স্মৃতিচিত্রে ব্যক্তি ও কবি

Home Page » সাহিত্য » স্মৃতিচিত্রে ব্যক্তি ও কবি
সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৬



বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের মধ্যে কবিতা ও কথাসাহিত্যে যে কজন সাহিত্যিক আধুনিতার নতুন ভিত্তি নির্মাণ করেছিলেন, কবি আহসান হাবীব ও কথাশিল্পী শওকত ওসমান তাঁদের অন্যতম। ২ জানুয়ারি ছিল এই দুই লেখকের জন্মদিন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা

আহসান হাবীব (২ জানুয়ারি ১৯১৭—১০ জুলাই ১৯৮৫), প্রতিকৃতি: মাসুক হেলালবঙ্গনিউজ ডটকমঃচল্লিশের দশকে বাংলা কাব্যসাহিত্যে সৃষ্টিশীলতার যে জোয়ার এসেছিল তাতে হাতে গোনা কয়েকজন পূর্ববঙ্গীয় কবি যুক্ত হয়েছিলেন, আহসান হাবীব তাঁদের একজন। দেখতে দেখতে বেলা বেড়ে বাংলাদেশি কবিতার বয়স তো কম হলো না। এ বছর কবি আহসান হাবীবের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী। একই বছরে আমাদের আরেক প্রিয় কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানেরও ৯৯তম জন্মবার্ষিকী।

আহসান হাবীব কবি হিসেবে প্রগতি ঘরানার অন্তর্ভুক্ত হলেও স্বভাববৈশিষ্ট্যে তিনি স্বল্পবাক, অন্তর্মুখী, কবিতায়ও অনুচ্চকণ্ঠ। বিষয়-মাহাত্ম্যে একদিকে রাজপথের কবি, প্রতিবাদী কবি; অন্যদিকে নদীমাতৃক গ্রামবাংলার নিম্নবর্গীয় জীবন-জনপদের মৃত্তিকাঘনিষ্ঠ কবি। কবি-জীবনের শুরুতে তাঁর লেখা প্রতিবাদী চরিত্রের রাজপথের কবিতা ‘রেড রোডে রািত্রশেষ’ স্বনামখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা পরিচয়-এ প্রকাশিত হয়ে কবির জন্য যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়ে আনে। একই ঘটনা সানাউল হকের কবিতা ‘অভিনন্দন মণি-কে’ নিয়ে।

আহসান হাবীব আড্ডারসিক বা মজলিসি ধরনের কবি ছিলেন না। বরং স্বভাবগত গাম্ভীর্যের আবরণে নিজেকে আড়াল করে, সরিয়ে রাখতে পছন্দ করতেন। এ প্রবণতা তাঁর বরাবরের, বলা চলে আমৃত্যু এবং যা তাঁর প্রকৃতি ও ব্যক্তিত্বের অংশ। এদিক থেকে তিনি তাঁর সমকালীন কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ঠিক বিপরীত। এঁরা দুজন পরস্পরের পরিচিত হলেও কখনোই একক ঘনিষ্ঠজন হয়ে উঠতে পারেননি। সম্ভবত উভয়ের স্বভাববৈপরীত্যের কারণে।

শওকত ভাই বরাবরই স্বভাববৈশিষ্ট্যে উচ্চকণ্ঠ, হাস্যরসালাপে অভ্যস্ত, কখনো তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও বিব্রত হন না। তাঁর মজলিসি আচরণ বয়স বিচার করে না। এমনই অভিজ্ঞতা আমাদের। এমন স্বভাবে নিষ্ঠ শওকত ভাই প্রকৃতপক্ষে একজন সার্থক ম্যাটারিস্ট শিল্পী, যেমন কথাসাহিত্যে; তেমনি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছড়ায় ও ব্যঙ্গ কবিতায় আহসান হাবীবের সঙ্গে বরং কিছুটা স্বভাবগত মিল রয়েছে আরেক প্রতিভাবান কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র।

দুই.

কবি আহসান হাবীবের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ সম্ভবত পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, পুরান ঢাকার গলিতে এক আবছা সন্ধ্যায়। তিনি কেবল উয়ার্মি বুক সেন্টার থেকে বেরিয়ে এসে অন্যমনস্কভাবে হাঁটতে শুরু করেছেন। আমি দ্রুত এগিয়ে যাই, পরিচয় দিয়ে কথা বলি, কিন্তু সেদিন আলাপ জমেনি। হঠাৎ করে এ ধরনের স্বভাববিরুদ্ধ আচরণের কারণ বোধ হয় মানুষটি ‘রেড রোডে’র কবি আহসান হাবীব বলে। ওই কবিতাটি পড়ে কবি সম্বন্ধে মুগ্ধতা তৈরি হয়েছিল।

