জি এম কাদের ‘অস্পষ্টতা’ দূর করতে চান

Home Page » প্রথমপাতা » জি এম কাদের ‘অস্পষ্টতা’ দূর করতে চান
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬



22_gmquader_abmruhulaminhowlader_260116_010.jpgবঙ্গ-নিউজঃ রাজনীতির স্বার্থে এবং জনগণের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে’ মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যদের বেরিয়ে আসা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন দলের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া জি এম কাদের।একইসঙ্গে সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকা এবং সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকায় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে ‘অস্পষ্টতা’ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তা ‘দূর করে’ মানুষের আস্থা অর্জনের ইচ্ছার কথা বলেছেন তিনি।মঙ্গলবার ঢাকার বনানীতে দলীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় সংস্কৃতি পার্টি আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছোট ভাই কাদের এসব কথা বলেন।

গত ১৭ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম দলীয় বিষয়ে কোনো অনুষ্ঠানে কথা বললেন বিগত মহাজোট সরকারের মন্ত্রী জি এম কাদের।

“আমাদের প্রশাসন, অর্থবল, পেশিশক্তি নেই…একমাত্র শক্তি জনসমর্থন। এটা যদি না থাকে, তাহলে আমরা শূন্য। কিন্তু আমাদের জনসমর্থনও দিন দিন কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। ভোটের রাজনীতিতে আমরা রাজনীতি ও ভোটবিহীন অবস্থায় পৌঁছে গেছি। গত পৌরসভা নির্বাচনে তা স্পষ্ট দেখা গেছে।

“পৌরসভা নির্বাচনের সময় আমি বহু এলাকায় গিয়েছি। সেখানে দেখেছি, সরকারি দলের সমর্থকরা তাদের দলকে ভোট দিচ্ছে। যারা বিরোধী, তারা বিএনপিকে বেছে নিচ্ছে। জাতীয় পার্টির অবস্থান জনগণের কাছে অস্পষ্ট। কারণ জাতীয় পার্টি একদিকে বিরোধী দল, আবার অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রিসভায় আছে।”

জাতীয় পার্টি কারও ক্ষতি চায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। বক্তব্য একটাই, আমরা কোয়ালিশন বিরোধীদল চাই না। আমরা জনগণের হয়ে কথা বলতে চাই, জনগণের আস্থা অর্জন করতে চাই। কারণ, জনগণ চাচ্ছে আমরা যেন এগিয়ে যাই। এটা আমার কথা না, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কথা।”

দশম জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নাটকীয়তার এক পর্যায়ে এরশাদ বিএনপির মতোই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলে দলের একাংশ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাদের মধ্যে জি এম কাদেরও ছিলেন।

বর্জন করেও এরশাদ আইনের মারপ্যাঁচে ভোটে জিতে যান। জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দল হয়, এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ হন বিরোধী দলীয় নেতা।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী, মশিউর রহমান রাঙা স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এবং মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম প্রতিমন্ত্রী। আর এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিশেষ দূত’।

বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পার্টির সদস্যদের মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি আলোচনায় এলেও জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের আপত্তির কারণে তা ধোপে টেকেনি- এমন খবর এসেছে গণমাধ্যমে।

এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, “সংসদ সদস্যরা সংসদে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের গঠনমূলক সমালোচনা ও সংসদে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কাজ তারা করবেন।

“সংসদে আমাদের কার্যকর এবং সত্যিকারের বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে হবে। এটা করতে হলে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা জরুরি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থেই এটা করতে হবে।”

দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে শত্রু নয়, প্রতিপক্ষ মনে করে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে না। সুতরাং কেউ আমাদের কল্যাণের জন্য মাথায় তুলে নিয়ে শক্তিশালী করে দেবে- এটা কোনো সুস্থ কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন চিন্তা নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ফেরা রুহুল আমিন হাওলাদারকেও এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অন্যদের মধ্যে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, আব্দুস সবুর আসুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মওলা চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৩:৩২   ২০৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রথমপাতা’র আরও খবর


সালাম, আমান, রিজভী, খোকন, শিমুল ও এ্যানিসহ গ্রেফতার শতাধিক
ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
 নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ,নিহত ১
বিয়েবর্হিভূত যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ: প্রতিবাদে বিক্ষােভ ইন্দোনেশিয়ায়
আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোয়ার্টারে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি
ব্যাংকে টাকা নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির লটারি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর
২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ
সউদী আরব তৈরি করবে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর

আর্কাইভ