দুই মন্ত্রীর ফের হাজিরা ২৭ মার্চ

Home Page » প্রথমপাতা » দুই মন্ত্রীর ফের হাজিরা ২৭ মার্চ
রবিবার, ২০ মার্চ ২০১৬



kamrulmojammel-01.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল রায় নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা যথাযথ না হওয়ায় তাকে নতুন করে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কামরুল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আগামী ২৭ মার্চ আবারও রুলের শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল রোববার সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে রুলের জবাব দাখিল করেন।

অবশ্য তারা আগেই আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা জানিয়ে রেখেছেন।

সকাল সোয়া ৯টায় শুনানি শুরুর পর দুই মন্ত্রীকে মিনিট পাঁচেক এজলাসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন জানিয়ে তারা বসার অনুমতি পান।

দুই মন্ত্রীর পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার শুনানিতে অংশ নেন।

গত ৫ মার্চ ঢাকায় এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানির দাবি তোলেন কামরুল।

তিনি বলেন, আপিলের শুনানিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ‘রায়েরই ইঙ্গিত’ মিলছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান বলে গণমাধ্যমের খবর।

তাদের ওই বক্তব্য সে সময় তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। মীর কাসেমের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং বিএনপি নেতারা মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বলেন, এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ।

এ ধরনের মন্তব্য এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিতর্কিত বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধের বিচারই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিৎ নয়।

রায়ের আগের দিন সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কথা বলেন। দুই মন্ত্রীর ওই বক্তব্য যে সরকারের ভাষ্য নয়, তা তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন বলে গণমাধ্যমের খবর।

এরপর ৮ মার্চ মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আপিল বিভাগের সব বিচারককে নিয়ে বসে দুই মন্ত্রীকে তলবের আদেশ দেন।

দুই মন্ত্রীর দেওয়া যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা বিচার প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ এবং সুপ্রিম কোর্টের সম্মান ও মর্যাদাকে হেয় করার শামিল বিবেচনা করে কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়া হয় তাদের।

ওই বক্তব্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম কেন শুরু করা হবে না- তা ১৪ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয় নোটিসে। সেই সঙ্গে দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আর মীর কাসেমের আপিল মামলার রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়ার সর্বোচ্চ সাজার আদেশই আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ১৪ মার্চ সকালে আদালতে হাজির হন। অন্যদিকে বিদেশ সফরে থাকা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন।

এরপর আপিল বিভাগ দুই মন্ত্রীর হাজিরার জন্য ২০ মার্চ নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৬:৫৮   ৩৭৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