 

প্রথম সাক্ষাতের পর লেখার সুবাদে বার কয়েক তাঁর সঙ্গে দেখা হলেও অন্তরঙ্গতা তখনো ‘দূর অস্ত’। নিয়মিত আলাপচারিতা শুরু আমার সাহিত্য পত্রিকা নাগরিক-এ (১৯৬৪ থেকে) প্রতি সংখ্যায় তাঁর কবিতা প্রকাশের সুবাদে। আলাপ মূলত সাহিত্য নিয়ে, সাহিত্য পত্রিকার সমস্যা নিয়ে। জানতে চেয়েছেন, কেমন চলছে পত্রিকা। উচ্চমান লেখা নিয়ে, কবিতা নিয়ে একধরনের দুর্ভাবনা ছিল তাঁর। বিশেষ করে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে।

‘না, ইদানীং খুব ভালো কবিতা লেখা হচ্ছে না’—এমন কথা একাধিকবার বলেছেন তিনি। আসলে ছাপার যোগ্য কবিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সম্পাদক আহসান হাবীব ছিলেন একজন কড়া ধাঁচের ‘মাস্টার মশাই’। কথাটা ইতিবাচক অর্থেই বলছি। শব্দবিচার থেকে ছন্দবিচারের মতো কোনো বিষয়ই ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না সম্পাদক আহসান হাবীব।

তিনি তখন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। এক বিকেলে তাঁর ছোট্ট অফিসকক্ষে মুখোমুখি বসে মাথাভর্তি চুল সুদর্শন মানুষটির বিরতিহীন সিগারেট টানা আর ধোঁয়ার কুণ্ডলীর দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ নীরবতা ভেঙে হাবীব ভাই বললেন, ‘জানেন রফিক সাহেব, এ দেশে ভালো প্রবন্ধ পাওয়া খুব কঠিন। তাই আপনাকে প্রবন্ধ লিখতে বলি। আর কবিতা…।’ বলেই টেবিলের ড্রয়ার টেনে মন্তব্য, ‘ভাই, দেখুন কবিতার ছড়াছড়ি। জানি না, এ থেকে কটা ছাপাতে পারব।’ অবাক হয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকি। কবিতা বিচারে আহসান হাবীবের নিখুঁত জহুরিপনার কথা বলতে শুনেছি তাঁর তৎকালীন সহকারী, কবি নাসির আহমেদকে।

আরেকটি ঘটনা তাঁর সাহিত্যভাবনা বুঝতে সাহায্য করবে। জানি না কী ভেবে সেদিন হাবীব ভাইকে বলেছিলাম, ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার প্রিয় লেখক। তাঁর উপন্যাস নিয়ে একটা বই লেখার কথা ভাবছি।’ অবাক হই তাঁর হঠাৎ প্রতিক্রিয়া দেখে। ‘দেখুন, মানিক ব্যানার্জিকে নিয়ে লেখার লোক কম নেই, কিন্তু আমাদের এখানে…।’ একটু থেমে বললেন, ‘আপনি বরং এখানকার সাহিত্য নিয়ে, কবিতা নিয়ে লিখুন, তাতে আমাদের সাহিত্যসমাজ উপকৃত হবে।’

তাঁর বক্তব্যের ইঙ্গিত বুঝতে অসুবিধা হয়নি। সাহিত্য সমালোচনায় পরিপক্বতার অভাব— কথাটাও পুরোপুরি মিথ্যা ছিল না। আর এ কথাও জানতাম, আহসান হাবীবের কবিতা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণও ছিল সামান্য। এ বিষয়ে তাঁর মনে ছিল চাপা ক্ষোভ। অস্বীকারের উপায় নেই যে, ওই সময়পর্বেও আহসান হাবীব একজন বড় মাপের কবি, সে তুলনায় হাবীব ভাইয়ের কবিতা নিয়ে আলোচনার পরিমাণ ছিল খুবই কম, বলা যায় আহসান হাবীব সম্পর্কে তা উদাসীনতার শামিল। এমনকি তাঁর মৃত্যুর পরও অবস্থার বড় একটা পরিবর্তন ঘটেনি। নিভৃতচারী, একাকিত্বপ্রবণ এবং আড্ডা, সংগঠন ইত্যাদি এড়িয়ে চলা একজন কবির সৃষ্টিকর্মের ভাগ্যে, সত্যি বলতে কি এমনটাই জোটে। আমার নিশ্চিত ধারণা, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর লেখার কথায় হঠাৎ করেই সেদিন হাবীব ভাইয়ের মনের গভীরে সঞ্চিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল।

