২০ মিনিটে দুবার দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড!

Home Page » ক্রিকেট » ২০ মিনিটে দুবার দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড!
রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৬



মুনরোর সেই টর্নেডো। মুনরোর সেই টর্নেডো।

বঙ্গনিউজ ডটকমঃ রেকর্ড অবিনশ্বর নয়। রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। আজ যে রেকর্ড হয়ে গেছে, সেটি কাল না-ও থাকতে পারে!

 

‘কাল!’ মার্টিন গাপটিল হয়তো চেঁচিয়ে উঠবেন, ‘কালের কথা কোত্থেকে আসে! বলুন, আজ যে রেকর্ড গড়ে আপনি তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন, সেটি ২০ মিনিট পরই আর আপনার নাও থাকতে পারে!’


অবশ্য এমন ভাবলে বেচারাকে কোনো দোষই দেওয়া যাবে না। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির এর আগের রেকর্ডটিও ‘যৌথভাবে’ তাঁর ছিল। ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ বলে ফিফটি করেছিলেন গাপটিল। এর আগে ২০০৯ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ বলে ফিফটি করেছিলেন অ্যারন রেডমন্ডও।

 

আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অকল্যান্ডে রেকর্ডটিকে আজ শুধুই নিজের করে নিয়েছিলেন গাপটিল। মাত্র ১৯ বলে করেছিলেন ৫০! হয়তো একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন। একটু গর্বও মিশে ছিল সে নিশ্বাসে। গত কয়েক মাস ধরে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, একের পর এক রেকর্ডও নিজের নামে করে নিচ্ছেন। সেই অর্জনের পাতায় আরেকটা নতুন পালক যোগ হলো!

 

কিন্তু বিধি বাম! গাপটিলের এই তৃপ্তির মেয়াদ মাত্র ২০ মিনিট! সেটি আর কিউইদের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড রইল না। থাকতে দিলেন না কলিন মুনরো।

 

২৫ বলে ৬৩ করে গাপটিল আউট হওয়ার পরই ক্রিজে এসেছিলেন। গাপটিলের ব্যাটিংটাই করে গেলেন মুনরো, গাপটিলের চেয়েও ভয়ংকরভাবে। ফিফটি করলেন মাত্র ১৪ বলে। একই ম্যাচে মাত্র কিছু সময়ের ব্যবধানে দুবার ভেঙে গেল নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি।

গাপটিলের সেই ঝড়।

গাপটিল চার মেরেছেন ৬টি, ছক্কা ৫টি। আর মুনরো? চার মারায় তাঁর আগ্রহ যেন ছিলই না। বলকে হাওয়া ভাসিয়ে গ্যালারিতে ফেলাতেই তাঁর যত সুখ। অবশ্য এর জন্য মাঠের আকারকেও ধন্যবাদ দিতে পারেন এই ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মাঠগুলোর একটি এই অকল্যান্ডে মুনরো চার মেরেছেন ১টি, ছক্কাই ৭টি!

 

মুনরো যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন মাত্রই গড়ে আসা রেকর্ড নিয়ে গাপটিল কতটুকু চিন্তায় ছিলেন কে জানে। কিন্তু গাপটিল তো বটেই, যুবরাজ সিংও হয়তো টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত যুবরাজ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারলেও গাপটিলের জন্য সেটি ছিল শুধুই দীর্ঘশ্বাস। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ওভারে ছয়-ছক্কার সেই ম্যাচে ১২ বলে ৫০ করেছিলেন যুবরাজ। মুনরোর ​দুটি বল বেশি লেগেছে।

 

এমন ‘পাগলাটে’ ব্যাটিংয়ের পর কে জিতেছে এমন প্রশ্ন করাও অবান্তর। বরং প্রশ্ন হতে পারে, নিউজিল্যান্ড কত বল হাতে রেখে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে? উত্তর—ইনিংসের পুরো অর্ধেক! শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৪৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে গাপটিল-মুনরো ঝড়ে ১৪৭ করেছে নিউজিল্যান্ড, মাত্র ১০ ওভারে! দুষ্মন্ত চামিরার বলে ছক্কা মেরে মুনরো ৫০ করার পরই খেলা শেষ। নিউজিল্যান্ড সিরিজটাও জিতে নিল ২-০তে।

 

দেখেছেন, এই দুজনের তাণ্ডবের কারণে কেন উইলিয়ামসনের কথাই বলা হয়নি। এঁদের মতো রিখটার স্কেলে এত বেশি মাত্রার হয়তো নয়, কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে ছোট্ট একটা ধাক্কা তো উইলিয়ামসনও দিয়েছিলেন। ২১ বলে ৩২ করেছেন। শ্রীলঙ্কার সব বোলারদের ওপর দিয়েই টর্নেডো গেছে। তবে ভ্যান্ডারসেই সবচেয়ে লন্ডভন্ড হলেন। ২ ওভারেই দিয়ে বসলেন ৪১ রান, মাত্রই চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামা এই লেগস্পিনার বুঝে গেলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কত কঠিন!

 

এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটা সেই ‘থোড় বড়ি খাড়া’র গল্প। সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেরা অবসর নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কাকে বেশির ভাগ সময়ই টেনে নিচ্ছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আজও তা-ই হলো। ২০ ওভারে ১৪২ করেছে লঙ্কানরা। তাতে ম্যাথুসের অবদান ৪৯ বলে ৮১! দিলশানের ২৮ ছাড়া বাকি সবার রানটা এক অঙ্কের বেশি যেতে পারেনি।

তবে তাঁরাও বলতে পারেন, গেলেই বা লাভ হতো কী!

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৪:০৫   ৩৩৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ক্রিকেট’র আরও খবর


ভারতকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত
১০ উইকেটে ইংল্যান্ডের জয় : ভারতের বিদায়
স্বপ্নের ফাইনালে পাকিস্তান :টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে সেমিফাইনালে পাকিস্তান
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার উৎসব
ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের মধুর প্রতিশোধ
শনিবার সকালে ফিরছে বাংলাদেশ দল
টি-টোয়েন্টিতে কেমন হবেন ‘ওপেনার’ মুশফিক
ভুল বুঝতে পেরেছেন সাকিব!
সাকিবকে ছাড় দেবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

আর্কাইভ