কাঞ্চন বঙ্গ-নিউজ ডটকম: পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবার কিছুক্ষণ পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনিয়ম এবং সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকশ গজ দূরেই দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা হয়। দু’জন প্রার্থীই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন বলে পুলিশ বলছে।
এ সময় গুলিতে একজন মারা যান। তবে নিহত ব্যক্তি কোনো পক্ষের সমর্থক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্র দখল, রাতে ব্যালটে সিল মারা এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্র আসতে বাঁধা দেবার অভিযোগ এসেছে। এমন অবস্থায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে। যেসব জায়গা থেকে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, জামালপুর, মাদারীপুর এবং জামালপুর।
ঢাকার কাছেই ধামরাই পৌরসভা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রাকিব হাসনাত জানিয়েছেন সেখানকার বিএনপি প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু অভিযোগ করেছেন,পাঁচ-ছয়টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রায় দেড় ঘন্টার মতো ভোটগ্রহন বন্ধ ছিল।
স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন সেই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হচ্ছিল। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন ব্যালট পেপার না থাকায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
সেখানকার আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লা বলেছেন বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ সত্য নয়। বিসি’র সংবাদদাতা বলছেন ভোটকেন্দ্র গুলোর বাইরে আওয়ামী লীগে সমর্থকদের বেশ তৎপরতা দেখা গেলেও বিএনপি সমর্থকদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।
এদিকে সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হবার ঘন্টাখানেক পরে বিএনপি’র একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সাথে দেখা করে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছে।
সকালে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক। এ সময় তিনি ৬০টি কেন্দ্র দখলের অভিযোগও করেন।
পৌর নির্বাচনে আরো কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করলেও বিএনপি জানিয়েছে তারা কোন অবস্থাতেই নির্বাচন বর্জন করবে না। তবে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বলা হয়েছে উত্তেজনা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিএনপি নানা ধরনের অভিযোগ তুলছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে বলে দাবী করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এবারই প্রথম দলীয় ভিত্তিতে এই স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের প্রচারণার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়েছে।
সাত বছর পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের দলীয় প্রতীক নৌকা এবং ধানের শীষ নিয়ে এই প্রথম একটি নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে। ফলে স্থানীয় এই নির্বাচনটি রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
পৌরসভাগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেবার আহবান জানিয়েছেন। -বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫০:৩০ ২৭৩ বার পঠিত