দিন কয়েক পর হাবীব ভাই তাঁর সব কটা কবিতার বই আমাকে উপহার দেন আমার নাম লিখে স্বাক্ষরসহযোগে, সঙ্গে মন্তব্য, ‘পড়ে দেখবেন’। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, তাঁকে নিয়ে বই লেখা না হলেও এরপর তাঁর কবিতা নিয়ে দীর্ঘ গোটা কয় প্রবন্ধ লিখেছি। একসময় তাঁকে বলেছিলাম ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত আমার প্রথম প্রবন্ধের বই শিল্প সংস্কৃতি জীবন-এ কবি আহসান হাবীবের কবিতা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী সুদীর্ঘ আলোচনার কথা। প্রবন্ধটির প্রথম প্রকাশ ১৯৫৬ সালে।

মুখরেখায় কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে হাবীব ভাই বললেন, ‘হ্যাঁ, বইটা পড়েছি। আমার কবিতা নিয়ে এত বিশদ আলোচনা এর আগে কেউ করেনি।’ শুনে স্বস্তি পাই। কারণ, ব্যক্তি আহসান হাবীব চাপা স্বভাবের মানুষ। উচ্ছ্বাস বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ, তবু বয়ঃকনিষ্ঠের কাছে হঠাৎ ক্ষোভের প্রকাশ যেমন অবাক করার মতো ঘটনা, তেমনি তাতে ক্ষোভের গভীরতাও বোধগম্য।

আরও একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে একসময় তরুণদের কেউ কেউ কবি শামসুর রাহমানকে ‘বাংলাদেশের প্রধান কবি’ হিসেবে আলোচনায় এনে তাঁকে আহসান হাবীবের ওপরে স্থান দিতে চেষ্টা করেছেন। এ জাতীয় মূল্যায়নের কোনো প্রয়োজন ছিল না। হাবীব ভাই এ ঘটনা জানতেন, কিন্তু স্পর্শকাতর এ বিষয়ে কখনো উচ্চবাচ্য বা কোনো মন্তব্য করেননি। অবশ্য বিভিন্ন সময়ে তাঁর কথায় এ বিষয়ে তাঁর মনোভাব বুঝতে পারা গেলেও কখনো তা সুরুচির সীমা অতিক্রম করেনি।

হাবীব ভাই সংস্কৃতি অঙ্গনের বহুধাবিভক্ত কোনো দল বা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। যেমন ছিলেন না সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল বা তাদের সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। হয়তো তাই তাঁকে নিয়ে অর্থাৎ তাঁর কবিতা নিয়ে অনুজদের মাতামাতি দেখা যায়নি, যেমনটা তাঁর অনুজ কবিদের কারও কারও ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এসব নিয়ে কখনো তাঁকে অভিযোগ করতে বা আকারে-ইঙ্গিতে কিছু বলতে দেখিনি বা শুনিনি। তিনি বলতেন, ‘আমি কবি। এটাই আমার বড় পরিচয়।’ কথাটি রাবীন্দ্রিক ধরনের।

প্রকৃতিবৈশিষ্ট্য বিচারে নিরাসক্ত ও নিভৃতচারী ধরনের হলেও আহসান হাবীব নামক সুদর্শন মানুষটির মধ্যে দেখেছি একপ্রকার অহংকারহীন আভিজাত্যবোধ, সেই সঙ্গে জীবনের প্রতি আসক্তির প্রকাশ। যেমন সুদৃশ্য, পরিচ্ছন্ন পোশাকে, তেমনি দামি ব্র্যান্ডের সিগারেটের সুগন্ধি ধোঁয়ায়—যা তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

ইতস্তত করে একদিন বলেছি, ‘এত সিগারেট খাওয়া তো ঠিক নয়।’ নিস্পৃহ, সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এটা অনেক দিনের অভ্যাস, ছাড়তে পারি না। স্বাস্থ্যের ক্ষতির কথা ভেবে ভালো ব্র্যান্ড।’ ‘ব্র্যান্ড’ প্রসঙ্গটা ছিল আসলে অজুহাত বা সাফাই।

সহযাত্রী বা সমপেশার মানুষের সঙ্গে গভীর অন্তরঙ্গতা বা ঘনিষ্ঠতার বিরুদ্ধে ওপরে উল্লিখিত কারণগুলো একধরনের বাধার দেয়াল তৈরি করেছিল বলে আমার বিশ্বাস। পরিণামে তাঁর জীবনযাত্রায় কিছুটা নিঃসঙ্গতা। এতসব বাধা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত হাবীব ভাইয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা গড়ে উঠেছিল। হয়তো তাই অফিস শেষে বিকেলে প্রায়ই আসতেন নিউ বেইলি রোডে আমাদের ‘বায়োপ্যাথ’ ল্যাব-এ। কখনো বা অনুসন্ধানী পরীক্ষার তাগিদে। কখনো শুধু কথা বলতে।

