বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
নেছার এ নিশানঃ
গত ১১ অক্টোবর একেবারেই চুপিসারে বিয়ে করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইলিয়াস হোসেন। কনসার্টের জন্য আমেরিকায় গেলে কাউকে না জানিয়ে সেখানেই বিয়ে করেন তিনি। পাত্রী নিশাত তাবাসসুম। কিন্তু বিয়ের বয়স তিন মাস না গড়াতেই বিচ্ছেদের পথে এগুতে হলো এই দম্পতিকে।
সম্প্রতি একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হয় , ‘ইলিয়াসের সংসার ভেঙেছে’।
এরপর এ বিষয়ে ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে এটা সত্যি কিন্তু প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে সেগুলো সব সত্য নয়।
ইলিয়াস বলেন, এখানে আমার সাথে একটা গেম খেলা হয়েছে। আমি কাউকে না জানিয়েই বিয়েটা করি। নিশাতের সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে। সম্পর্ক ভালো ছিলো। আমাদের প্রথম দেখা হয় আমেরিকাতে। তখন আমি সংগীতশিল্পী তানভীর শাহিন ভাইয়ের বাসায় থাকি। আমি আমেরিকাতে যাওয়ার পর তার সাথে দেখা হলে সে আমাকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু আমি এতো শর্ট ডিসেশনে কিছু করতে চাচ্ছিলাম না। শাহীন ভাইও আমাকে সময় নিয়ে ভাববার কথা বলেন। আর আমিও আমার পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলেই বিয়েটা করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু একদিন হুট করে নিশাত ও তার বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড আমার বাসায় আসে। আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে। তখন আমি কাউকে না জানিয়েই বিয়েটা করি। তারা একপ্রকার আমার সাথে জোরজবস্তি করে। তবে আমাদের বিয়েটা কোনো কাগজে কলমে হয়নি। শুধুমাত্র মুখে কবুল পড়ে বিয়ে করেছি।
কবুল পড়ার পরপরই আমি নিশাতকে তার বাড়ি পাঠিয়ে দেই। আর আমারও সেদিন দেশে ফেরার কথা। তাই আমিও আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে আসি।
দেশে আসার পর আমি শাহীন ভাইকে ব্যাপারটা জানাই। তিনি আমার সাথে রাগারাগি করেন খুব। কিন্তু পড়ে উনি মেনে নেন। এর দুদিন না যেতেই নিশাতকে ওর বাসায় কেউ খুঁজে পাচ্ছিলো না। কারণ ওর আব্বু আম্মু বিয়েতে রাজি ছিলো না। তাই ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। আর ওইসময় নিশাত আমার এক ফ্রেন্ড আর তার স্ত্রীর সাথে ছিলো তিনদিন। এরপর নিশাতের আব্বু আমাকে এ ব্যাপারটা জানায়। আমি নিশাতকে বলি তার বাসায় ফিরে যেতে। শাহীন ভাইও বলে। এরমধ্যে শাহীন ভাই আমাদের দু’জনের বাসাতেই সমঝোতার ব্যাপারে কথা বলেন। যেনো পারিবারিক ভাবেই অনুষ্ঠান করে নিশাতকে ঘরে তুলি। আমার পরিবার রাজি ছিলো।‘
নিশাত বাড়ি যায়নি কেনো? এপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওর বাসা থেকে সমস্যা করছিলো। কারণ আমি গান করি। আর ওকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করছিলো। তাই ও বাসা থেকে বেড়িয়ে আসে। আর এসময় নিশাতের আব্বু আমাকে বলে আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য এবং আশ্বস্ত করে যে সেখানে গেলে এটা নিয়ে কথা হবে। এবং তারা পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করার কথা বলবেন।
তারপর আমি আমেরিকা যাই। কিন্তু যাওয়ার চারদিন হয়ে গেলেও কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাইনি। তারপর আমি দেশে ফিরে আসি।
সেই প্রতিবেদনে নিশাতের ভাষ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে আমি প্রতারণা করেছি। তাহলে বলেন, প্রতারণা কে করলো! কে প্রতারক আমি না ও? আমিতো শুধু ওর জন্যই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাই। আর ও আমাকে একপ্রকার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেই বিয়েটা করে। আমিতো চেয়েছিলাম সবাইকে জানিয়ে বিয়েটা করতে। আসলে আমিই প্রতারিত হয়েছি।
এরপর আমাকে একদিন হুট করে নিশাত ফোন করে কান্নাকাটি করে। আমি জানতে চাইলে সে বলে ওর আব্বু আম্মু জোর করে একটা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে। আর সেটা ছিলো ডিভোর্স পেপার। আর এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না।
আর ওই প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে আমি মোটেও বিশ্বাস করিনা কথাগুলো নিশাত বলেছে। কারণ সেখানে অনেক মিথ্যে কথা লেখা আছে।‘
এ প্রসঙ্গে তানভীর শাহীনের সাথে বিডিমর্নিংয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসলে ইলিয়াসের বড় ভুল হচ্ছে এতো শর্ট টাইম ডিসেশনে বিয়েটা করা। কিছু না জেনে না বুঝেই বিয়েটা করা ওর ঠিক হয়নি। তবে ইলিয়াস যেগুলো বলেছে সেগুলো সত্য। প্রতারণাটা আসলে ইলিয়াসের সাথেই হয়েছে। আমি এর সাক্ষী।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশাতের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৮:৩৫ ৪২৫ বার পঠিত