বঙ্গ- নিউজ ডটকুমঃ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার সাবেক গবেষণা পরিচালক এম আসাদ উজ্জামান মনে করেন, অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নেও জোর দিতে হবে।
আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে আসাদ উজ্জামান বলেন, “চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় ১ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে শষ্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ১৫ শতাংশ। যা হতাশাজনক।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, আর ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
“এই পরিস্থিতি আগামীতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতে ভালোভাবে নজর দিতেই হবে”, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ইতোমধ্যে বলেছে, বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ হতে পারে, যদিও গত জুনে বাজেট ঘোষণার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ আসাদ উজ্জামান মনে করেন, বর্তমানে চাল আমদানি করতে হচ্ছে না বলেই দেশের বাজারে চালের দাম ‘সহনীয়’ রয়েছে। তেমনি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও স্থিতিশীল রয়েছে।“তবে এ বছর সামগ্রিকভাবে দেশে শষ্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি যতোটা কমেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আবারো চাল আমদানির প্রয়োজন হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি অর্জনেও চাপ বাড়বে।”
এ জন্য কৃষি খাতের সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণে মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে কৃষি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোরও সুপারিশ করেছেন আসাদ।
তিনি বলেন, এখনো কৃষি খাতেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে। সহসা এই অবস্থার পরিবর্তনেরও কোনো সম্ভবনা নেই। ফলে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতেই হবে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে কৃষিজমির পরিমাণ এক কোটি ৯০ লাখ একরের মতো। আর প্রায় তিন কোটি মানুষ সরাসরি কৃষিকাজে নিয়োজিত, যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি।
আসাদ উজ্জামানের মতে, আসন্ন বাজেটে এডিপির আকার অনেক বাড়ছে। এর কতটা বাস্তবায়ন হবে তা ষ্পষ্ট নয়। কারণ এর আগের বাজেটগুলোতে এডিপির পুরোটা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে পদ্মা সেতুর জন্য আসন্ন বাজেটে যে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে তার সিংহভাগ সেতুর প্রাথমিক কাজে ব্যয় হবে, যার মধ্যে কিছু ‘রাজনৈতিক অর্থায়নও’ থাকবে বলে মনে করেন ড. আসাদ।
“এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সরকারকে বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা রাখতে হবে যাতে পরবর্তী সরকারকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগ পেতে না হয়।”
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এডিপি বাস্তবায়নের হার ৪৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিলো ৪৫ শতাংশ।
আর ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৪ শতাংশ।
আসাদ উজ্জামান মনে করেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায়ের যে পরিস্থিতি, তাতে বর্তমান সরকার উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নের ব্যবস্থা করে যেতে না পারলে পরের সরকারের অর্থমন্ত্রীর ‘কিছুই করার থাকবে না’।
চলতি করবছরে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতিতে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৮৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৮৩ হাজার কোটি টাকার মতো আদায় হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর।
ড. আসাদ মনে করেন, শিল্পায়নের জন্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে এবারো বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ রাখা দরকার।
“ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে, তবে এটা সাময়িক। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।”
মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি খাতের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি এর হিসাব পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনার পক্ষে এই অর্থনীতিবিদ।
একইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য করজাল বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়টিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে আসন্ন বাজেটে এ দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন একজন অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার সাবেক গবেষণা পরিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে আসাদ উজ্জামান বলেন, “চলতি চালক এম আসাদ উজ্জামান মনে করেন, অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নেও জোর দিতে হবে।আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে অর্থবছরে কৃষি খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় ১ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে শষ্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ১৫ শতাংশ। যা হতাশাজনক।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, আর ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
“এই পরিস্থিতি আগামীতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতে ভালোভাবে নজর দিতেই হবে”, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ইতোমধ্যে বলেছে, বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ হতে পারে, যদিও গত জুনে বাজেট ঘোষণার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ আসাদ উজ্জামান মনে করেন, বর্তমানে চাল আমদানি করতে হচ্ছে না বলেই দেশের বাজারে চালের দাম ‘সহনীয়’ রয়েছে। তেমনি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও স্থিতিশীল রয়েছে।
“তবে এ বছর সামগ্রিকভাবে দেশে শষ্য উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি যতোটা কমেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আবারো চাল আমদানির প্রয়োজন হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি অর্জনেও চাপ বাড়বে।”
এ জন্য কৃষি খাতের সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণে মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে কৃষি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোরও সুপারিশ করেছেন আসাদ।
তিনি বলেন, এখনো কৃষি খাতেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে। সহসা এই অবস্থার পরিবর্তনেরও কোনো সম্ভবনা নেই। ফলে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতেই হবে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে দেশে কৃষিজমির পরিমাণ এক কোটি ৯০ লাখ একরের মতো। আর প্রায় তিন কোটি মানুষ সরাসরি কৃষিকাজে নিয়োজিত, যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি।
আসাদ উজ্জামানের মতে, আসন্ন বাজেটে এডিপির আকার অনেক বাড়ছে। এর কতটা বাস্তবায়ন হবে তা ষ্পষ্ট নয়। কারণ এর আগের বাজেটগুলোতে এডিপির পুরোটা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে পদ্মা সেতুর জন্য আসন্ন বাজেটে যে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে তার সিংহভাগ সেতুর প্রাথমিক কাজে ব্যয় হবে, যার মধ্যে কিছু ‘রাজনৈতিক অর্থায়নও’ থাকবে বলে মনে করেন ড. আসাদ।
“এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সরকারকে বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা রাখতে হবে যাতে পরবর্তী সরকারকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বেগ পেতে না হয়।”
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এডিপি বাস্তবায়নের হার ৪৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিলো ৪৫ শতাংশ।
আর ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৪ শতাংশ।
আসাদ উজ্জামান মনে করেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায়ের যে পরিস্থিতি, তাতে বর্তমান সরকার উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নের ব্যবস্থা করে যেতে না পারলে পরের সরকারের অর্থমন্ত্রীর ‘কিছুই করার থাকবে না’।
চলতি করবছরে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতিতে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৮৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৮৩ হাজার কোটি টাকার মতো আদায় হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর।
ড. আসাদ মনে করেন, শিল্পায়নের জন্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে এবারো বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ রাখা দরকার।
“ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে, তবে এটা সাময়িক। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।”
মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি খাতের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি এর হিসাব পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনার পক্ষে এই অর্থনীতিবিদ।
একইসঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য করজাল বাড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৪:৫৭ ৬১৫ বার পঠিত