অথচ আলাপ বরাবরই সংক্ষিপ্ত। অন্তর্মুখী স্বল্পভাষী মানুষের ক্ষেত্রে যেমনটা প্রায়ই দেখা যায়। তবু তাতে উষ্ণতার অভাব ছিল না। অভাব থাকলে কেউ কি ব্যক্তি জীবনের কিছু মর্মবেদনার কথা অনুজপ্রতিমের কাছে প্রকাশ করতে পারে? তুলনায় অনেক বেশি বেদনার কথা, হতাশার কথা বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন শওকত ভাই সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় বসে।

গাছগাছালিঘেরা সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় বসে চা বা কফি খেতে খেতে হাবীব ভাই বলেছেন, ‘ঢাকা শহর আগের মতো গাছপালায় ভরা থাকলে বেশ হতো।’ তখন হয়তো তাঁর কৈশোরের বরিশাল হৃদয়ে ঢেউ তুলেছে। রাজধানী কলকাতা ও ঢাকায় লালিত আহসান হাবীবের মেট্রোপলিটন মনের গভীর গহনে অংশত স্থায়ী ভিত তৈরি করেছিল বরিশালের প্রতীকে নদীমাতৃক গ্রামবাংলার শ্রমজীবী মানুষ ও তার পরিবেশ-প্রকৃতি। এরাই তাঁর কবিতার স্বজন, স্থায়ী উপাদান, বিশেষ উপাদান। অবশ্য রাজপথের কবিতা বাদে এমনটাই সত্য।

আরও একটি কথা। দৈনিক বাংলার এক চিলতে অফিস ঘরে বসে দায়িত্ব পালন করার সময় কথাচ্ছলে হাবীব ভাইকে একদিন বলেছিলাম, তাঁর নিরাসক্ত নিভৃতচারিতা থেকে বেরিয়ে না এলে তাঁর কবিতার উজ্জ্বল মূল্যায়ন ব্যাহত হবে। জবাব দিতে গিয়ে তাঁর মুখে ফোটে বিষণ্ণ²রেখা। তাঁর মন্তব্য, মানুষ কি তার প্রকৃতি বদলাতে পারে, এটা ভবিতব্য হিসেবে মেনে নেওয়াই ভালো। তবে সময় সবকিছুর শ্রেষ্ঠ বিচারক। এরপর আর কথা চলে না। কিন্তু আজ একুশ শতকে এসে মনে প্রশ্ন: সময় কি তার কর্তব্য পালন করেছে আহসান হাবীবের ক্ষেত্রে? দৈনিক বাংলা কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রতি অবিচার করেছে, করেছে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি ভুবন, অংশত সরকার। তাঁর জীবনযাত্রার লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন, সে কথা প্রকাশ করতেন না। দু-একবার যে বলেননি এমনও নয়। যে জন্য কখনো কখনো বিশ্বাস বা আদর্শের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে। সে সব অপ্রিয় প্রসঙ্গ।

ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবাদে ব্যক্তি ও কবি আহসান হাবীবকে যতটা চিনেছি ও বুঝেছি, তাতে আমার ধারণা, তিনি একাধারে একজন সার্থক কবি ও সাহিত্য সম্পাদক, এবং সেই সঙ্গে পরিশীলিত রুচির মননশীল নাগরিক, যাঁর আচরণে সর্বদা দেখেছি শুদ্ধ মেট্রোপলিটন সংস্কৃতির প্রকাশ। তা সত্ত্বেও তাঁর কবিতায় গ্রামবাংলার মৃত্তিকা-সংলগ্ন জীবন ও জনপদের চিত্রচরিত্রটি কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। নগরবাসী কবির লেখনীতে গ্রামবাংলার কাদামাটি, আকাশ, নদী ও জলস্রোত এবং উদ্ভিদ-প্রকৃতি চিরস্থায়ী রূপ পরিগ্রহ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:৩৮   ৩৭২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সাহিত্য’র আরও খবর


সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন: স্বপন চক্রবর্তী
ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা “আমি তো গাঁয়ের মেয়ে ”
৫০ বছরের গৌরব নিয়ে জাবির বাংলা বিভাগ বিশাল ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উৎসব আয়োজন করেছে
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা- ‘তোমার খোঁজে ‘
অতুলপ্রসাদ সেন: ৩য় (শেষ ) পর্ব-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন;পর্ব ২-স্বপন চক্রবর্তী
অতুলপ্রসাদ সেন-স্বপন চক্রবর্তী
অধ্যক্ষ ড. গোলসান আরা বেগমের কবিতা ” যাবে দাদু ভাই ?”
বাদল দিনে- হাসান মিয়া
ইমাম শিকদারের কবিতা ‘ছোট্ট শিশু’

আর্কাইভ