বঙ্গনিউজ ডটকমঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফের নিজ নিজ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
দলের আসন্ন ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে ওই দুটি পদে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিনে বুধবার শুধু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষেই ফরম সংগ্রহ করা হয়। ওই দুটি পদে আর কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করায় তাদের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছে না।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই দুটি পদে নির্বাচনী কার্যক্রমের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ওই মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ওই মনোনয়নপত্র বিতরণ করেন।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে চেয়ারপারসন পদে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তার নির্বাচনী এজেন্ট, দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দলের অপর যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহাজাহান।
মনোনয়নপত্র ক্রয় করার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রিটার্নিং অফিসার নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, আজ সকাল থেকে আমরা বিএনপির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরম বিক্রি করছি। আর এই দু’টি পদে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে কেউ আসেননি।
তিন বলেন, বিএনপির নির্বাচন কমিশন আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, যার বয়স ৩০, বিএনপির চাঁদাদাতা এবং যিনি কাউন্সিলর সেই এই দুটি পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন। সে কারণেই আমরা আশা করেছিলাম, হয়তো কেউ ফরম কিনতে আসবেন।
এই দুটি পদের জন্য কেউ ফরম কিনতে আসলেন না কেন?- এই প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, কে নিতে চায় সেটাইতো জানি না। জানলে না হয় তার সাথে আলাপ করে দেখতাম,তাহলে হয়তো কারণটা বলতে পারতাম। কিন্তু এখনো কাউকেই পাইনি।
তিনি জানান, এই শীর্ষ দুটি পদের জন্য দু’জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তবে তারাই যে হবেন, এমনটা এখনি বলা যাবে না। কারণ আগামী ৪ মার্চ তারা ফরম জমা দেবেন। এবং ৫ মার্চ যাচাই-বাছাই হবে। এরপর ৬ মার্চ প্রার্থী তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর যদি কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি হতে পারবেন না। আর কেউ যদি প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করেন সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আপনাদের জানাবেন।
রিটার্নিং অফিসার বলেন, চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান চূড়ান্ত করার আরো অনেক বিষয় আছে। সেগুলো হল: প্রার্থীরা তাদের ফরম জমা দেয়ার পর তাদের ফরমে কোনো ভুল আছে কি না-সেগুলো দেখা হবে। এরপর তাদের প্রার্থীতা হওয়ার স্বচ্ছতার বিষয়টিসহ আরো অনেক বিষয় যাচাই-বাছাই করা হবে।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুসারে, জাতীয় কাউন্সিলে সদস্যদের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তিন বছরের জন্য দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
অন্যদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই দিন দলের গঠনতন্ত্রে এ সংক্রান্ত সংশোধনীর অনুমোদন দেন খালেদা জিয়া।
১৯৮৪ সাল থেকেই দলটির চেয়ারপারসনের দায়িত্বে রয়েছেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ৮ডিসেম্বরে দলের ৫ম ও সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ তৈরি করা হয়। দলের তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ওই পদে আসীন হন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২০:৪১ ৩৬৯ বার পঠিত