বঙ্গ-নিউজঃ
সাধারণত পাঁচ-ছয় নম্বরে ব্যাট করেন সাকিব আল হাসান।
গতকাল তামিম ইকবাল আউট হতেই উইকেটে চললেন। বোঝা গেলো, নিশ্চিত হয়ে যাওয়া জয়ের আগে রানরেটটা একটু বাড়িয়ে নেওয়াই লক্ষ্য। সাকিবের দ্রুত আউট আপাতত সে লক্ষ্য পূরণ হতে না দিলেও আরো একটা একতরফা ম্যাচ জিতলো আবাহনী। মোহামেডানকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ফুরফুরে চেহারায় থাকা আবাহনীর সামনে দাঁড়াতে পারেনি এবারের লিগের অন্যতম আকর্ষণীয় দল ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংও। দু’দলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভিক্টোরিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তিন বোলারের ত্রিমুখী আক্রমণে দিশেহারা ভিক্টোরিয়া গুটিয়ে যায় ১৩৯ রানেই। আবাহনীর জিততে নেয়নি ৩০ ওভারও। এই জয়ে এক ম্যাচ উহ্য রেখেও আবাহনী ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে।
ভিক্টোরিয়ার মিডল অর্ডারে খানিকটা প্রতিরোধ গড়া সোহরাওয়ার্দী শুভ মাঠ ছাড়েন তাসকিনের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে। মাথার পেছনের দিকে ঘাড়ের কাছে লাগে বল। হাসপাতালে নেওয়ার পর আপাতত বিপদমুক্ত এই অলরাউন্ডার। তাসকিন এদিন শুরু থেকেই বল করছেন তুমুল গতিতে। ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতও হানেন তরুণ ফার্স্ট বোলারই। এরপর দুর্দান্ত এক স্পেলে ভিক্টোরিয়ার মেরুদণ্ড ভেঙে দেন সাকিব। লিগের সর্বোচ্চ রান স্কোরার আব্দুল মজিদকে বোল্ড করে সাকিবের শুরু। স্পিনের বিপক্ষে দক্ষ দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল ও আল আমিন এদিনও খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু শিকারও হয়েছেন স্পিনেই।
সাকিবের বলে সুইপ মাটিতে রাখতে পারেননি মুমিনুল, মিড উইকেটে ক্যাচ নিয়েছেন মোসাদ্দেক (২১ বলে ২৩)। নাদিফ চৌধুরী শুরু করেছিলেন সাকিবকে লং অন দিয়ে চার মেরে। সাকিবের পরের ওভারে ধরা পড়েছেন সেই লং অনেই। ৬ ওভারের টানা স্পেলে সাকিবের ৩ উইকেট। সাকলাইন বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন আল আমিনকে। এবারের লিগের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬০০ রান স্পর্শ করেছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু বড় করতে পারেননি ইনিংস। সাকলাইনের জোরের ওপর করা বল একটু নিচু হয়ে এসেছিল, পেছনে খেলে বোল্ড হয়েছেন ১৭ রানে।
ভিক্টোরিয়া তখন ৫ উইকেটে ৮৬। দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন সোহরাওয়ার্দী, তাসকিনের বলে তাকে মাঠ ছাড়তে হয় দুর্ভাগ্যজনকভাবে। ভড়কে না গিয়ে আগ্রাসী বোলিং চালিয়ে গেছেন তাসকিন। তিনি ও সাকলাইন আরো দুটি করে উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভিক্টোরিয়াকে। রান তাড়ায় আবাহনীকে ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ৩৫ বলে ৩৩ রান করে তামিমের বিদায়ের পর উইকেট হারিয়েছে তারা নিয়মিতই। কিন্তু লক্ষ্য এত ছোট ছিল যে বিপাকে পড়তে হয়নি। তিনে নেমে চতুরঙ্গা ডি সিলভার জোরের ওপর করা বলে স্টাম্পড হয়েছেন সাকিব। আগে ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান দিনেশ কার্তিক এদিনও খেলেছেন ভালো। চতুরঙ্গাকে টানা দুই বলে চার-ছক্কায় এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানই শেষ করেছেন ম্যাচ।
ভিক্টোরিয়ার প্রথম চার উইকেটের তিনটিই নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ সাকিব। আগের ম্যাচে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। লিগে ৬ ম্যাচ খেলেই তার উইকেট ১৬টি, গড় ৯.৯৩!
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৪:২৯ ৩৭১ বার পঠিত