বঙ্গনিউজ ডটকমঃ সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবার সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের মধ্যে ৪০ জন অর্থাৎ ৬৯ শতাংশ প্রার্থীই স্কুলের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৫ জন। তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে আছেন ১৩ জন। এই ৫৮ জন প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে ‘স্বশিক্ষিত’ লিখেছেন ১৩ জন। অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন তিনজন, স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন দুজন, পঞ্চম শ্রেণি একজন, ষষ্ঠ শ্রেণি একজন, সপ্তম শ্রেণি একজন, অষ্টম শ্রেণি ১২ জন, নবম শ্রেণি পাঁচজন, দশম শ্রেণি দুজন উল্লেখ করেছেন। এসএসসি উল্লেখ করেছেন ছয়জন, এইচএসসি চারজন, স্নাতক (পাস) আছেন আটজন। স্নাতক পাস প্রার্থীদের মধ্যে আইনজীবী আছেন তিনজন।
হলফনামা খতিয়ে দেখা গেছে ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থীর মধ্যে পিয়ারা বেগম স্বশিক্ষিত, সাহেদা বেগম দাখিল, শিরিনা বেগম ও সুজাতা রানী রায় অষ্টম শ্রেণি পাস। ৪, ৫ ও ৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে কলি তালুকদার ও প্রণতি রায় এইচএসসি; শেলী চৌহান ময়না বিএসএস। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে মোছাম্মৎ আজিজুন নেছা ও মোছাম্মৎ হেনা বেগম স্বশিক্ষিত; সৈয়দা জাহানারা বেগম এসএসসি, জেসমিন নবম শ্রেণি, নাজমা ইয়াসমিন ও মোছাম্মৎ রেহেনা বেগম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জনের মধ্যে আবদুস সাত্তার মো. মামুন স্নাতক, হোসেন আহমদ রাসেল মাধ্যমিক, আবুল হাসনাত মো. কাওছার ও শফিকুল ইসলাম জুয়েল অষ্টম শ্রেণি; এমদাদুল হক নবম শ্রেণি, ময়ল চন্দ স্বশিক্ষিত। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে হাসান মাহবুব সাদী বিএ এলএলবি, কপিল তালুকদার বিএসএস, সাকেরিন আহমদ বিএ, সৈয়দ ইয়াছিনুর রশিদ ও রাজ কুমার বর্মণ অষ্টম শ্রেণি; মঈন উদ্দীন আহমদ রিপন স্বশিক্ষিত। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে ফজরনুর অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, আবদুল বারিক ও এস এম ইউসুফ হক ফরহাদ স্বশিক্ষিত; মো. মোশাররফ হোসেন স্নাতক, মো. সমরাজ মিয়া অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থীর মধ্যে আশোক কুমার বণিক স্বশিক্ষিত, চঞ্চল কুমার লোহ বিএ, মতিলাল চন্দ দশম শ্রেণি, মো. শায়েস্তা উদ্দিন বিএ এলএলবি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজনের মধ্যে মনীশ কান্তি দে মিন্ট বিএ এলএলবি, গোলাম সাবেরিন এসএসসি, মো. শামসুল ইসলাম পারভেজ দশম শ্রেণি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজনের মধ্যে মনির উদ্দিন ষষ্ঠ শ্রেণি, মফিজুল হক এইচএসসি, আবাবিল নূর পঞ্চম শ্রেণি, মো. লোকচান আহমদ ও মো. নজরুল ইসলাম স্বশিক্ষিত।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জনের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন বাচ্চু, এনামুল হক ও শামীমুর রশিদ চৌধুরী অষ্টম শ্রেণি; মো. তাহের আলম ও মো. সেলিম আহমদ এসএসসি; মো. সামছুজ্জামান স্বপন সপ্তম শ্রেণি। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজনের মধ্যে আহমদ নূর অষ্টম শ্রেণি, মো. ফরিদ আহমদ নবম শ্রেণি, নাজিম উদ্দিন পাঠান, মো. মজনু মিয়া ও শামছুল আলম স্বশিক্ষিত। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজনের মধ্যে মো. জহুর মিয়া লিটন স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, মো. খোরশেদ আলম নবম শ্রেণি, আলী হায়দার এইচএসসি, আলী আহমদ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, এম তাজুল ইসলাম তারেক নবম শ্রেণি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আবু নাসের বলেছেন, সমস্যা হলো, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটা থাকা উচিত।
আবু নাসের বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে হলেও তো শিক্ষার দরকার। যেহেতু সেটা নেই, তাই প্রার্থীর অন্য যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে ভোটারদের ভোট দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০২:৫০ ২৭৮ বার পঠিত