ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেলে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির ও কুখ্যাত আলবদর বাহিনীপ্রধান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। এই শীর্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধীকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। তৈরি হয়েছে জল্লাদদের নামের তালিকা। এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার আর অপেক্ষার পালা। নিজামীর সামনে একমাত্র সুযোগ নিজের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। দেয়া হতে পারে স্বজনদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের সুযোগও। আর এই আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে কোনো সময় ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে একাত্তরের এই নরঘাতকের। আর ফাঁসি কার্যকর করতে রোববার রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে নিজামীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় আপিল বিভাগ থেকে বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায়। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে রায়ের কপি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক। সেখান থেকে এই রায়ের কপি ও লালসালুতে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। রাত ৯টার দিকে নিজামীকে রায় পড়ে শোনান জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির। তার আগে ওই রায়ের কপি আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়। এর আগে প্রধান বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের রায়ে স্বাক্ষরের পর গতকাল দুপুরে ২২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিজামীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। যথাযথ আইন মেনে সব কিছু করা হচ্ছে। শেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে যে কোনো সময় এই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে রায়ের কপি প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কবে কোন সময় রায় কার্যকর হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের বিষয়, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। তবে প্রাণভিক্ষা না চাইলে রায় যে কোনো সময় কার্যকর করা যেতে পারে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে যৌক্তিক সময় পাবেন আসামি নিজামী। রায়ের কপি কারাগারে যাওয়ার পর নিজ হাতে আবেদনপত্র লিখতে যতটা সময় লাগে।
কারা সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারের ফাঁসির মঞ্চ সংলগ্ন রজনীগন্ধা কনডেমড সেলের ৭ নম্বর কক্ষে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন ঘাতক নিজামী। মুরগির মাংস ও শিং মাছ দিয়ে গতকাল দুপুরে খাবার খেয়েছেন তিনি। কারাগার ও গোয়েন্দা সূত্র মতে, এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরে এবারো দায়িত্ব পড়তে পারে সেই রাজুসহ পাঁচ জল্লাদের ওপর। আজ মঙ্গলবার কিংবা কাল বুধবার রাতে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে। ওই সূত্র মতে, তবে মঙ্গলবার রাতেই এ ফাঁসি কার্যকর করার সম্ভাবনা বেশি। এখন শুধু সরকারের নির্বাহী আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার: গতকাল বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কারাগার ও আশপাশ এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় কারাগারের প্রধান ফটকে কারারক্ষীদের পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। গোটা এলাকায় জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
প্রস্তুত ফাঁসির মঞ্চ: কারা কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পূর্ব-পশ্চিম কোনার দিকে দুটি ফাঁসির মঞ্চ। তবে একটি বর্তমানে পরিত্যক্ত। অপরটিতে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ওই ফাঁসির মঞ্চটি ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে লিভার বা গিয়ার ও ফাঁসির রশি (ম্যানিলা রোপ)। এই রশিতে কলা ও তেল মেখে আরো পিচ্ছিল করা হচ্ছে। ফাঁসি দেয়ার প্রক্রিয়া যাতে ভেতরের বন্দিরা কিংবা বাইরে থেকে যাতে না দেখা যায়, সেজন্য পুরো ফাঁসির মঞ্চটি ওপরে ও পাশের তিন দিকে শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে। হ্যালোজেন লাইট জ্বালিয়ে আলোকিত করা হচ্ছে মঞ্চ।
কারা সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ওই ফাঁসির মঞ্চটির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ও প্রস্থ সাড়ে ৪ ফুট। মঞ্চের ওপরে ফাঁসিকাষ্ঠের (মেটালিক) উচ্চতা ৮ ফুট। অন্যদিকে মঞ্চ থেকে নিচের দিকে ১২ ফুট গভীর গর্ত রয়েছে। কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা সেই গর্ত। ফাঁসিকাষ্ঠের লাগোয়া উত্তর দিকে আছে গিয়ার। যার সঙ্গে ফাঁসির দড়ি ম্যানিলা রোপের একপ্রান্ত লাগানো থাকে। দড়ির আরেক প্রান্ত থাকে ঝোলানোর জন্য। গিয়ারের দায়িত্ব থাকেন প্রধান জল্লাদ। তখন অপর প্রান্তে অবস্থান নেন আরো চার জল্লাদ।
