বঙ্গ-নিউজঃনিষ্ক্রিয় হওয়ার দিন থেকে ৫৪০ দিনের মধ্যে তা না করলে ওই গ্রাহক তার সিমের স্বত্ব হারাবেন; অর্থাৎ অপারেটর তা অন্য যে কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে।
আগের নির্দেশনায় নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৩১ মের পর অনিবন্ধিত সিম টানা দুই মাস বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও সোমবার অপারেটরদের নতুন নির্দেশনা পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
এদিকে অনিবন্ধিত সিমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার আবেদন জানিয়ে একই দিন আদালতে একটি আবেদন হয়েছে।
বাংলাদেশে গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে গত শনিবার নাগাদ ১০ কোটি ৯ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।
এ হিসাবে গ্রাহকের হাতে থাকা তিন কোটির বেশি সিম এখনও অনিবন্ধিত রয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সিমগুলো যাদের হাতে রয়েছে, তারা যদি মঙ্গলবারের মধ্যে তা নিবন্ধন না করেন, তবে নিষ্ক্রিয় হলেও তা সচল করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযাগ বিভাগ থেকে আগে ঘোষণা ছিল, অনিন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে গেলে তা টানা দুই মাস বন্ধ থাকবে। এ সময় সিম উঠানো যাবে না বা কেনা যাবে না। দুই মাস পর সেই সিম কিনে নিতে হবে গ্রাহককে।
সোমবার রাতে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন কার্যক্রমে অনিবন্ধিত সিম বা রিম চালু করার চারটি বিষয় উল্লেখ করে অপারেটরদের নতুন নির্দেশনাটি পাঠায় বিটিআরসি।
বিটিআরসি সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক জুন শূন্য ঘণ্টা থেকে অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে ৩১ মে’র পর অনিবন্ধিত সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৪৫০ দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করে সংযোগ পুনরায় চালু করতে পারবেন গ্রাহকরা।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভেরিফিকেশন না হওয়ায় নিষ্ক্রিয় সংযোগ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে অনুমোদিত অন্যান্য পরিচয়পত্র (পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন সনদ) ব্যবহার করে ছয় মাসের জন্য নিবন্ধিত সংযোগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে নিষ্ক্রিয় সংযোগ- উভয় ক্ষেত্রেই পুনরায় চালুর জন্য চারটি পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অপারেটরদের দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন না হওয়ার কারণে নিষ্ক্রিয় করার দিন থেকে পরবর্তী ৪৫০ দিনের জন্য ওই গ্রাহক নিষ্ক্রিয় সংযোগটি বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সাপেক্ষে পুনরায় চালু করতে পারবেন।
৪৫০ দিন পার হওয়ার পর অপারেটর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংযোগটি পুনরায় বিক্রি করার ঘোষণা দেবে। ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে সংযোগটি বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সাপেক্
ষে পুনরায় চালু করতে পারবেন গ্রাহক।
উল্লেখিত ৫৪০ দিনের মধ্যে সংযোগটি পুনরায় চালু করতে হলে নতুন সিম/রিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কর-চার্জ ইত্যাদির ন্যায় কর-চার্জ ইত্যাদি প্রযোজ্য হবে।
৫৪০ দিন পার হওয়ার পর বিদ্যমান নির্দেশনা অনুযায়ী অপারেটর যে কোনো গ্রাহকের কাছে তা পুনরায় নতুন করে সংযোগ হিসেবে বিক্রি করতে পারবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শেষ সময় ৩১ মে ‘জিরো আওয়ার’ এর পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করার কারিগরি প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
তারা জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন সিম বন্ধে কারিগরি প্রক্রিয়ায় দুই দিনের বেশি সময় লাগতে পারে।
গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।
অপরাধ কাজে ব্যবহার বন্ধে সিম নিবন্ধনের এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
বাংলাদেশ সময়: ৯:০৪:৪৩ ৪২৯ বার পঠিত