সংবাদ সম্মেলনে রোনালদো, মাঠের মতোই বেশ মেজাজে ছিলেন। ছবি: এএফপিবঙ্গনিউজ ডটকমঃ এডিনসন কাভানি ‘সুপার-সাব’ হয়ে দারুণ এক ম্যাচ জেতালেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি)। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম রাউন্ডের প্রথম লেগে চেলসির বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে পরের ধাপের দিকে এক পা এগিয়ে রাখল ফ্রান্সের ক্লাবটি। তবে চেলসির আশা অবশ্যই শেষ হয়ে যায়নি। ন্যূনতম ব্যবধানে প্রথম লেগ হারলেও ঘরের মাঠে দারুণ কিছুতে হয়তো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে নিতে পারে এই মৌসুমে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংলিশ ক্লাবটি। হোসে মরিনহোর কাছ থেকে ডাচ কোচ গাস হিডিঙ্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই চেলসির প্রথম হার।
ঘরের মাঠের ম্যাচটিতে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতা থাকার পর উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড জয়সূচক গোলটি করেন। মাঠের নামার ৫ মিনিটের মধ্যেই অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বাড়িয়ে দেওয়া একটি বলে বেশ দুরূহ কোণ থেকে গোল করেছেন কাভানি। আগের দশ ম্যাচে মাত্র এক গোল। একাদশে জায়গা হারিয়ে নাখোশও হয়ে পড়েছিলেন। কালও বেশির ভাগ সময় বেঞ্চ গরম করতে হলো। কিন্তু মাঠে নেমে কাভানি দেখিয়ে দিলেন, এখনো ফুরিয়ে যাননি।
কাভানির গোলটা না হলে লড়াইয়ে চেলসিই এগিয়ে থাকত। পিএসজির মাঠ থেকে ড্র, সঙ্গে অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকা। এখন শুধু অ্যাওয়ে গোলটার সান্ত্বনাই পেতে হচ্ছে ব্লুদের। তবে মরিনহো যে তলানিতে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে এই পর্যায়ে সেও বা কম কী!
ম্যাচ জয়ের পর পিএসজি কোচ লঁরা ব্লাঁ তো বলেই দিলেন, ‘চেলসি ধীরে ধীরে নিজেদের ফিরে পাচ্ছে, সেটা আজ মাঠের কঠিন লড়াইয়েই পরিষ্কার হয়ে গেছে। পুরো খেলায় তাঁদের রক্ষণটা ছিল দুর্দান্ত। আক্রমণেও উঠেছে প্রচণ্ড গতি নিয়ে। স্টামফোর্ড ব্রিজে পরের লেগের লড়াইটাও কঠিন হবে।’
খেলার শুরুটা কিন্তু ছিল চেলসিরই। কিন্তু একটি প্রচেষ্টা ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাটুকু পাওয়া হয়ে ওঠেনি তাদের। ঘানাইয়ান ফুটবলার বাবা রহমানের ক্রস থেকে ডিয়েগো কস্তার নেওয়া হেডটিতে গোলেই যাচ্ছিল। অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় একদম নিশ্বাস দূরত্ব থেকে চট করে ফিস্ট করেন পিএসজি গোলরক্ষক। সেটাই ক্রসবারে লেগে ফিরে যায়।
৩৬ মিনিটে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর আগুন-গোলার ফ্রি কিকটি চেলসির ওয়ালে দাঁড়ানো ওবি-মিকেলের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে ওবি মিকেলই ম্যাচে ফেরান চেলসিকে। কর্নার থেকে পাওয়া বলটি কস্তা একটু বাড়িয়ে দিলে তা থেকে গোল করেন। ড্রয়ের দিকে এগোতে থাকা ম্যাচটি শেষে রং বদলে দিলেন কাভানি।
চেলসি কোচ অবশ্য প্যারিসের মাঠে পাওয়া গোলটিকে গুরুত্বপূর্ণই ভাবছেন। দলের পরাজয়ে স্বাভাবিকভাবেই অখুশি হলেও জন ওবি-মিকেলের ‘অ্যাওয়ে’ গোলটিই আশা ছড়াচ্ছে চেলসির ডাচ কোচের মনে, ‘হার হারই। যেকোনো হারই দুঃখজনক। তবে অ্যাওয়ে গোলটি পাওয়ায় ভালো লাগছে। দুই লেগের ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করাটা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
কাল রাতের অন্য ম্যাচটাও রং বদলেছে একেবারে শেষ দিকে। যোগ করা সময়ে হোনাসের একমাত্র গোলে জেনিতকে হারিয়েছে স্বাগতিক বেনফিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৯:২১ ৩২৫ বার পঠিত