রাজু-শাহজাহানের নেতৃত্বে প্রস্তুত জল্লাদরা: কারা সূত্র জানায়, জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ আবেদন সুুপ্রিম কোর্টে খারিজ হওয়ার পরপরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফাঁসির মঞ্চ ও ফাঁসি কার্যকর করার জন্য জল্লাদদের নামের তালিকা করা হয়েছে। এবারো জল্লাদ হিসেবে রাজু, শাহজাহান ও জনিসহ অন্তত পাঁচজন থাকছেন বলে জানা গেছে। এর আগে যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসিও কার্যকর করেছিল রাজু ও শাহজানের নেতৃত্বাধীন কয়েক জল্লাদ।
পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ: গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় ২২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশের আগে ৩টার দিকে এই রায়ে স্বাক্ষর করেন রায় প্রদানকারী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। অন্য তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (৫ মে) এ রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। সর্বশেষ এ রায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আইনি লড়াই। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের বিষয়টিও চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে।
যুদ্ধাপরাধী নিজামীর বিচারিক পরিক্রমা: ২৯ মার্চ ৭০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনটি করেন নিজামীর আইনজীবীরা। এতে মোট ৪৬টি কারণ দেখিয়ে আপিল বিভাগের ফাঁসির রায় বাতিল করে খালাস ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আরজি জানানো হয়েছে। ৩ ও ১০ এপ্রিল রিভিউ আবেদনটি কার্যতালিকায় এলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনে দুই দফা পিছিয়ে যায় শুনানির দিন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ৬ জানুয়ারি নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির একই আপিল বেঞ্চ। ১৫ মার্চ আপিল মামলাটির ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ আদালত।
রায়টি রাতেই বিচারিক আদালতে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর পরপরই মৃত্যু পরোয়ানাসহ পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরদিন ১৬ মার্চ সকালে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেমড সেলে থাকা নিজামীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়।
নিজামীকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে ৪টিতে ফাঁসি ও ৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৩টিতে ফাঁসি ও ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অন্য তিনটিতে চূড়ান্ত রায়ে দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন নিজামী, যার মধ্যে একটিতে ফাঁসি ও দুটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পাকিস্তানের সভাপতি হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন নিজামী। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছাড়াও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) হিসেবে আলবদর বাহিনী ও ছাত্রসংঘের অপরাধের দায়ও তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে বিচারিক ও আপিল আদালতের রায়ে।
নিজামীর বিরুদ্ধে মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ৮টি অর্থাৎ ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে। প্রমাণিত চারটি অর্থাৎ সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়িসহ দুটি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে গণহত্যা ও প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ (২ নম্বর অভিযোগ), করমজা গ্রামে ১০ জনকে গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণসহ বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ (৪ নম্বর অভিযোগ), ধুলাউড়ি গ্রামে ৫২ জনকে গণহত্যা (৬ নম্বর অভিযোগ) এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (১৬ নম্বর অভিযোগ) দায়ে নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৪ নম্বর অভিযোগের দায় থেকে নিজামীকে খালাস দিয়ে বাকি তিনটিতে ফাঁসি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
অন্য চারটি অর্থাৎ পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিন হত্যা (১ নম্বর অভিযোগ), মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র (৩ নম্বর অভিযোগ), বৃশালিখা গ্রামের সোহরাব আলী হত্যা (৭ নম্বর অভিযোগ) এবং রুমী, বদি, জালালসহ সাত গেরিলা যোদ্ধা হত্যার প্ররোচনার (৮ নম্বর অভিযোগ) দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর অভিযোগের দায় থেকে চূড়ান্ত রায়ে খালাস পেয়েছেন নিজামী। বাকি দুটিতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন নিজামীকে। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। ছয় হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছিলেন তিনি। তবে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর রাতে যুদ্ধাপরাধের বিচারে দণ্ডিত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সরকার। একই অভিযোগে এর আগে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসিও কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৬:৪১ ৩৯৮ বার পঠিত