যে ছয়জনকে ধরা হয়েছিল, তাদের সবাই ছিল নর্থ সাউথের ছাত্র। কেন এটা ঘটছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। এটা কি শিক্ষকদের কারণে, নাকি পরিচালনা পরিষদের আশকারার কারণে হচ্ছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।”

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, “নর্থ সাউথে ২০ হাজার ছেলে মেয়ে পড়ছে। সবাইকে তো আর জঙ্গি বলতে পারি না। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, তাদের মধ্যে কিছু ছেলে জঙ্গি কাজে জড়িয়ে পড়ছে। অতীতেও হয়েছে, এখনো পড়ছে। অর্থাৎ কোনো একটি কারণে, ওখানে হয়তো জঙ্গিবাদের কালচারটা হচ্ছে।”

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য ঢাকার সংবাদপত্রগুলোতে আজ বিজ্ঞাপন দিয়ে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে।

পত্রিকায় ছাপানো বিবৃতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুলশান এবং শোলাকিয়ার হামলায় অংশ নেয়া নিবরাস ইসলাম এবং আবির রহমান এক সময়ে নর্থ সাউথে পড়লেও দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল হয়।

অন্যদিকে গুলশান হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল সেই জিম্মিদের একজন হাসনাত করিমও আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নয় বলে জানিয়েছে তারা।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরো বলেছেন, কিছু বিপথগামী যুবকের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তারাও উদ্বিগ্ন এবং এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে তারা সহযোগিতা করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান অবশ্য জানাচ্ছেন, গত বছর অন্য কিছু প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনিয়ম তদন্তের সময় তাদের তদন্ত দল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে এমন কিছু বই পেয়েছেন, যা হিজবুত তাহরিরের মতো সংগঠনের মতাদর্শ প্রচার করে।

তিনি বলেন, “এসব কারণে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তদন্তে হয়তো এসব বিষয় আসবে।”

কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা মঞ্জুরি কমিশনের আছে বলে জানান তিনি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেই আছে তারা সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্যকলাপে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনোনভাবেই কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারবে না। তবে তিনি জানান, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এটা করলে তাদের কি হবে সেটা অবশ্য আইনে লেখা নেই। -বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১:০০:০৯   ৩৩৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