বঙ্গনিউজ ডটকমঃ রোনাল্ডিনহো থেকে নেইমার। দাভিদ ভিয়া থেকে ইব্রাহিমোভিচ, থিয়েরি অঁরি থেকে সুয়ারেজ। কখনও ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড, কখনও পেপ গুয়ার্দিওলা। আবার কখনও লুইস এনরিকে। দিন বদলেছে, বছর ঘুরেছে। সতীর্থ ফুটবলার, দলের কোচ পাল্টেছে।
কিন্তু লিওনেল মেসি আছে একই রকম!
বার্সেলোনার লাল-নীল জার্সিতে মেসির মাঠে নামা মানেই অসাধারণ ফুটবল স্কিল, অনবদ্য সব গোল আর বিনোদনের ধামাকাদার প্যাকেজ।
বুধবারই বার্সা জার্সিতে মেসির পাঁচশোতম ম্যাচে নামার আগে ওর সবচেয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেওয়ার ব্যাপার বলতে এই কথাই বলব।
কে বলবে ছেলেটার বার্সেলোনার মতো ক্লাবে মাত্র সতেরো বছরে শুরু করে টানা এগারো বছর খেলা হয়ে গেল। আঠাশ বছর বয়সেই ২৬টা ট্রফি জিতে ফেলেছে। কী নেই ট্রফি ক্যাবিনেটে! একাধিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ, সুপার কাপ, কোপা দেল রে। হয়তো জানুয়ারিতেই নিজের পাঁচ নম্বর ব্যালন ডি’অর-টাও জিতবে।
কেরিয়ারের গোটাটাই যেন স্বপ্নের মতো একটা দৌড়। লিও মেসি বিশ্বের যে কোনও ফুটবল মাঠে নামা মানেই ওর কোটি কোটি ভক্ত জানে সেই ট্রেডমার্ক অন কিংবা অফ দ্য বল ভয়ঙ্কর গতি, বক্সের ভেতর বরফের মতো ঠান্ডা মাথা, বলের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আর অফুরন্ত দম। সব ক’টাই যেন মেসির সিগনেচার স্কিল!
এটা ঠিক, ফুটবল বিজ্ঞানের নিয়মেই বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে কোনও প্লেয়ারের সেই যৌবনের গতি আর থাকে না। ২২-২৩ বছরের স্পিড আঠাশে পাওয়া কঠিন। কিন্তু তাতে জিনিয়াসের স্কিলে বিন্দুমাত্র মরচে ধরে না। বরং অভিজ্ঞতার সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্কিলের জাদু আরও ঝলসে ওঠে। মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়। জিনিয়াসের বয়স বাড়লে তার ফুটবলের পদ্ধতি বদলায়, কম দৌড়ে কী করে আরও বেশি জায়গা কভার করা যায়, গেম সেন্স, গেম রিডিং আরও ধারালো হয়।
যেমনটা হয়েছে মেসির ক্ষেত্রে।
বার্সেলোনার হয়ে কেরিয়ারের বেশির ভাগ সময়টা ফরোয়ার্ডে খেললেও এখন কিন্তু মেসির ভূমিকা অন্য। জাভি-ইনিয়েস্তার টপ ফর্মে মেসি এখনকার চেয়ে অনেক বেশি অ্যাটাকিং জোনে খেলত। বিপক্ষের ডিপ ডিফেন্সে বেশি অপারেট করত। সেখানে এখন মেসি, সুয়ারেজ, নেইমারের বিখ্যাত ত্রিভুজ বা মিডিয়ার নাম দেওয়া এমএসএনে মেসি শুধু গোল করা নয় গোলের পাস বাড়ানোরও দায়িত্বে। তাই সুয়ারেজকে সামনে রেখে কিছুটা পিছন থেকে ব্যবহার করা হয় মেসিকে। ওর চোখ জুড়োনো পাসিং এবিলিটির জন্য। যে ত্রিভুজের এ বছর অবদান বার্সার ১৭৬ গোলের মধ্যে ১৩৪টা।
পেলেও কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে কিন্তু গোল করে মাঠ ছেড়েছিলেন। আসলে পেলে, মেসির মতো কিংবদন্তিরা এ রকমই। যত বয়স বাড়বে তত নতুন ভাবে ওকে মাঠে ফুটে উঠতে দেখা যাবে।
তা সে পাঁচশো ম্যাচ হোক বা হাজার!
মেসি হতে চায় জুনিয়র উডস
বাবার মতো গল্ফ-ক্লাব হাতে নয়। বরং লিওনেল মেসির মতো বার্সেলোনা জার্সিতে খেলতে চায় চার্লি ও স্যাম। যারা বিশ্ববিখ্যাত গল্ফার টাইগার উডসের ছেলে ও মেয়ে। উডসের দুই সন্তানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বাবার মতো তারা গল্ফ কোর্সে দাপট দেখাতে চায় না মেসির মতো ফুটবল মাঠে। উত্তরে স্যাম ও চার্লি দু’জনেই বেছে নেয় মেসিকে। চার্লি বলে, ‘‘মেসি তো এখনও খেলছে।’’ এটা শোনার পরে হাসিতে ফেটে পড়েন চোট পাওয়া উডস। বলেন, ‘‘চার্লি ঠিকই তো বলছে।’’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৪:১৫ ৪০৭ বার পঠিত