বঙ্গনিউজ ডটকমঃ এল ক্লাসিকোর আগে সেরে উঠতে পারবেন মেসি? ছবি: এএফপি।নাহ্। মিরাকলটা বোধ হয় হচ্ছে না। হাঁটুর চোট থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেরে ওঠা হচ্ছে না লিওনেল মেসির। ২১ নভেম্বরের এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের খেলা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।গত ২৬ সেপ্টেম্বর লিগে লাস পালমাসের ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। ধারণা করা হচ্ছিল, ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে তাঁর সেরে উঠতে। কিন্তু পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সময়ের সঙ্গে ‘দৌড়ে’ একটু পিছিয়েই আছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ষষ্ঠ সপ্তাহ চলছে, এখনো ঠিকমতো দৌড়াতেই পারছেন না তিনি। পুরোদমে অনুশীলন তো অনেক দূরের ব্যাপার। শোনা যাচ্ছে, মাঠে ফিরতে অন্তত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে তাঁর।
স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ট জানিয়েছে, মেসির সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার গতি বেশ ধীর। এ কারণে ২৮ বয়সী ফরোয়ার্ড বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়তো খেলতে পারবেন না। যতটুকু জানা যাচ্ছে, কোনো সমস্যা ছাড়া পুরোদমে দৌড়াতেই এখনো তিন সপ্তাহ সময় লাগবে মেসির। পুরো ম্যাচ খেলার মতো ফিট হতে লাগবে আরও বেশ কিছুদিন। কিন্তু এল ক্লাসিকোর বাকি তো আর ১৮ দিন। আর বার্সেলোনাও পুরো ফিট না হওয়া পর্যন্ত দলের সবচেয়ে বড় সম্পদটিকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবে না।
ক্লাব বার্সেলোনার পাশাপাশি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দুজন প্রশিক্ষক বর্তমানে মেসির চোটের বিষয়টি দেখভাল করছেন। তাঁদের পরামর্শেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল ও কলম্বিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে মেসিকে দলে রাখেননি আর্জেন্টিনা কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। কলম্বিয়ার ম্যাচটির চার দিন পরই এল ক্লাসিকো। পুরো ৯০ মিনিট তো দূরে থাক, বেঞ্চ থেকে নেমে মেসির অল্প কিছুক্ষণ খেলার সম্ভাবনাও এখন অতিপ্রাকৃত কিছুর ওপর নির্ভর করছে।
তবে স্প্যানিশ ফুটবল বিশেষজ্ঞ গিলেম বালেগ এখনই মেসির এল ক্লাসিকোতে থাকার সম্ভাবনা বাতিল করে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে একটা ‘যদি’ রেখেই টুইট করেছেন তিনি, ‘মেসি ও এল ক্লাসিকোর বিষয়ে, যদিও কিছু রিপোর্ট এসেছে (মেসির না খেলার বিষয়ে)। তবে এখনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। শতভাগ ফিট হলেই মেসি খেলবে, যেটা সে এই সময়ের মধ্যেই হওয়ার আশা করছে।’
মেসি না খেলতে পারলে সেটা বার্সার জন্য একটা বিরাট ধাক্কা নিঃসন্দেহে। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি-সব মিলিয়ে ২৭ এল ক্লাসিকোতে গোল ২১ টি। সঙ্গে ১১টি অ্যাসিস্ট তো আছেই। মেসি অংশ নিয়েছেন, লিগে রিয়ালের বিপক্ষে এ পর্যন্ত এমন ১৮ ম্যাচে বার্সা জিতেছে ১০ টিতে, হেরেছে ৫ টি। বাকি ৩টি ড্র। এর আগে যে দুটি এল ক্লাসিকোতে ছিলেন না মেসি, তাতে বার্সার রেকর্ড-১ ড্র,১ হার। অথচ দুটি ম্যাচই ছিল বার্সার ঘরের মাঠে।
তবে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। এবার যে দলে আছেন নেইমার ও সুয়ারেজের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা দুজন ফরোয়ার্ড। মেসির প্রভাব হয়তো অস্বীকার করা সম্ভব নয়, তবে মেসির অভাবটা ঠিকই ঘুচিয়ে দিচ্ছেন এ দুজন। মেসি লাস পালমাসের ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচে আট গোল সুয়ারেজের। নেইমার তো আরও উজ্জ্বল। লিগে মেসিবিহীন বার্সার ১০ গোলের নয়টিই ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের অবদানে (৬ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট)। কী গোল করা, কী খেলা গড়ে দেওয়া-মেসির জুতো পরেই যেন খেলছেন নেইমার।
২১ নভেম্বর বার্নাব্যুতে মেসির না থাকাটা ফুটবল রোমান্টিকদের জন্য হতাশার ব্যাপারই। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তাঁর সম্মুখ-সমর এতে উত্তেজনা হারাবে। তবে ম্যাচটিতে জৌলুশ থাকছেই। রোনালদো, নেইমার, সুয়ারেজ, বেনজেমারা যে ম্যাচে আছেন সে ম্যাচ কখনো জৌলুশ হারায় নাকি
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৮:১৬ ৫০৩ বার পঠিত